ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দুই সতীনের ভোটযুদ্ধ

নিজস্ব সংবাদদাতা, নেত্রকোনা

প্রকাশিত: ০০:৪২, ১ অক্টোবর ২০২২

দুই সতীনের ভোটযুদ্ধ

আনোয়ারা বেগম ও সুরমী আক্তার সুমি

জেলা পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে দুর্গাপুর উপজেলায় (১নং ওয়ার্ডে) দুই সতীনের ভোটযুদ্ধ জমে উঠেছে। পরিষদের সাধারণ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এই দুই নারী। ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়া এ দুই সতীন হলেন- দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়র ও ব্যবসায়ী আলাউদ্দীন আলালের বড় স্ত্রী আনোয়ারা বেগম ও ছোট স্ত্রী সুরমী আক্তার সুমি। আনোয়ারা লড়ছেন তালা প্রতীক নিয়ে, আর ছোট স্ত্রী সুমি লড়ছেন অটোরিক্সা প্রতীক নিয়ে।

তবে ওই আসনে দুই নারীর পাশাপাশি দুজন পুরুষ প্রার্থীও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- জুয়েল মিয়া ও আব্দুল করিম। জানা গেছে, মেয়র আলাউদ্দীন আলাল কিছুদিন ধরে অসুস্থ। মারাত্মক শ^াসকষ্টসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন তিনি। বর্তমানে তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ অবস্থায় তার দুই স্ত্রীর প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়টি ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, আনোয়ারা ও সুমির মধ্যে অনেক আগে থেকেই বৈরী সম্পর্ক। আনোয়ারা দুর্গাপুরের আত্রাখালি এলাকায় আলাদাভাবে বসবাস করেন। আর সুমি আলালের সঙ্গে বসবাস করেন তার তেরিবাজারের বাসায়। আনোয়ারা তার নির্বাচনী পোস্টারে স্বামীর নাম ও পরিচয় উল্লেখ করেছেন। কিন্তু সুমি এ সব কিছুই উল্লেখ করেননি। একই পদে দুই সতীনের প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়ে জানতে চাইলে সুরমী আক্তার সুমি বলেন, ‘আমার স্বামী অনেক আগে থেকে আমার পক্ষে কাজ করে আসছিলেন।

তা ছাড়া পারিবারিক সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতেই আমি প্রার্থী হয়েছি। কিন্তু আলাল সাহেবের সুনাম নষ্ট করার জন্য রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আনোয়ারা বেগকে প্রার্থী করেছে। যে স্বামীর ভাল চায় না, তার ব্যাপারে আমার কোন মন্তব্য নেই।’ সুুমি আরও জানান, তিনি ১৯ দিন ধরে স্বামীকে নিয়ে হাসপাতালে আছেন। ওদিকে তার স্বামীর পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি আত্মীয়-স্বজন ও পৌর কাউন্সিলরা তার নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন। অন্যদিকে আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘আলাল সাহেব তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে (সুমি) নিয়ে থাকেন। আর আমি আলাদা থাকি। ওই মহিলা যা বলেন, তিনি তাই করেন। তার স্ত্রী হিসেবে আমিও দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

×