ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২

কিশোরগঞ্জে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ

আদালতকে ফ্যাসিবাদের দোসর মুক্ত করতে হবে

নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ

প্রকাশিত: ২২:৩৮, ৪ জুলাই ২০২৫

আদালতকে ফ্যাসিবাদের দোসর মুক্ত করতে হবে

ছবি: জনকন্ঠ

গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ অভিযোগ করে বলেন, "আদালতে এখনও ফ্যাসিবাদের দোসরদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আগে হাসিনার নির্দেশে রায় হতো এখন কার নির্দেশে আদালত চলছে সেটা খুঁজে বের করতে হবে। আদালতকে ফ্যাসিবাদের দোসর মুক্ত করতে হবে। কেননা, জুলাই গণঅভ্যুত্থান না হলে এই দেশের মানুষ ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তি পেত না। সেই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে, জনগণ মুক্ত করার জন্য পুলিশের গুলির সামনে বুক পেতে দিয়েছিল তাদের মধ্যে অন্যতম নুরুল হক নুর। অথচ এই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নেতাদের নামে আদালত কিভাবে মিথ্যা মামলার নেওয়ার নির্দেশ দেয় সেটা বোধগম্য নয়।"

আজ (৪ জুলাই) শুক্রবার বিকেলে আবু হানিফ গণঅধিকার পরিষদের উদ্যোগে কিশোরগঞ্জে অনুষ্ঠিত নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ প্রদর্শন শেষে জেলা শহরের আখড়াবাজার মুক্তমঞ্চের সামনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

বরিশালে আদালত কর্তৃক গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাশেদ খাঁনসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদের দোসর জাতীয় পার্টির মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা গ্রহণের নির্দেশের প্রতিবাদে প্রতিবাদী এই কর্মসূচির আয়োজন করে গণঅধিকার পরিষদ, কিশোরগঞ্জ জেলা কমিটি।

কিশোরগঞ্জ জেলা গণঅধিকার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন তালুকদারের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যের বক্তৃতা করেন জেলা গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অভি চৌধুরী, জেলা যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি সোহাগ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক হাসান আহমেদ রমজান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি ইমন খান, সাধারণ সম্পাদক পায়েল চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক, সহ-সভাপতি আশরাফ প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, "আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল। জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয় স্বৈরাচার হাসিনা। হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার দোসররা এখনও দেশে রয়ে গেছে। ১৪ দল ও জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগকে ফ্যাসিবাদ হতে সহযোগিতা করেছে। আওয়ামী লীগের বিচারের পাশাপাশি এই দোসরদের বিচার হওয়া উচিত। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ১১ মাস হয়ে গেলেও এখনও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ধরা ছোঁয়ার বাহিরে। ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে যারা ক্ষমতায় বসেছে, তারাও যথাযথ দায়িত্ব পালন করছেন না। এই সরকার আওয়ামী লীগ ও তার দোসরদের পাহারাদার হিসেবে কাজ কাজ করছে।"

Mily

আরো পড়ুন  

×