বাংলালিংক-এর স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান ভিওন-এর গ্রুপ চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার কান তেরজিওগ্লু বিজয়ীদের হাতে ট্রফি তুলে দেন
তরুণদের জন্য দেশের সবচেয়ে বড় ডিজিটাল প্রতিযোগিতা ইনোভেটর্স-এর ৭ম আসরের বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়েছে। দেশের অন্যতম উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক এই প্রতিযোগিতার অয়োজন করে।
চলতি বছরের অক্টোবর মাসে এই প্রতিযোগিতার ৭ম আসর শুরু হয়। এই আসরের মূল লক্ষ্য ছিল তরুণদেরকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারে উৎসাহিত করে তাদের সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনের বিকাশে সাহায্য করা।
বাংলাদেশের ১৫৩টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৩৫ হাজারেরও বেশি প্রতিযোগী এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। প্রাথমিক বাছাই শেষে নির্বাচিত প্রতিযোগীরা তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে অন্যতম হল বুট ক্যাম্প, গ্রুমিং সেশন, ওয়ার্কশপ ও বিভিন্ন প্রশিক্ষণ।
প্রতিযোগীরা তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বাংলালিংক-এর বিভিন্ন বিভাগের অভিজ্ঞ ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা পেয়েছেন। একাধিক ওয়ার্কশপ ও যথাযথ মূল্যায়নের মাধ্যমে সেরা পাঁচটি দলকে নির্বাচন করা হয়। আয়োজনের চূড়ান্ত পর্বে সেরা পাঁচটি দল অভিজ্ঞ বিচারকদের সামনে বাস্তব জীবনের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে তাদের উদ্ভাবনী ডিজিটাল পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। সোমবার রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে প্রতিযোগিতাটির চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলালিংক-এর স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান ভিওন-এর গ্রুপ চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার কান তেরজিওগ্লু বিজয়ীদের হাতে ট্রফি তুলে দেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলালিংক-এর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার এরিক অস, স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও সামি আহমেদ ও বাংলালিংক-এর চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফিসার মনজুলা মোরশেদ।
বাংলালিংক ইনোভেটর্স ৭.০-এর চ্যাম্পিয়ন দল হল ‘অন দি এজ’। ফার্স্ট রানার-আপ ও সেকেন্ড রানার-আপ যথাক্রমে ‘টিম রকেট’ ও ‘ফোর অফ অ্যা কাইন্ড’। চ্যাম্পিয়ন দল বাংলালিংক-এর পৃষ্ঠপোষকতায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই-এ অবস্থিত বাংলালিংক-এর স্বত্বাধিকারী কোম্পানি ভিওন-এর কার্যালয় পরিদর্শনের সুযোগ পাবে। সেরা তিন দলের সকল সদস্য বাংলালিংক-এর ফ্ল্যাগশিপ স্ট্র্যাটেজিক অ্যাসিস্টেন্ট প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে পারবে। এই প্রোগ্রাম তাদেরকে ভবিষ্যতে দক্ষ ব্যবস্থাপক হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজনীয় সকল প্রশিক্ষণ দেবে।
সেরা পাঁচটি দলের সকল প্রতিযোগী বাংলালিংক-এর অ্যাডভান্সড ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামে অংশ নিতে পারবে। এর মাধ্যমে তারা বাস্তবসম্মত উপায়ে কর্পোরেট অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পাবে। এছাড়াও সেরা ৪০ জন প্রতিযোগীর প্রত্যেকেই বাংলালিংক-এর ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করে নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলালিংক-এর প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতে পারবে।
‘ইনোভেটর্স’ এর চূড়ান্ত পর্বের অনুষ্ঠানে বাংলালিংক এর নতুন মোটো “লিড দ্যা ফিউচার” ঘোষণা করা হয়, যা বাংলালিংক-এর নতুন ইমপ্লয়ি ভ্যালু প্রপোজিশন-এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এটি প্রতিষ্ঠানটির অনুকরণীয় লক্ষ্য এবং এর কর্মীদের ধারাবাহিক উন্নতিকে প্রতিফলিত করে।
ভিওন এর গ্রুপ সিইও কান তেরজিওগ্লু বলেন, “বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরের নেতৃত্বে থাকা তরুণ উদ্ভাবকদের প্রতিভা ও সম্ভাবনা দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। ‘ইনোভেটর্স’-এর সপ্তম আসরের সমাপনী অনুষ্ঠানে সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারার মতো চমৎকার কিছু পরিকল্পনা ও সমাধান তুলে ধরা হয়েছে। আমি গর্বিত যে, বাংলালিংক দেশের ডিজিটাল যাত্রার অংশীদার হিসেবে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে। এই উদ্যোগটি বাংলাদেশের ডিজিটাল অগ্রযাত্রাকে আরও এগিয়ে নিতে আমাদের অঙ্গীকারের একটি প্রতিফলন।”
বাংলালিংক-এর চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফিসার মনজুলা মোরশেদ বলেন, “এই প্রতিযোগিতাটি বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে ডিজিটাল দক্ষতার মাধ্যমে ক্ষমতায়ন করার ক্ষেত্রে বাংলালিংক-এর একটি বিশেষ উদ্যোগ। তরুণদের সুযোগ দেওয়ার জন্য বড় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও এগিয়ে আসা উচিত, যাতে তারা নিজেদের উন্নতির পাশাপাশি দেশেকে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যেতে পারে। আমি প্রতিযোগীদের সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী দক্ষতা দেখে মুগ্ধ। তারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে এমন সব সমাধান উপস্থাপন করেছে, যা ভবিষ্যতে নতুন সম্ভাবনার সুযোগ তৈরি করবে।”
আরএস