
ছবি: জনকণ্ঠ
ময়মনসিংহের চরে বাংলাদেশি ‘মদিনা মসজিদ’ সিরতা ইউনিয়নের চর-খরিচা গ্রামেই নির্মিত হয়েছে এটি। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অনন্য সংযোজন এ মদিনা মসজিদ। দেখতে মদিনার মসজিদে নববির মতো। এর মিনার ও অবকাঠামো। এ যেন মসজিদে নববির আরেকটি অবিকল বাংলাদেশি মদিনা মসজিদ। দুনিয়ার বুকে প্রতিষ্ঠিত মসজিদের ফজিলত সমপর্যায়ের হলেও মদিনা মসজিদের ফজিলত অন্য সব মসজিদ থেকে ভিন্ন।
দাওয়াতুল হক বাংলাদেশের আমির, মহিউস সুন্নাহ আল্লামা মাহমুদুল হাসান মসজিদটি নিজ উদ্যোগে গ্রামের বাড়িতে গড়ে তোলেন। ২০১১-২০১২ সালে মসজিদটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়, পরে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার আগেই ২০১৭ সালে জুম'য়া আদায়ের মাধ্যমে উদ্বোধন করা হয়।
ময়মনসিংহ সদর উপজেলা চর-খরিচা গ্রামে নির্মিত ‘মদিনা মসজিদ’ এর আকর্ষণ হচ্ছে এটি দেখতে মসজিদে নববির মতোন। তবে মিনাগুলোও দেখতে মসজিদে নববির সুউচ্চ মিনারের মতো কারুকাজ ভাবে ডিজাইন করা। মসজিদটির অন্যতম বিশেষত্ব হচ্ছে বৈদ্যুতিক গম্ভুজ সংযোজন, সুইচ অন করলেই সরে যায় মসজিদের গম্ভুজ। আর মসজিদের ভেতর থেকেই দেখা যায় উপরের আকাশ।
মসজিদটি ৪ তলা বিশিষ্ট। প্রতি তলায় কাতার সংখ্যা ১৯টি। প্রতি কাতারে ১১০ জন মুসল্লির দাঁড়াতে পারবে। সুউচ্চ ২টি মিনার। ৪ তলার উপর থেকে মিনারের উচ্চতা ১৬০ ফিট।
মসজিদটি মারকেল পাথর আর মিয়ানমার থেকে নিয়ে আসা কাঠের কারুকাজে সুসজ্জিত। মসজিদে উঠার জন্য একটি (স্কেলেটর) চলন্ত সিঁড়ির ব্যবস্থাপনাসহ রয়েছে মোট ৫টি সিঁড়ি। মুসল্লীদের প্রবেশ ও বাহির হওয়ার জন্য রয়েছে ছোট-বড় ৫টি দরজা।
দৃষ্টিনন্দন দেখতে মদিনার মসজিদের নববির মতো অত্যাধুনিক এ মসজিদ নির্মাণে ব্যয় হয় হয়েছে দুই শত কোটি টাকা। হৃদয় ও মনে লাভ করবে অন্যরকম এক তৃপ্তি।
সাব্বির