ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

আদমদীঘিতে থামানো যাচ্ছে না মাটি লুটেরাদের

নিজস্ব সংবাদদাতা, সান্তাহার, বগুড়া

প্রকাশিত: ০০:২৮, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

আদমদীঘিতে থামানো যাচ্ছে না মাটি লুটেরাদের

আদমদীঘি উপজেলাজুড়ে এভাবে মাছ চাষের পুকুর খননের নামে চলছে ফসলি জমি থেকে মাটি লুট 

আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌরসভা এলাকাসহ উপজেলার মাটিদস্যুরা বেপরোয়াভাবে চালাচ্ছে ফসলি জমিতে পুকুর খনন বাণিজ্য। উপজেলা প্রশাসন ৪০ দিনের ব্যবধানে ১১ বার ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে লাখ লাখ টাকার আর্থিক দ- দিয়েছে। কিন্তু এরপরও থামানো যাচ্ছে না মাটিদস্যুদের। তারা প্রশাসনকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে চালাচ্ছে মাটিদস্যুতা। মাছ চাষের পুকুর খননের অজুহাতে এক স্থানের ফসলি জমি খনন করে সেই মাটি দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে আরেক স্থানের ফসলি জমি। এতে করে দিন দিন কমে যাচ্ছে ফসলি জমি।

এক পরিসংখ্যানে জানা গেছে, প্রশাসন গত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত উপজেলার সান্তাহার পৌরসভার বশিপুর, তারাপুর, চাঁপাপুর ইউনিয়নের বিহিগ্রাম, ছাতিয়ানগ্রামের ইউনিয়নের ছাতিয়াগ্রাম সদর, ছোট আখড়া, নিমাইদীঘি, বাগবাড়ি, কোমারপুর, নসরতপুর ইউনিয়নের পুসিন্দা ও মুরইল এবং আদমদীঘি সদর ইউনিয়নের কুসুম্বি (কদমগাড়ি) নামক স্থানে ফসলি জমিতে মাটি ব্যবসায়ীদের পুকুর খনন এবং চাঁপাপুর ইউনিয়নে অবৈধ বালুমহালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করে।

এ সময় মাটি খননের কাজে ব্যবহার করা সাত ভেকু মেশিন ও মাটি বহন করে ওই সব এলাকার সড়ক নষ্ট করার দায়ে আটক করা হয় অর্ধশতাধিক ট্রাক্টর। এসব ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার টুকটুক তালুকদার দায়ীদের বিরুদ্ধে আর্থিক দন্ডের রায় দিয়ে আদায় করেছেন পাঁচ লাখ ৩৪ হাজার টাকা।

×