রিভালদো
এবারের ব্যালন ডি’অর নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি। সবকিছু ছাপিয়ে স্পেন ও ম্যানচেস্টার সিটির মিডফিল্ডার রদ্রির কাছে পরাজিত হন ব্রাজিল ও রিয়াল মাদ্রিদের ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। যেখানে ভোট দিয়েছিলেন ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ এক শ’তে থাকা দেশগুলোর একজন করে সাংবাদিক। সেসব সাংবাদিকদের ফুটবল জ্ঞান নিয়ে সমালোচনা করেছেন ব্রাজিল কিংবদন্তী রিভালদো।
১৯৯৯ সালে ব্যালন ডি’অর আর ২০০২ সালে বিশ্বকাপজয়ী এই তারকার বলেন, ‘যেসব সাংবাদিক ভোট দিয়েছেন, তাদের সবাই কি ফুটবল বোঝেন? সবাই কি সত্যিই যোগ্যতাসম্পন্ন?’
কেননা অধিকাংশ ফুটবল সমর্থকরা ধরেই নিয়েছিলেন এবোরের ব্যালন ডি’অর উঠবে ভিনিসিয়ুসের হাতে। তবে পুরস্কারের আয়োজক প্রতিষ্ঠান ফ্রান্স ফুটবলের ভোট গণনায় দেখা যায় মাত্র ৪১ ভোটের ব্যবধানে ভিনিসিয়ুসকে পরাজিত করেছেন রদ্রি। ৪৯ জন সাংবাদিকের তালিকায় রদ্রি শীর্ষে ছিলেন, আর ৩৫ জন সাংবাদিকের তালিকায় ভিনিসিয়ুস শীর্ষে ছিলেন।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ ১০০ দেশের সাংবাদিকদের মাঝে সিরিয়া বাদে ভোট দিয়েছিলো ৯৯ টি দেশের সাংবাদিক। মনোনীত ৩০ জনের তালিকা থেকে পছন্দের শীর্ষ ১০ খেলোয়াড় বেছে নিয়েছেন তারা। তাদের এই শীর্ষ ১০ জনের তালিকায় সবার ওপরে থাকা খেলোয়াড় পেয়েছেন ১৫ পয়েন্ট, দ্বিতীয় ১২ পয়েন্ট ও ১০ পয়েন্ট পেয়েছেন তৃতীয় খেলোয়াড়। ক্রম অনুযায়ী চতুর্থ থেকে দশম স্থানের খেলোয়াড়েরা পেয়েছেন যথাক্রমে ৮, ৭, ৫, ৪, ৩, ২ ও ১ পয়েন্ট। যেখানে ভিনিসিয়ুস পেয়েছেন ১১২৯ ভোট। আর রদ্রি পেয়েছেন ১১৭০ ভোট।
সাংবাদিকদের ফুটবল জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তুললেও রদ্রিকে ছোট করে দেখছেন না রিভালদো। তিনি বলেন, ‘রদ্রিকে আমি ছোট করতে পারি না। সে আমার পছন্দের খেলোয়াড়। দ্বিতীয় পছন্দ ছিল সে। হ্যাঁ, ভিনিসিয়ুসের পুরস্কারটি বেশি প্রাপ্য হলেও এই পুরস্কারের মানকে আমি ছোট করতে পারি না। কারণ, আমি সত্যিই রদ্রিকে পছন্দ করি। তার স্টাইল ও খেলার ধরন পছন্দের।’
অনেকেই ভিনিকে ফেবারিট হিসেবে ধরছিলেন, কারণ গত মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদ লা লিগা, চ্যাম্পিয়নস লিগ এবং স্প্যানিশ সুপার কাপ জিতেছিল। পাশাপাশি চ্যাম্পিয়নস লিগে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও পেয়েছিলেন তিনি।
অপরদিকে সিটির হয়ে প্রিমিয়ার লিগ, উয়েফা সুপার কাপ এবং ক্লাব বিশ্বকাপ ও দেশের হয়ে ইউরো জিতেছেন রদ্রি। হয়েছিলেন ইউরোর সেরা খেলোয়াড়।
এমএম