
ছবি: সংগৃহীত
‘জুলাই আন্দোলনের চেতনা এখনো অটুট, আমরা ফোকাস হারাইনি’—এমনটাই জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম। এক টকশোতে তিনি বলেন, “এই সরকার একটি গণঅভ্যুত্থানের ফসল। গণতন্ত্র, সংস্কার ও নির্বাচনের আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নের জন্যই এই অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে।”
টকশোতে শফিকুল আলম বলেন, “৩৬ জুলাই হয়তো ক্যালেন্ডারে আসবে না, কিন্তু মানুষের মনে এই দিনের স্মৃতি গেঁথে গেছে। মত ও দ্বিমতের স্বাধীনতার পাশাপাশি জনগণের মধ্যে নতুন ভাবনা ও রাজনৈতিক চেতনা তৈরি হয়েছে।”
আওয়ামী লীগ সরি না বললে রিকনসিলিয়েশন কীভাবে?
আওয়ামী লীগের সাময়িক কার্যক্রম স্থগিত প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, “আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা গণহত্যার সাথে জড়িত, তবু ১০ মাস সময় দেওয়া হয়েছিল—তারা কোনো দুঃখ প্রকাশ করেনি, ‘সরি’ বলেনি। এ অবস্থায় জনগণ কীভাবে এই দলে আস্থা রাখবে?”
তিনি বলেন, “এই জাতিকে জঙ্গি বলা হয়েছে, জুলাইয়ের আন্দোলনকারীদের সন্ত্রাসী বলা হয়েছে। যারা নিজের অন্যায় স্বীকার করে না, তাদেরকে রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ফিরিয়ে আনার সুযোগ কীভাবে দেওয়া যায়? যারা ২৫ হাজার মানুষের অঙ্গহানির দায় স্বীকার করে না, তাদের রাজনীতি কেন থাকবে?”
শফিকুল আলম আরও বলেন, “আমরা চাইনি হুট করে কোনো দলকে নিষিদ্ধ করতে। কিন্তু যাদের হাতে রক্ত নেই, তারাও ‘সরি’ বলছে না, বরং উল্টো জাতিকে দোষারোপ করছে। এই পরিস্থিতিতে জনগণের পক্ষ থেকে ফেয়ারনেস বজায় রেখেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
আসিফ