ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২

যারা ফ্যাসিবাদের স্বপ্ন দেখেন আমরা সেই স্বপ্নকে দুঃস্বপ্নে পরিণত করব: ডা. শফিকুর রহমান

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২২:১৮, ৪ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ২২:১৯, ৪ জুলাই ২০২৫

যারা ফ্যাসিবাদের স্বপ্ন দেখেন আমরা সেই স্বপ্নকে দুঃস্বপ্নে পরিণত করব: ডা. শফিকুর রহমান

৪ জুলাই, জুমাবার বিকাল ৩টায় রংপুর মহানগরী ও জেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে জেলা হাইস্কুল মাঠে আয়োজিত মহানগরী আমীর মাওলানা এটিএম আজম খানের সভাপতিত্বে বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান।

প্রধান অতিথি আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, কেউ যদি আওয়ামী ফ্যাসিবাদের মত নির্বাচনের স্বপ্ন দেখে থাকেন, আমরা আল্লাহর সাহায্যে তাদের সেই স্বপ্নকে দুঃস্বপ্নে পরিণত করব। তাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে দেওয়া হবে না। কোনো প্রশাসনিক ক্যু করতে দেওয়া হবে না। ভোট কেন্দ্রে কোনো মস্তানতন্ত্র চলবে না। কালো টাকার কোনো খেলা সহ্য করা হবে না। আবু সাঈদরা চলে গেলেও তারা যে আওয়াজ, যে শিক্ষা, যে অনুপ্রেরণা রেখে গিয়েছে তা আমাদের প্রেরণা। আমরা দৃঢ় কণ্ঠে বলতে চাই- আবু সাঈদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ। একটি মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই লড়াই-সংগ্রাম চলবে।

তিনি আরও বরেনন, জনগণের ভোটাধিকার রক্ষায় জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন সাবেক আমীর অধ্যাপক গোলাম আযম সর্বপ্রথম জাতির সামনে কেয়ারটেকার সরকারের প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছিলেন; যার ভিত্তিতে ১৯৯১ থেকে পরপর তিনটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তারপর কেয়ারটেকার সরকারকে খেয়ে ফেলা হয়েছে। বিগত ১৫ বছরে আমাদের মোট ১১ জন শীর্ষ নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। তারা জীবিত থাকলে জাতিকে অন্ধকার থেকে আলোতে নিয়ে আসতেন, জাতিকে পথ দেখাতেন।

তিনি বলেন, আমাদের সম্মানিত শহীদ নেতৃবৃন্দ এক মুহূর্তের জন্যও কারো কাছে মাথা নত করেননি। যেই মাথা তারা আল্লাহর কাছে নত করেছেন সেই মাথা কোনো লোভ-লালসার কাছে  তারা বিকিয়ে দেননি। হুমকি-ধমকির কোনো পরওয়া করতেন না। বরং হাসতে হাসতে ফাঁসির মঞ্চে গিয়েছেন। তারা যে ষোল আনা নির্দোষ ছিলেন, তা এটিএম আজহারুল ইসলামের বেকসুর খালাসের মাধ্যমেই প্রমাণিত হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, মানবতার মুক্তির জন্য তরুণদেরকে জীবন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। মানবতার মুক্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এ লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে। আফসোসের বিষয়, আবু সাঈদ-মুগ্ধদের জীবনের বিনিময়ে আমরা একটি মুক্ত স্বাধীন দেশ পেলাম, অথচ আমরা ধৈর্য ধরতে পারছি না। পত্রিকার পাতা খুললে, স্যাটেলাইট টিভির সামনে বসলে আমরা কিছু বিভৎস মানুষের কালো থাবা দেখতে পাই। আমাদের মা বোনদের উপর, জীবনের উপর, সম্পদের উপর এই থাবা দেখছি। তারা এতই দিশেহারা হয়ে পড়েছে যে, নিজ দলের লোকদেরও হত্যা করতে দ্বিধাবোধ করছে না। আমি বলি- যদি গত ২০২৪ এর এই পরিবর্তন না হতো তাহলে কী তারা এইভাবে মুক্ত আকাশে, মুক্ত বাতাসে ঘুরতে পারতো? 

নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন কোনোভাবেই সম্ভব নয়। সুষ্ঠু নির্বাচনের কতগুলি মৌলিক সংস্কার অবশ্যই হতে হবে। আমরা সেইসব সংস্কার চাই এবং তা অবশ্যই আদায় করে ছাড়ব এবং সুষ্ঠু নির্বাচনও করব। 

তিনি রংপুরবাসীর উদ্দেশে বলেন, দেশের এই বিরাট পরিবর্তনের ‘আইকন’ আপনাদের ‘আবু সাঈদ।’ তার  গর্বিত পিতাসহ পরিবারের সদস্যরা এখানে আছেন। আমরা মহান রব্বে কারিমের দরবারে শুকরিয়া আদায় করি, আল্লাহর দরবারে দোয়া করি এই শহীদ পরিবারগুলোর দায়িত্ব আল্লাহ নিজেই যেন গ্রহণ করেন। এই পরিবারগুলোকে আল্লাহ তাআলা দুনিয়া ও আখিরাতে যেন সম্মানিত করেন। এই পরিবারগুলোর শহীদেরা লড়াই করার যে ছবক, যে শিক্ষা জাতিকে শিখিয়ে গিয়েছেন আমরা যেন তা বুকে ধারণ করে মানবতার মুক্তির জন্য লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যেতে পারি। আবু সাঈদের সঙ্গীরা আরেকবার জেগে ওঠো; তোমরা বৈষম্যহীন সমাজের জন্য লড়াই করেছিলে। আমরা তোমাদের জন্য আল্লাহর সাহায্যে একটি  নিরাপদ বাংলাদেশ রেখে যেতে চাই। যুবকদের হাত যেন আগামী দিনে মজবুত থাকে; নির্বাচনে কেউ যেন অপকর্ম করার সুযোগ না পায়, জনগণের ন্যায্য ভোটে যারাই নির্বাচিত হবে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তাদের অভিনন্দন জানানোর জন্য এখন থেকেই প্রস্তুত। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যদি জাতির খেদমত করার জন্য জামায়াতে ইসলামীকে কবুল করেন, তখন আমরা যুবকদেরকে বুকে ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাবো, ইনশাআল্লাহ। 

তিনি বলেন, আমরা এমন একটি সমাজের স্বপ্ন দেখি যেই সমাজ আমাদের শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে, যেই সমাজে কোনো বৈষম্য থাকবে না, যে সমাজে জাত-পাত-ধর্মে কোনো বিভক্তি থাকবে না। গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে দল-মত-ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে সাথে নিয়ে সামনে এগিয়ে যাবো। বিগত ৫৪ বছরে যারা সংখ্যালঘুদের নির্যাতন করা হচ্ছে বলে মায়াকান্না করেছে, আমি মহান রবকে সাক্ষী রেখে বলছি, সংখ্যালঘুদের ঘর-বাড়ি, জমি-জমা এরাই ডাকাতি করেছে। আমরা সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু মানি না। এসব বলেই সংখ্যালঘুদের ক্ষতিসাধন করা হয়েছে। এদেশে যারাই জন্মগ্রহণ করেছে, তারা সকলেই সম-মর্যাদার গর্বিত নাগরিক। আমাদের সংবিধান সকলকে এই অধিকার দিয়েছে। কথা দিচ্ছি- সংবিধান আমাদেরকে যা দিবে, আমরা তার পাহারাদার হবো ইনশাআল্লাহ। তারা মালিক হয়েছিল রাষ্ট্রের। আমরা জনগণের সেবক হবো ইনশাআল্লাহ। 

মব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মব কোনো নতুন কালচার নয় বাংলাদেশের জন্য। ১৯৭২ সাল থেকে এই মব চলছে। ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে নারীদের স্তন কেটে মালা বানিয়ে গলায় পরেছে এমন কুলাঙ্গার বাংলাদেশে এখনো জীবিত আছে। সেই নারী যেই হোকে সে আমার মা, সে আমার বোন, সে আমর মেয়ে; তার স্তন কাটাতো দূরের কথা, তার ইজ্জতে হাত দেওয়ার অধিকার আল্লাহ কাউকে দেননি। সেগুলি কী মব ছিল না? জীবন্ত মানুষকে কুচিয়ে কুচিয়ে ড্যাগার দিয়ে মুভি ক্যামেরার সামনে হত্যা করা হয়েছে, সেগুলিও মব ছিল। তবে আমরা কোনো ‘মব’ কেই সমর্থন করি না। কোনো নাগরিক আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার এখতিয়ার রাখেন না। রাষ্ট্রের বিদ্যমান আইনের ভিত্তিতেই বিচার হবে, যদি কেউ অপরাধ করে থাকে। অপরাধীর বিচার করা জনগণের বিষয় নয়। এই দায়িত্ব বিচার বিভাগের। ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে যারা নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন, যারা পঙ্গু হয়েছেন তাদের সকলের বিচার জনগণ দেখতে চায়। এই সব অপকর্মের বিচার নিশ্চিত করতে পারলে, কেউ নিজ দলকে খুশি করার জন্য এ জাতীয় অপকর্ম করার দুঃসাহস দেখাতে পারবে না। আর যদি বিচার না হয়, তবে অবিচারের সংস্কৃতির কারণে বাংলাদেশ একটা জঙ্গলে পরিণত হবে। আমরা তা হতে দিব না। 

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনের আগে বহু ষড়যন্ত্র লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বহু ধরনের কথাবার্তা ময়দানে শোনা যাচ্ছে। নানা ধরনের ইঞ্জিনিয়ারিং এর আলামত দেখা যাচ্ছে। আমরা সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, পতিত শেখ হাসিনার হাতে সকল ধরনের বাহিনী ছিলম দোর্দন্ড প্রতাপ ছিল, সকল সেক্টরে নিজেদের লোক বসিয়েছিল, তারপরও  তাদের শেষ রক্ষা হয়নি। কেউ যদি এমন চিন্তা করেন, সময় থাকতে সাবধান হয়ে যান। 

জনাব এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেন, আমি আপনাদের সামনে মিটিং করতে পারব এটা কোনো সময় আমার চিন্তায় আসেনি। আমি কারাগারে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝোলার জন্য প্রস্তুত ছিলাম; আল্লাহর অশেষ মেহেরবাণীতে আমি ফাঁসির মঞ্চ থেকে জনতার মঞ্চে হাজির হতে পেরেছি, আল-হামদুলিল্লাহ। যে গলায় ফাঁসির রসি ঝোলার কথা সেখানে আজ ফুলের মালা ঝুলছে। এসবই আল্লাহর বিশেষ রহমত। রংপুরবাসী সাক্ষী আমি অপরাধী নই। তবুও অপরাধী বানিয়ে আমাকে অনেক কষ্ট দেওয়া হল। জোর করে যাদেরকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ানো হয়েছে ,তাদের কারো বিরুদ্ধে আমার কোনো ক্ষোভ বা অভিযোগ নেই। 

তিনি আরও বলেন, আমাদের মুক্তির প্রথম সোপান হল আবু সাঈদ। তার রক্তের উপর দাঁড়িয়েই লড়াই-সংগ্রাম বেগবান হলো যার পরিসমাপ্তি ঘটল ৫ আগস্ট। আবু সাঈদের মৃত্যুই আমার মুক্তির পথ সূচনা করেছে। আমি তাঁর খুনিদের দ্রুত বিচার দাবি করছি। আমি যাদের সাথে কাজ করেছি মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীসহ তাদেরকে মিথ্যা অভিযোগে হত্যা করা হয়েছে। আমি তাদের সকলের রূহের মাগফিরাত কামনা করছি, তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। 

তিনি আরও বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের মিথ্যা অভিযোগে যাদেরকে হত্যা করা হয়েছে, এইসব বিচার প্রক্রিয়ার সাথে যারা যেখানে, যেভাবে জড়িত তাদের সকলকে বিচারের আওতায় এনে অতি দ্রুত তাদের বিচার নিশ্চিত করার জন্য আমি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি। সেই সাথে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। 

তিনি বলেন, আমার এই রায়ের মাধ্যমে শুধু এটিএম আজহারুল ইসলাম-ই মুক্তি পায়নি; বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীও সকল মিথ্যা দায় থেকে মুক্ত হয়েছে। এটা আল্লাহর বিশেষ রহমত। 

অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, বিগত আন্দোলনের ফলে ফ্যাসিবাদীরা পালিয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশ মুক্ত হয়েছে। আমরা কথা বলতে পারছি, সমাবেশ করতে পারছি, মুক্ত বাতাসে চলাফেরা করতে পারছি। যারা ভাত ও ভোটের অধিকার আদায়ের কথা বলে বিগত ৫৪ বছর ক্ষমতায় ছিল তারা জনগণের জন্য কিছুই করতে পারেনি। যত দিন পর্যন্ত কুরআনের বিধান চালু না হবে, ততদিন পর্যন্ত দেশে শান্তি আসতে পারে না। মানুষের তৈরি আইন যাতে সংসদে যেতে না পারে; তার জন্য আরেকবার দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। 

সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন। তিনি সকলকে জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রায় দুই হাজার ছাত্র-জনতা তাদের অমূল্য জীবন বিসর্জন দিয়েছেন। প্রায় ৩০ হাজার আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারী রয়েছেন, তাদের স্বপ্ন পূরণের জন্য জাতিকে আহ্বান জানিয়েছেন। এই আন্দোলনে ছাত্র-জনতা বলেছিল আমরা ন্যায় বিচার চাই। এই ন্যায় বিচার শুধু আল্লাহর কুরআনের মধ্যেই নিহিত রয়েছে, তা আমাদেরকে বাস্তবায়ন করতে হবে। ইসলামী শক্তির মধ্যে যে ঐক্য আমরা লক্ষ্য করছি তা কাজে লাগিয়ে আগামীর সেই ন্যায় বিচারের বাংলাদেশ গড়তে হবে। 

মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, বিগত সাড়ে ১৫ বছর ইসলামকে বাদ দিয়ে ভারতীয় মন্ত্র-তন্ত্রে দেশ পরিচালনা করা হয়েছে। তারা দেশের স্বার্থকে না দেখে বিদেশী স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েছিল এবং সেই বিদেশী প্রভুর মদদেই তারা দেশে ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছিল। এই অবস্থার পরিবর্তনের জন্য ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হবে। জালিম সরকার আমাদের প্রিয় নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে আল্লাহর মদদে ফাঁসি দিতে পারে নাই। আমি রংপুরবাসীকে আগামী নির্বাচনে এটিএম আজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে জামায়াতের পক্ষে বড় চমক দেখানোর আহ্বান জানাচ্ছি।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মজলুম জননেতা জনাব এটিএম আজহারুল ইসলাম, নায়েবে আমীর সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল পরিচালক মাওলানা আবদুল হালিম, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর জনাব নূরুল ইসলাম বুলবুল, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর জনাব মোঃ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রংপুর দিনাজপুর অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা মমতাজ উদ্দিন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রংপুর দিনাজপুর অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও রংপুর জেলা আমীর অধ্যাপক মুহাম্মদ গোলাম রব্বানী, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগরী ও জেলার স্থানীয় নেতৃবন্দ।  

নুসরাত

আরো পড়ুন  

×