
ছবি আলজাজিরা
ইসরায়েলি হামলা ও অব্যাহত সামরিক অভিযানের মুখে গাজার উত্তরের বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পালিয়ে আসা হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে এমন এক অঞ্চলে, যা এখন একপ্রকার ‘মৃত্যুফাঁদে’ পরিণত হয়েছে।
গাজা সিটির পশ্চিম পাশে, বিশেষ করে সমুদ্রবন্দর এলাকার উপকূলীয় সড়ক ধরে গড়ে উঠেছে এইসব নতুন বাস্তুচ্যুত শিবির। একইভাবে খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চল থেকে পালিয়ে আসা লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আল-মাওয়াসি এলাকার দিকে, যেটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘নিরাপদ অঞ্চল’ হিসেবে ঘোষণা করা হলেও বাস্তবে সেখানে কোনো সুরক্ষা নেই।
গত কয়েক মাসে এই তথাকথিত ‘নিরাপদ অঞ্চলেই’ প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। এই অঞ্চলটির নিরাপত্তাহীন বাস্তবতা এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, যেখানে এটি শরণার্থীদের জন্য হয়ে উঠেছে ভয়াবহ এক মৃত্যুপুরী।
অবস্থা আরও জটিল হয়ে উঠেছে ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত বিমান হামলার কারণে। গাজার উত্তরের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে চালানো বোমাবর্ষণে একের পর এক আবাসিক ভবন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ড্রোন হামলায় দেইর আল-বালাহ শহরের একটি আবাসিক ভবনে সরাসরি হামলা চালানো হলে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। শহরের প্রাণকেন্দ্রেই ঘটেছে এই হামলা।
গাজার সাধারণ জনগণ যারা যুদ্ধের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপত্তার আশায় ছুটছে, তাদের সামনে এখন দুটোই মৃত্যু — একদিকে বিমান হামলার আশঙ্কা, অন্যদিকে তথাকথিত নিরাপদ আশ্রয়গুলোর অনিরাপদ বাস্তবতা।
এই পরিস্থিতিতে মানবিক বিপর্যয় চরমে পৌঁছেছে। আন্তর্জাতিক মহলের নিরবতা ও নিষ্ক্রিয়তায় অসহায় গাজার মানুষদের দুর্ভোগ যেন পিছু ছাড়ছে না।
এসএফ