
ছবি: সংগৃহীত
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক জননেতা সাইফুল হক বলেছেন, লন্ডনে সরকার প্রধান ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনের মধ্যকার সাম্প্রতিক বৈঠকের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক অচলাবস্থা, সন্দেহ ও অবিশ্বাস অনেকখানি কমবে বলে আশা করা যায়।
তিনি এই উদ্যোগকে সরকারের "বিলম্বিত বোধোদয়" আখ্যা দিয়ে বলেন, এ সিদ্ধান্ত আরও আগে নিলে অনাকাঙ্ক্ষিত অনেক বিতর্ক ও রাজনৈতিক বৈরিতা এড়িয়ে নির্বাচনী প্রস্তুতিসহ গুরুত্বপূর্ণ কাজে মনোযোগ দেওয়া যেত।
শনিবার সকালে দলীয় ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, এই বৈঠক বিচার সংস্কার ও নির্বাচনের মাধ্যমে একটি অন্তর্বর্তী সরকারের সম্মানজনক প্রস্থানের পথ তৈরি করতে পারে।
দুই নেতার আলোচনার বিষয়বস্তু দেশবাসী ও রাজনৈতিক দলগুলোর সামনে আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থাপনের আহ্বান জানান তিনি। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনসহ সব গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনের সঙ্গে কার্যকর সংলাপের প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন।
সমাবেশে পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী বলেন, “বহু রক্তের বিনিময়ে আমরা ফ্যাসিবাদকে বিদায় জানিয়েছি। আমাদের লড়াই সাম্য, মানবিকতা ও গণতন্ত্রের রাষ্ট্র গঠনের জন্য।” আকবর খান বলেন, “জনগণের অধিকার রক্ষায় আমাদের দল আপোষহীন।” আবু হাসান টিপু বলেন, “কোনো স্বৈরতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে দেশে আর শিকড় গাঁঠতে দেওয়া হবে না।” আনছার আলী দুলাল বলেন, “দলকে একটি বিপ্লব উপযোগী সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।” মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক বলেন, “মেহনতি মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে আমাদের নেতাকর্মীদের আরও ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে হবে।”
সমাবেশ শেষে ভাষা শহীদ, মুক্তিযুদ্ধের শহীদ এবং গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন পার্টির সাধারণ সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতৃবৃন্দ।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও শ্রদ্ধা নিবেদন, শপথগ্রহণ ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আসিফ