ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জলাবদ্ধতা নিয়ে সিটি মেয়রের  আশঙ্কা

আগামী বর্ষায় চট্টগ্রাম  নগরীতে মাথাসমান পানি হতে পারে

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস

প্রকাশিত: ০০:৪৫, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

আগামী বর্ষায় চট্টগ্রাম  নগরীতে মাথাসমান পানি হতে পারে

আগামী বর্ষায় চট্টগ্রামে মাথাসমান জলাবদ্ধতা হতে পারে বলে আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন সিটি মেয়র

আগামী বর্ষায় চট্টগ্রামে মাথাসমান জলাবদ্ধতা হতে পারে বলে আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, যেভাবে খালসমূহের সংস্কার হচ্ছে তা আশাব্যঞ্জক নয়। খালগুলো থেকে অবিলম্বে মাটি অপসারণ করে পানি চলাচলের পথ করে দেওয়া না হলে এ নগরীতে আগামী বর্ষায় মারাত্মক বিপর্যয় নেমে আসবে। এজন্য তিনি শঙ্কিত এবং উদ্বিগ্নও।
বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে নবনির্বাচিত কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মেয়র তার শঙ্কার কথা ব্যক্ত করেন।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি সালাউদ্দিন মোহাম্মদ রেজা, সাধারণ সম্পাদক দেব দুলাল ভৌমিকের নেতৃত্বে ক্লাবের নবনির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটির সৌজন্য বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় সিটি কর্পোরেশনের কনফারেন্স কক্ষে। এ সময় কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, মেয়রের পিএস মো. আবুল হাশেম, ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজন ও লুৎফুন নাহার, প্যানেল মেয়র আব্দুস সবুর লিটন, পিআরও আজিজ আহমদসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন।

মেয়র বলেছেন, আগামী বর্ষার আগাম এই পরিস্থিতি উপলব্ধি করে ইতোমধ্যে সমন্বয় কমিটির বৈঠক আহ্বান করেছেন। তার মতে, খালের উভয়পাশে গাইডওয়াল নির্মাণ জরুরি নয়। সর্বাগ্রে প্রয়োজন ভরাট হয়ে যাওয়া খালগুলো থেকে মাটি অপসারণ করে পানি চলাচলের পথ করে দেওয়া। বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ খালসমূহের মুখ বন্ধ করে গাইড ওয়াল নির্মাণের কাজ চলছে। তাও আবার ধীরগতিতে। বছরের পর বছর চট্টগ্রামের মানুষ জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে ক্ষতির মুখে রয়েছে। আগামীতে এই ক্ষতি আরও  বেড়ে যাবে, যদি না জরুরিভিত্তিতে খালের মাটি অপসারণের ব্যবস্থা নেওয়া না হয়।  
উল্লেখ্য, জোয়ার-ভাটার নগর চট্টগ্রাম। দিনে দু’বার জোয়ার হয়। এর সঙ্গে বর্ষায় যুক্ত হয় জোয়ারের পানি। দুয়ে মিলে  ডোবে, ভাসে বন্দরশহর। জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান রয়েছে মেগাপ্রকল্পের কাজ। কিন্তু বছরের পর বছর গড়ায়, সে কাজ শেষ হয় না। তিনটি মেগা প্রকল্পের অধীনে ৪০টি স্লুইচ গেটের (জলকপাট) মধ্যে একটিও এখনও চালু করা যায়নি।

×