ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২

ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ

মিছিলে ‘জামায়াত-শিবির রাজাকার’ স্লোগান দেওয়ার জন্য একটি দলের ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীদেরও লিখে দেওয়া হয়েছে

প্রকাশিত: ১৯:৪৬, ২৯ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ১৯:৪৭, ২৯ জুলাই ২০২৫

মিছিলে ‘জামায়াত-শিবির রাজাকার’ স্লোগান দেওয়ার জন্য একটি দলের ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীদেরও লিখে দেওয়া হয়েছে

ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, 'মিছিলে কী স্লোগান দিতে হবে, তা পর্যন্ত এখন ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীদের লিখে দিয়ে পাঠানো হচ্ছে।'

সম্প্রতি এনটিভিতে সরাসরি সম্প্রচারিত টকশো ‘সংলাপ প্রতিদিন’-এর ‘বিভেদের রাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. মাসুদ বলেন, “আপনি নিশ্চয় খেয়াল করেছেন, ঢাকায় যখন ‘জামায়াত-শিবির-রাজাকার এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়’ স্লোগান দেওয়া হচ্ছে, তখন গ্রামেও সেই স্লোগান পৌঁছে যাচ্ছে। আমি গ্রাম থেকে পাঠানো ভিডিওতে দেখেছি, সাধারণ লুঙ্গি-গেঞ্জি পরা মানুষও এই স্লোগান দিচ্ছে। তাদেরকে জিজ্ঞেস করলে বলছে, স্লোগান আগে থেকে লিখে দেওয়া হয়েছে। এটা জেলা থেকে উপজেলা, সেখান থেকে ইউনিয়ন, এবং অবশেষে ওয়ার্ড পর্যায়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

তিনি অভিযোগ করেন, রাজনীতির সিনিয়র নেতৃত্ব থেকে বিভেদের বার্তা দেওয়া হচ্ছে, যা নিচের স্তরে ছড়িয়ে পড়ছে। তার মতে, “যখন মাথা নষ্ট হয়ে যাবে, তখন শরীর বাঁচবে না।”

ড. শফিকুল আরও বলেন, “আমরা বারবার বলেছি, শহীদ কারো ব্যক্তিগত বা দলীয় সম্পদ নয়। যারা জীবন দিয়েছে, তারা দেশের জন্যই দিয়েছে। তারা কোনো দল বা গোষ্ঠীর প্রতিনিধি হিসেবে শহীদ হয়নি। অথচ তাদের নিয়েও এখন রাজনীতি হচ্ছে। জামায়াত ইসলামীর আমির ড. শফিকুর রহমান সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, শহীদ পরিবারকে সাহায্য দিতে কাউকে দলীয় পরিচয় জিজ্ঞেস করা হবে না। আমরা ২ লাখ টাকা করে সহযোগিতা দিয়েছি।”

তিনি আরও বলেন, “সবচেয়ে বেশি নেগেটিভ ইমপ্রেশনটা বিএনপি বা জাতীয়তাবাদী দল নিচ্ছে। কোন জায়গা থেকে? পাথর মেরে হত্যাকাণ্ড ঘটনাটা থেকে। দেখুন, তাদের নেতাকর্মীদের নিজেরাই বহিষ্কার করছে, পুলিশ গ্রেফতার করছে। পরিবারের সদস্যরাও মিডিয়াতে বলছে তারা জড়িত। অথচ আমাদের করা প্রতিবাদে এটা পরিষ্কার বলা হয়েছে, আমরা কোনো ব্যক্তি বা দলের বিরুদ্ধে নয়, বরং ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের মতো নৃশংস ঘটনা যেন আর না ঘটে, সেই দাবিতে মাঠে নেমেছি।”

তিনি দাবি করেন, “যদি কেউ বলেন, জামায়াতে ইসলামীর কারণে বর্তমান সহিংসতা শুরু হয়েছে, তবে সেটা হবে মিথ্যা এবং অবিচার। বরং যাঁরা এই কথা বলছেন, তাদের দায়িত্বশীল আচরণ করা উচিত।”

তিনি আলোচনায় অংশ নেওয়া অপর পক্ষকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “যদি বুঝেশুনে এসব কথা বলেন, তাহলে সেগুলো প্রত্যাহার করা উচিত। আর না বুঝে বললে ভবিষ্যতে সত্য উদঘাটনের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করা উচিত।”

সূত্রঃ https://www.facebook.com/share/v/1APpCA55Jd/

ইমরান

×