
অবরুদ্ধ পরিবারের ঘর-বাড়ি
কোনো প্রকার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বাড়ি নির্মাণ কাজ শুরু করায় ৯টি পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছে। কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের পেন্নাই হাজারী বাড়ীর ভুক্তভোগী পরিবারগুলো এমন অভিযোগ তুলেন প্রতিবেশী খালেক হাজারীর বিরুদ্ধে।
প্রায় শত বছরের চলাচলের পথ বন্ধ করে ইমারত নির্মাণ কাজ শুরু করায় যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে ওই পরিবারগুলোর। ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না ইমারত নির্মাণ আইন ও বিধিমালা।
অভিযোগ রয়েছে, নির্মিতব্য ভবনের নকশা নিয়েও। বিষয়গুলো ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো সুরাহা পায়নি ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। এতে কালাম হাজারী, প্রবাসী সফিক হাজারী ও জাকির হাজারীসহ ৯টি পরিবারের চলাচলের একমাত্র পথ বন্ধ হয়ে যায়।
ভুক্তভোগী কালাম হাজারী, জাকির হাজারী ও সেলিম হাজারী জানান, গৌরীপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পেন্নাই হাজারী বাড়ীর প্রতিবেশি হাজী খালেক হাজারী বাড়িতে বহুতল ভবন নির্মাণ শুরু করেন। স্থানীয় ভাবে চলাচলের পথ রেখে কাজ করার জন্য বলা হলেও তিনি শুনেননি। পরে আমরা চেয়ারম্যানের কাছে সমাধানের জন্য মঙ্গলবার ( ৫ জুলাই) লিখিত আবেদন করি। চেয়ারম্যানের নোটিস নিয়ে দফাদার মমিন খালেক হাজারীর বাড়িতে গেলে নোটিস গ্রহণ না করে উল্টো গালাগালি করে। পরে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা এবং গৌরীপুর পুলিশ ফাঁড়িতে লিখিত আবেদন করেও কোন সুরাহা হয়নি। বরং অভিযোগ করায় উল্টো আমাদের নামে মামলা করার হুমকি দেয়।
গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্য রাকিবুল হাসান বলেন, ভুক্তভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি সমাধানের জন্য উভয় পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলাম। কিন্তু খালেক হাজারীর অনড় অবস্থানের কারণে বিষয়টি মীমাংসা করা যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিনুল হাসান বলেন, ভুক্তভোগীদের অভিযোগ পেয়েছি, সরেজমিনে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।