ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১০ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২

জেমকন গ্রুপের কর্ণধার কাজী নাবিল পরিবারের ৩৬২ একর জমিসহ বিপুল সম্পদ জব্দ

প্রকাশিত: ০০:৪৮, ২৫ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ০০:৪৯, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

জেমকন গ্রুপের কর্ণধার কাজী নাবিল পরিবারের ৩৬২ একর জমিসহ বিপুল সম্পদ জব্দ

ছবি: কাজী নাবিল আহমেদ

জেমকন গ্রুপের কর্ণধার ও যশোর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, তাঁর পরিবার ও তাদের মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা বিপুল পরিমাণ সম্পদ জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব এই আদেশ দেন।

দুদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অনুসন্ধান চলমান থাকায় এই সম্পদসমূহ জব্দ করা প্রয়োজন। সংস্থাটির উপপরিচালক রেজাউল করিম এ বিষয়ে আদালতে আবেদন করেন। আদালতের আদেশ অনুযায়ী, কাজী নাবিল আহমেদ, তাঁর পরিবারের সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা মোট ৩৬২ দশমিক ৪৩ একর জমি, রাজধানী ঢাকায় সাতটি ফ্ল্যাট এবং জমিসহ একাধিক বাড়ি জব্দ করা হয়েছে। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ করা নাবিলের ভাই কাজী আনিস আহমেদের বিপুল অর্থের শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশও দেওয়া হয়েছে।

কাজী নাবিল আহমেদের নামে পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ায় ৩৪ দশমিক ৬৩ একর, বোদা উপজেলায় ২৫ দশমিক ৫৫ একর এবং সদরে ১০ একর জমি রয়েছে। খুলনা জেলায় তার নামে রয়েছে ২৪৬ একর জমি এবং রূপসা উপজেলায় আরও ২৬ দশমিক ৫১ একর জমি। ঢাকার ধানমন্ডিতে ১১ শতক জমির ওপর একটি ছয়তলা ভবনের এক-তৃতীয়াংশ, মোহাম্মদপুরে দুটি প্লট এবং গুলশানে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে তার নামে।

এছাড়া, জব্দকৃত সম্পত্তির মধ্যে নাবিলের বাবা প্রয়াত কাজী শাহেদ আহমেদের নামে ধানমন্ডিতে ১৬ দশমিক ৫০ শতক জমিসহ একটি ছয়তলা ভবন এবং যশোরে জমিসহ একটি দোতলা বাড়ি রয়েছে। যশোরের কাজীপাড়ায় ১৫ দশমিক ৯৮ একর জমি এবং কক্সবাজারের টেকনাফে ২ দশমিক ২৪ একর জমিও রয়েছে।

জব্দের আদেশ দেওয়া সম্পত্তির মধ্যে নাবিলের মা আমিনা আহমেদের নামে রয়েছে ধানমন্ডিতে তিনটি ফ্ল্যাট এবং সেন্টমার্টিন দ্বীপে ১ দশমিক ৪৪ একর জমি। ভাই কাজী আনিস আহমেদের নামে ধানমন্ডিতে ১১ শতক জমিসহ একটি ছয়তলা বাড়ির এক-তৃতীয়াংশ এবং গুলশানে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। অপর ভাই কাজী ইনাম আহমেদের নামে ধানমন্ডিতে একই ছয়তলা ভবনের আরও এক-তৃতীয়াংশ এবং ধানমন্ডি ও গুলশানে দুটি ফ্ল্যাটও রয়েছে জব্দকৃত সম্পত্তির মধ্যে।

এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠানে কাজী আনিস আহমেদ বিনিয়োগ করেছেন ৬১ লাখ ৩৯ হাজার ৩১ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৭৫ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া এই বিনিয়োগ করা হয়েছে বলে দুদকের আবেদনে উল্লেখ করা হয়। আদালত ওই বিদেশি বিনিয়োগও অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

রাকিব

×