ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

টিলা কেটে মাটি বিক্রিতে হুমকিতে দিনারপুর পাহাড়

নিজস্ব সংবাদদাতা, হবিগঞ্জ

প্রকাশিত: ২১:৪৯, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

টিলা কেটে মাটি বিক্রিতে হুমকিতে দিনারপুর পাহাড়

পাহাড়। ছবি: জনকণ্ঠ

হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার দিনারপুর। দিনারপুরে এখনও টিকে রয়েছে কিছু পরিমাণে পাহাড়ি টিলা। দিন দিন এ পাহাড়ি এলাকায় লোকজনের বসবাস বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে উজাড় হচ্ছে পাহাড়ি বনাঞ্চল। 

এর মাঝে আবার সুযোগ সন্ধানে এসব পাহাড়ি টিলা কাটা হচ্ছে। বাড়ি করার অজুহাতে টিলার মাটি কেটে বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে। আর এ মাটি বিক্রি করে একটি চক্র লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। 

জানা গেছে, উপজেলার অধিকাংশ সময় দিনারপুর পরগণার পানিউমদা, গজনাইপুর ও দেবপাড়া ইউনিয়নে পাহাড়ি টিলা কাটা হয়ে আসছে।  দিনে কিংবা রাতের আঁধারে অতি সু-কৌশলে মাটি কেটে পাহাড়ি টিলা উজাড় করা হচ্ছে।  

এখানে সম্প্রতি নামমাত্র মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয় এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি প্রতিনিধি দল সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরে পরিবেশ আইনে মামলা করতে গড়িমসি করছে উপজেলা ভূমি অফিস ও পরিবেশ অধিদপ্তর। 

পরিবেশবিদরা বলছেন- উচ্চ আদালতের নির্দেশনা, পরিবেশ আইন সঠিকভাবে প্রয়োগ না করার ফলে এবং পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রশাসনের সমন্বয়হীনতার কারণে পাহাড়ি টিলা কাটা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অব্যাহতভাবে টিলা কাটার ফলে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে আশপাশের ঘরবাড়ি। এসব বসতভিটা ভারি বর্ষণ হলে ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জ শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, পাহাড়- বনভূমি সমৃদ্ধ হবিগঞ্জ জেলা। এই জেলার নবীগঞ্জ উপজেলায় পাহাড়ি টিলা কাটা অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। কিছু সংখ্যাক প্রভাবশালী মানুষ নিজেদের ফায়দা নেওয়ার জন্য প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা পাহাড় কেটে পরিবেশ ধ্বংস করছে। 

এতে করে পরিবেশ-প্রতিবেশ জীববৈচিত্র্যের উপর ব্যাপক প্রভাব পড়ছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের উদাসীনতার কারণে পাহাড় ও টিলার যে শতশত বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্য ছিল তা আজ ধ্বংসের পথে। তিনি পাহাড়-টিলা কাটায় ও পরিবেশ ধ্বংসে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এখনই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানান।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন দেলোয়ার বলেন, পাহাড় বা টিলা কাটা আইনে নিষেধ। পাহাড়ি টিলা কাটা বন্ধে অভিযান অব্যাহত আছে। তিনি বলেন- আমাদের অফিস থেকে কে মামলা করবে, মামলা করার দায়িত্ব পরিবেশ অধিদপ্তরের। আমি পরিবেশের উপ-পরিচালকের সঙ্গে কথা বলবো। 

পরিবেশ অধিদপ্তর হবিগঞ্জের উপ-পরিচালক আখতারুজ্জামান টুকু বলেন, পাহাড়-টিলা কাটার বিষয়ে এসিল্যান্ড সাহেবকে অবগত করবেন তারাই ব্যবস্থা নিবে। আমাদের জনবল কম তাই সব সময় ঘটনাস্থলে যাওয়া সম্ভব হয় না।

 

এসআর

×