ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

টপ সয়েল কাটার মহোৎসব, উর্বরতা হারাচ্ছে কৃষি জমি

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম

প্রকাশিত: ১২:৩৪, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

টপ সয়েল কাটার মহোৎসব, উর্বরতা হারাচ্ছে কৃষি জমি

কাটা হচ্ছে টপ সয়েল। ছবি: জনকণ্ঠ

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় ফসলি জমির টপ সয়েল কাটায় যেন মহোৎসব চলছে।  এক শ্রেণির মাটি খেকো এসব মাটি চড়া দামে বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। 

নির্বিচারে ফসলি জমির মাটি থেকে মাটি কাটার ফলে জমিগুলো যেমন উর্বরতা হারাচ্ছে। তেমনিভাবে চাষাবাদের অনুপযোগী হচ্ছে এসব কৃষি জমি। চড়া দাম দিয়ে এসব মাটি ইট ভাটিগুলোতে সরবরাহ করা হচ্ছে।

মাটি খেকোরা  রাজনৈতিক প্রভাবশালী হওয়ায় মানছে না সরকারি বিধি নিষেধ। অভিযানের পর সাময়িক বন্ধ হলেও ফের চালু হয় টপ সয়েল কাটা। এ অবস্থায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, কোন প্রকার নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ফসলি জমির মাটি কেটে ট্রাক ট্রলিতে করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে মাটি কাটা অব্যাহত থাকায় জমিগুলোতে সৃষ্টি হয়েছে বড় আকারের খানাখন্দ। 

এসব জমি পতিত হয়ে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। অনেকে কৌশল অবলম্বন করে আবাদী জমিতে পুকুর খননের নামে মাটি বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে গেলে মৎস্য চাষের বিষয় সামনে নিয়ে আসা হয়।

এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কৃষি জমির টপ সয়েল কাটায় তৎপর রয়েছে একাধিক সিন্ডিকেট। ক্ষমতাসীন দলের  ছাত্রলীগ-যুবলীগের কতিপয় নেতা ছাড়াও গুটি কয়েক জনপ্রতিনিধি নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে এ কাজে।

প্রতিনিয়ত কৃষি জমির উপর দিয়ে মাটি বহনকারী গাড়ি চলাচলের কারণে নষ্ট হচ্ছে জমি ও ফসল। পাশাপাশি ধূলি বালিতে একাকার হচ্ছে পাশ্ববর্তী এলাকার বসত বাড়ি ও জনবহুল স্থান। এসবের প্রতিবাদ করতে গেলে ভয় ভীতি দেখিয়ে থাকে সিন্ডিকেট সদস্যরা।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান বলেন, কৃষি জমির টপ সয়েল কেটে নেয়ার ফলে জমি অনুর্বর হয়ে পড়ছে। পাশাপাশি  নিঃসৃত কার্বনের কারণে ফসল ও গাছপালার  ক্ষতি হচ্ছে। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাব্বির রাহমান সানি বলেন, মাটি কাটার খবর পেলেই অভিযান চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে মাটি কাটার কাজে নিয়োজিত বেশ কিছু এস্কেভেটার জব্দ করে জরিমানা করা হয়েছে। টপ সয়েল-কাটার বিষয়ে কোন ছাড় দেয়া হবে না বলে জোর দেন নির্বাহী অফিসার।

 এসআর

×