ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঘর না থাকায় পরিত্যক্ত কোয়াটারে থাকেন জব্বার মিয়া 

মো. মামুন চৌধুরী, হবিগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৪:৪৬, ৭ অক্টোবর ২০২২

ঘর না থাকায় পরিত্যক্ত কোয়াটারে থাকেন জব্বার মিয়া 

লস্করপুর রেল স্টেশনের পরিত্যক্ত কোয়াটারে মো. জব্বার মিয়া।

মো. জব্বার মিয়া (৭৫)। জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য অনুযায়ী, তিনি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার লস্করপুর ইউনিয়নের গঙ্গানগর গ্রামের বাসিন্দা। এ গ্রামে ঘরবাড়ি না থাকায়  দীর্ঘদিন ধরে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন জেলার বাহুবল উপজেলার লস্করপুর রেল স্টেশনের পরিত্যক্ত সরকারি কোয়াটারে। 

দরিদ্র হওয়ায় এক বেলা খেলে, অন্য বেলা থাকতে হয় উপোষ। এ অবস্থায় ৫ মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। এক ছেলেকে বিয়ে করিয়েছেন। এ ছেলে তার পরিবার নিয়ে অন্যত্র বসবাস করছে। 

বর্তমান দুই ছেলে ও এক মেয়ে এবং স্ত্রী আম্বিয়া খাতুনকে সঙ্গে নিয়ে রেল কোয়াটারে অতি কষ্টে তার দিন কাটছে। শারীরিক অবস্থা ভালো না থাকায় নিয়মিত কাজে যেতে পারছেন না। তার সঙ্গে থাকা দুই ছেলে একদিন কাজে গেলে, দুইদিন ঘরে বসে থাকে। 

এ অবস্থায় পরিবার নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা তার পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছে। সরেজমিন গেলে এসব কথা প্রতিবেদককে জানান মো. জব্বার মিয়া। 

তিনি বলেন, তার বয়স হলেও বয়স্ক ভাতার কার্ড পাচ্ছেন না। এছাড়া সরকারিভাবে তাকে তেমন কোন সহায়তা না কারায় দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। 

সরকারের আশ্রয়ণে একটি ঘর পেলে তিনি পরিবার নিয়ে বসবাস করতে পারতেন। সরকারের কাছে একটি বয়স্ক ভাতার কার্ডও দাবি করেছেন। 

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, মো. জব্বার মিয়ার বাড়ি না থাকায় স্টেশনের পরিত্যক্ত ঘরে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা তেমন একটা ভাল যাচ্ছে না। তাকে একটা ভাতার কার্ড ও আশ্রয়ণে একটি সরকারি ঘর উপহার প্রদান করা হোক। 

স্থানীয় সাবেক মেম্বার মো. হেলাল মিয়া বলেন, বর্তমান সরকার গৃহহীন লোকজনকে আশ্রয়ণে পাকা ঘর উপহার দিচ্ছে। এখানে তিনি বঞ্চিত থাকার কথা নয়। সরকারিভাবে যেন দ্রুত তাকে একটি ঘর ও ভাতার কার্ড দেওয়া হয়। 

হবিগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বর্ণালী পাল বলেন, আবেদন সাপেক্ষে গৃহহীন লোকজনকে আশ্রয়ণে ঘর প্রদান করা হচ্ছে। প্রদান করা হচ্ছে- ভাতার কার্ডসহ নানা ধরনের সহায়তা। 

এখানে তিনি (মো.জব্বার মিয়া) আবেদন করেননি। আবেদন করলে অগ্রাধিকার দিয়ে তাকে সরকারিভাবে সহায়তা করার আপ্রাণ চেষ্টা করা হবে। 

এসআর

×