
ছবি: সংগৃহীত।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া বিএনপির একটি অনুষ্ঠানের ছবি ঘিরে শুরু হয় নানা সমালোচনা ও বিভ্রান্তি। ভাইরাল ছবিতে দেখা যায়, এক আহত ‘জুলাই যোদ্ধা’ নাদিম দাঁড়িয়ে আছেন, পেছনে বসে রয়েছেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা। অনেকে এটিকে ‘বিএনপির অবজ্ঞার প্রমাণ’ বলেও উল্লেখ করেছেন। তবে অবশেষে সেই ঘটনার প্রকৃত ব্যাখ্যা দিয়েছেন আহত নাদিম নিজেই, এক বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে এসে।
নাদিম বলেন, “ছবিটা পরিকল্পিতভাবে ভাইরাল করা হয়েছে। আমরা একটু দেরিতে পৌঁছাইছিলাম অনুষ্ঠানস্থলে, তখন জাতীয় সংগীত চলছিল। আমাদের জন্য নির্দিষ্ট আসন রাখা ছিল। কিন্তু দেরিতে ঢোকার কারণে আমরা মিডিয়া সেকশনের পাশে বসি। তারপর আমাকে বক্তব্যের জন্য ডাকলে, দলের সিনিয়র নেতারা সামনে বসার ব্যবস্থা করেন।”
তিনি জানান, বক্তব্য শেষ করে তিনি মির্জা আব্বাসের পাশে বসেন। মির্জা আব্বাস তাঁর চিকিৎসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ও খোঁজখবর নেন। এমনকি ভাইরাল হওয়া মুহূর্তটির আগেই এবং পরে, নাদিমের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ ও দেখভালের ভিডিও ফুটেজও তিনি দেখান।
নাদিম স্পষ্ট করে বলেন, “ছবিটি যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, তা মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর। আমি গর্বিত যে বিএনপির সিনিয়র নেতারা আমাকে সম্মান ও ভালোবাসা দিয়েছেন।”
তিনি অভিযোগ করেন, এই ছবিকে ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিএনপির বিরুদ্ধে ‘পিনাকী দা’-সহ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি অপপ্রচারে যুক্ত হয়েছেন। নাদিম বলেন, “আমি ওনাকে শ্রদ্ধা করতাম, কিন্তু এখন মনে হচ্ছে উনি না বুঝেই একটা বিভ্রান্তিকর বার্তা ছড়িয়েছেন।”
টকশোতে উপস্থিত সঞ্চালক ও দর্শকদের সামনে নাদিম ভিডিও ক্লিপ দেখান, যেখানে দেখা যায়—মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাসসহ অন্যান্য নেতারা তাঁর প্রতি সহমর্মিতা দেখাচ্ছেন, চিকিৎসা নিয়ে প্রশ্ন করছেন, এবং তাকে সহায়তা করছেন।
তিনি আরও বলেন, “আমরা যারা আহত বা নির্যাতিত, আমাদেরকে নিরাপত্তা দিতে দলের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট কিছু লোককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। পুরোটা পরিকল্পিত ও সম্মানজনকভাবে হয়েছে।”
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=Ahxq_mIvXlA&ab_channel=BVNEWS24
নুসরাত