ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

গলাচিপায় বোমা বিস্ফোরণ, আতঙ্কে মানুষ

স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা

প্রকাশিত: ১২:০৭, ৮ ডিসেম্বর ২০২২; আপডেট: ১২:৩০, ৮ ডিসেম্বর ২০২২

গলাচিপায় বোমা বিস্ফোরণ, আতঙ্কে মানুষ

উদ্ধার করা আরও বোমা ও ককটেল।

পটুয়াখালীর গলাচিপায় সাতটি বোমা ও ককটেল সদৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। এর কয়েক মিনিট আগে উপজেলা সদরে অন্তত তিনটি বোমার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশ বুধবার (৭ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এসব বোমা ও ককটেল উদ্ধার করে গলাচিপা থানা পুলিশ। আকস্মিক বোমা বিস্ফোরণ ও উদ্ধারে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, উপজেলা সদরের ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সামনে রাত সাড়ে ১০টার দিকে কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী একটি প্লাস্টিকের ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখেন। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় প্রত্যক্ষদর্শীরা ডাক চিৎকার শুরু করলে ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে আসোন। 

দপ্তরের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম আকাশ জানান, তারা খবর দিলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এবং গোটা জায়গা ঘিরে ফেলে। পরে ওই ব্যাগের মধ্যে থেকে টেপ দিয়ে মোড়ানো তিনটি ককটেল সদৃশ কৌটা ও চারটি পেট্রল বোমা সদৃশ কাঁচের বোতল উদ্ধার করে। 

এদিকে, এ ঘটনার মাত্র কয়েক মিনিট আগে উপজেলা সদরে  অন্তত তিনটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটেছে। তবে উপজেলা সদরের কোথায় এ বিস্ফোরণ ঘটেছে, তা পুলিশ সুনির্দিষ্ট করতে পারেনি। বুধবার রাতে শহরে একাধিক বিয়ের আয়োজন চলছে। তাই অনেকেই বোমার বিস্ফোরণকে বিয়ে বাড়ির বাজি ফোটানো বলে ধারণা করেছে। যে কারণে বিষয়টি অনেকের নজর এড়িয়ে যায়। তবে বিস্ফোরণের শব্দ ছিল বিকট। বিস্ফোরণে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে পুলিশ প্রাথমিক ভাবে নিশ্চিত করেছে।

এ বিষয়ে গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ শোষিত কুমার গায়েন বোমা ও ককটেল সদৃশ বস্তু উদ্ধার এবং তিনটি বোমার বিস্ফোরণের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে। উদ্ধার বস্তুগুলো প্রকৃতই বোমা এবং ককটেল কি না, তা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। 

তিনি আরও বলেন, গলাচিপা একটি শান্ত নিরিবিলি জনপদ হিসেবে পরিচিতি রয়েছে। শান্ত এ জনপদকে অশান্ত করতে কোনো মহল উদ্দেশ্য প্রনোদিত তৎপরতা চালাচ্ছে কি না, তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ ও তদন্ত করা হচ্ছে।

 

এমএইচ

×