
বালু উত্তলনের কাজে ব্যবহৃত।
বরিশালের বাকেরগঞ্জের কবাই কারখানা নদী থেকে ইজারা ছাড়াই অবাধে বালু উত্তোলন করছেন কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি। ফলে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার এবং হুমকির মুখে পড়েছে কারখানা নদীর পার্শ্ববর্তী চরের বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বাকেরগঞ্জ বালু মহাল ৫০ জন সদস্যের ভয়ংকর সিন্ডিকেট তৈরি করে নিজেরা প্রতিবছর ইজারা এনে তাদের ইচ্ছে মতো বালু উত্তলন করে আসছে। কারখানা নদী থেকে ইজারা ছাড়াই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন স্থানীয় চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম বাদল তালুকদারের নেতৃত্বে কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। নদীর এক অংশে নলুয়া ইউনিয়ন অপর অংশে কবাই ইউনিয়ন।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, বছরের পর বছর ধরে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট নিয়ম উপেক্ষা করে অবৈধভাবে বালু তুলছেন। অবাধে বালু উত্তোলনের কারণে ফসলি জমিসহ আমাদের বাড়ি-ঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের হাত থেকে নিজেদের ভিটেমাটি রক্ষার জন্য উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
অভিযুক্ত কবাই ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল হক বাদল তালুকদার তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি নয় অনেকেই এসব নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে।
এ ব্যাপারে বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল চন্দ্র শীল বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না। অচিরেই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।