
ছবি: সংগৃহীত।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপে নতুন ধরনের প্রতারণা চক্র সক্রিয় হয়েছে, যারা নিজেদের পুলিশের এসআই পরিচয়ে কল দিয়ে সাধারণ ব্যবহারকারীদের ভয় দেখিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাক করে নিচ্ছে। উদ্দেশ্য একটাই—অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আর্থিক বা ব্যক্তিগত ব্ল্যাকমেইল।
সম্প্রতি এমন এক ঘটনার মুখোমুখি হয়েছেন একজন সচেতন ব্যবহারকারী, যিনি ভিডিওর মাধ্যমে পুরো কাহিনি তুলে ধরেছেন। প্রতারক প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপে কল দিয়ে বলে, একটি অশ্লীল গ্রুপে আপনাকে এডমিন করা হয়েছে এবং আপনি বিপদে পড়তে পারেন। এরপর কৌশলে তাকে “Link a Device” অপশনে নিয়ে যায় এবং সেখানে একটি কোড ইনপুট করতে বলে।
ভুক্তভোগী ব্যক্তি বুঝতে পারেন, এই কোড দিলেই তার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট পুরোপুরি প্রতারকের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। ভাগ্য ভালো, তিনি বুঝে যান এবং কোড না দেওয়ায় রক্ষা পান।
কিন্তু অনেকেই প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। একবার হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাক হয়ে গেলে প্রতারকরা—
- আগের মেসেজ পড়ে বিশ্বাসযোগ্য কাউকে টাকা চায়,
- সেন্সিটিভ ছবি বা চ্যাট থাকলে ব্ল্যাকমেইল করে,
- পরিচিতদের কাছ থেকেও টাকা আদায় করে।
কী করবেন এই ধরনের প্রতারণা ঠেকাতে?
- অচেনা নাম্বার থেকে আসা হোয়াটসঅ্যাপ কলে সতর্ক হোন
- “Link with phone number” বা QR Code স্ক্যান করতে বলা হলে কখনোই কোড শেয়ার করবেন না
- হোয়াটসঅ্যাপে Two-Step Verification চালু করে রাখুন
- সেন্সিটিভ ডেটা WhatsApp-এ সংরক্ষণ করবেন না
- প্রতারণার শিকার হলে সাথে সাথে cybercrime.gov.bd-এ অভিযোগ করুন
নুসরাত