পূর্ণিমার জোয়ারে তলিয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর অধিকাংশ নিম্নাঞ্চল
কোন ভারি বর্ষণ নেই। ঝলমলে রৌদ্রময় পরিবেশেও হাঁটুপানি চট্টগ্রামে। পূর্ণিমার জোয়ারে তলিয়ে যাওয়া অব্যাহত রয়েছে চট্টগ্রাম মহানগরীর অধিকাংশ নিম্নাঞ্চল। শুধু তাই নয়, দেশের অন্যতম বৃহত্তম ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে পানি মাড়িয়ে গত এক সপ্তাহ যাবত চলাচল করছে ব্যবসায়ী ও নিম্নাঞ্চলসমূহের বাসিন্দারা।
শনিবারও নগরীর খাতুনগঞ্জ, বাণিজ্যিক এলাকা আগ্রাবাদ, হালিশহর, পতেঙ্গা, বাকলিয়া, চকবাজারসহ বিভিন্ন এলাকা হাঁটুপানিতে তলিয়ে যায়। জোয়ারের আগ্রাসনের কারণেই মূলত তলিয়ে যাচ্ছে এসব এলাকা। যার ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীদের। সড়ক যোগাযোগও ব্যাহত হচ্ছে চরমভাবে।
জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় স্লুইচ গেটের কাজ শেষ না হওয়ায় জোয়ারের পানি থেকে মুক্তি মিলছে না বলে অভিযোগ করছেন ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ। তবে চট্টগ্রামে ভারি কিংবা হাল্কা বৃষ্টি না হলেও পূর্ণিমার কারণে জোয়ারের পানির উচ্চতা থাকে সবচেয়ে বেশি। যার ফলে বৃষ্টি না হলেও এ সময় নিচু এলাকাগুলো পানির নিচে তলিয়ে যায়। খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অমাবস্যা শুরু হওয়ার পর প্রতিদিনই তারা এমন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। গত অমাবস্যা থেকে এই পূর্ণিমা পর্যন্ত প্রতিদিনই জোয়ারের পানিতে তলিয়ে বাণিজ্য বসতি খাতুনগঞ্জ।
এ ছাড়া নালায় পানি চলাচল বাধাগ্রস্ত হওয়ায় ময়লা ও আবর্জনাও ছড়িয়ে পড়ছে চারদিকে। পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের গুদামে পানি প্রবেশ করে ভোগ্যপণ্য ভিজে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এ ছাড়া পানির কারণে ক্রেতারা নির্দিষ্ট সময়ে পণ্য কিনতেও আসতে পারছেন না। এদিকে শনিবার সরকারী ছুটি হলেও বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে খ্যাত আগ্রাবাদ ও আবাসিক এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের যাতায়াতে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ঝড় বৃষ্টি নেই, অথচ সাগরের লোনা পানি থৈ থৈ করছে। এসব পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে নিম্নাঞ্চল। আবাসিক এলাকার লোকজন ঘর থেকে বেরুতে নানা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হচ্ছে। পানিতে সয়লাব বিভিন্ন এলাকায় শিশু-কিশোররা রীতিমতো সাঁতার কাটতে দেখা গেছে শনিবার।