
ছবি: সংগৃহীত
স্মার্টফোনের ক্যামেরা অন করলেই কিউআর (QR) কোড স্ক্যান করে ওয়েবসাইট খোলা এখন অনেকের দৈনন্দিন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। রেস্টুরেন্টের মেন্যু দেখা হোক কিংবা ওয়াইফাইয়ে কানেক্ট হওয়া বা পার্কিংয়ের টাকা পরিশোধ, সবক্ষেত্রেই QR কোড ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে এই নিরীহ দেখানো কোডেই লুকিয়ে থাকতে পারে ভয়ংকর সাইবার ফাঁদ। সম্প্রতি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই (FBI) এক সতর্কবার্তায় জানিয়েছে, এক ধরনের QR কোড এখন বড় ধরনের প্রতারণার মাধ্যম হয়ে উঠছে।
বাসায় ডেলিভারির ছলে শুরু প্রতারণা
এফবিআই বলছে, প্রতারকরা এখন ‘অচাওয়া পার্সেল’ বা অনাকাঙ্ক্ষিত প্যাকেট পাঠাচ্ছে বাসায়, যেখানে প্রেরকের নাম-পরিচয় থাকে না। সেই প্যাকেটে থাকে একটি QR কোড, যেটি স্ক্যান করলে ব্যবহারকারীর কাছ থেকে ব্যক্তিগত তথ্য বা ব্যাংকের তথ্য চাওয়া হয় কিংবা মোবাইলে ম্যালওয়্যার (malware) ইনস্টল হয়ে যায় যা মোবাইলের ডেটা চুরি করে নিতে পারে।
এই কৌশলকে এফবিআই তুলনা করছে ‘ব্রাশিং স্ক্যাম’ নামের এক পুরনো প্রতারণার সঙ্গে—যেখানে আপনি কোনো পণ্য অর্ডার না করলেও আপনার নামে কোনো কিছু পাঠানো হয়, যাতে প্রতারক আপনার নামে জাল রিভিউ দিতে পারে।
কী করবেন, কী করবেন না?
এফবিআই জোর দিয়ে বলছে—
- অজানা উৎস থেকে আসা প্যাকেট খুলবেন না।
- প্রেরকের নাম ও ঠিকানা ছাড়া কোনো পার্সেল পেলে সতর্ক হোন।
- অজানা QR কোড স্ক্যান করা থেকে বিরত থাকুন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এখন কেবল কিউআর (QR) কোডই নয়, একইভাবে মোবাইল ফোনের এসএমএস (SMS), ইমেইল, ভয়েস কল এবং ভিশিং (vishing) মাধ্যমেও প্রতারকরা ব্যবহারকারীদের টার্গেট করছে। Zimperium কোম্পানির গবেষক নিকো কিয়ারাভিগলিও জানান, QR কোডের মাধ্যমে প্রতারণা এখন বহুমাত্রিক আকার নিচ্ছে এবং ব্যবহারকারীদের অসচেতনতা এই প্রতারকদের বড় অস্ত্র।
শিকার হলে কী করবেন?
এফবিআই বলছে, যদি আপনি মনে করেন ব্রাশিং স্ক্যাম বা QR কোড প্রতারণার শিকার হয়েছেন, তাহলে দ্রুত আপনার অনলাইন অ্যাকাউন্টগুলোর পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন। সাইবার প্রতারকরা প্রতিদিনই নতুন ছক কষছে। প্রযুক্তির ব্যবহার যেমন সুবিধা আনছে, তেমনি অসতর্কতা বড় বিপদের কারণ হতে পারে।
সূত্র: ফোর্বস।
রাকিব