
ছবিঃ সংগৃহীত
ইসলাম ধর্মে কোরবানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যা ঈদুল আজহার সময় আদায় করা হয়। কোরবানির পশু নির্বাচন করার সময় কিছু নির্দিষ্ট শর্ত ও বৈশিষ্ট্য মেনে চলা আবশ্যক। নিচে কোরবানির পশু নির্বাচনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা তুলে ধরা হলো:
✅ কোরবানির জন্য অনুমোদিত পশুর ধরন
শরিয়ত অনুযায়ী, নিম্নলিখিত ছয় ধরনের চতুষ্পদ গবাদিপশু কোরবানির জন্য অনুমোদিত:
-
উট
-
গরু
-
মহিষ
-
ছাগল
-
ভেড়া
-
দুম্বা
এই পশুগুলোর বাইরে অন্য কোনো পশু, যেমন হরিণ বা ঘোড়া, কোরবানির জন্য বৈধ নয়, যদিও সেগুলো হালাল খাদ্য হতে পারে ।
📏 কোরবানির পশুর বয়স
কোরবানির পশুর নির্দিষ্ট বয়স পূর্ণ হওয়া আবশ্যক:
-
উট: কমপক্ষে ৫ বছর
-
গরু ও মহিষ: কমপক্ষে ২ বছর
-
ছাগল: কমপক্ষে ১ বছর
-
ভেড়া ও দুম্বা: সাধারণত ১ বছর; তবে যদি ৬ মাস বয়সী ভেড়া বা দুম্বা দেখতে ১ বছরের মতো হৃষ্টপুষ্ট হয়, তাহলে তা কোরবানির জন্য গ্রহণযোগ্য ।
❌ যে ধরনের পশু দিয়ে কোরবানি করা যাবে না
কোরবানির পশু দোষত্রুটিমুক্ত হতে হবে। নিম্নলিখিত ত্রুটিযুক্ত পশু দিয়ে কোরবানি করা বৈধ নয়:
-
যে পশুর এক বা দুই চোখ অন্ধ
-
যে পশু গুরুতর রোগে আক্রান্ত
-
যে পশু খোঁড়া বা পঙ্গু
-
যে পশু অতিশয় দুর্বল বা হাড়ে মজ্জা নেই
-
যে পশুর কান, লেজ বা শিং কাটা বা গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত
-
যে পশু দাঁতহীন বা অধিকাংশ দাঁত নেই
-
যে পশু এত দুর্বল যে জবাইস্থানে নিজে হেঁটে যেতে অক্ষম
এই দিকনির্দেশনাগুলো হাদিস ও ইসলামী ফিকহের আলোকে নির্ধারিত হয়েছে ।
⚠️ অতিরিক্ত সতর্কতা
-
কোরবানির পশু অবশ্যই হৃষ্টপুষ্ট, সুস্থ ও দৃষ্টিনন্দন হওয়া উচিত।
-
কোরবানির জন্য পশু কেনার সময় তার বয়স ও শারীরিক অবস্থা ভালোভাবে পরীক্ষা করা জরুরি।
-
যদি কোরবানির জন্য নির্ধারিত পশুতে পরবর্তীতে কোনো ত্রুটি দেখা দেয়, তাহলে তার পরিবর্তে নতুন পশু কোরবানি করা উচিত।
কোরবানির পশু নির্বাচনের ক্ষেত্রে এই নির্দেশনাগুলো মেনে চললে আপনার কোরবানি শরিয়তসম্মত ও গ্রহণযোগ্য হবে।
আলীম