
শিক্ষা মানুষের জীবনে আশার আলো জ্বালায়, চিন্তার দ্বার উন্মুক্ত করে এবং জীবনের নতুন সম্ভাবনার পথ দেখায়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আজকের বাংলাদেশে এই শিক্ষাব্যবস্থাই অনেক শিক্ষার্থীর কাছে এক অদৃশ্য বোঝায় পরিণত হয়েছে। অতিরিক্ত পাঠ্যচাপ, প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ, নম্বরভিত্তিক মূল্যায়ন পদ্ধতি এবং চাকরির অনিশ্চয়তা শিক্ষার্থীদের মধ্যে তৈরি করছে গভীর হতাশা ও মানসিক চাপ। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা, মানসিক বিপর্যয় ও অসুস্থতার ঘটনা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে যে, শিক্ষাব্যবস্থায় কিছু মৌলিক কাঠামোগত এবং মানবিক সমস্যা রয়েছে। এসব সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান না করলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সম্ভাবনাই নয়, দেশের সামগ্রিক উন্নয়নও হুমকির মুখে পড়বে।
বাংলাদেশের বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা এক গভীর সংকটের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছে। এখনো অনেকাংশে এই ব্যবস্থা মুখস্থ নির্ভর, পরীক্ষাকেন্দ্রিক এবং প্রতিযোগিতার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। শিক্ষার্থীরা জ্ঞান অর্জনের আনন্দ উপভোগ না করে, বরং পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য চাপ অনুভব করে। এতে তাদের মানসিক সুস্থতা বিঘ্নিত হচ্ছে এবং পড়ালেখাকে তারা এক ধরনের বোঝা মনে করছে। শিক্ষা যেন জীবনের জন্য নয়, শুধুই একটি চাকরির সনদ পাওয়ার মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ধরনের পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা ও সমস্যা সমাধানের সক্ষমতা গড়ে তুলতে ব্যর্থ হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সংকটের পেছনে রয়েছে কয়েকটি কাঠামোগত ও প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা। বর্তমান পাঠ্যক্রম অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাত্ত্বিক এবং বাস্তব জীবনের সঙ্গে সম্পর্কহীন, যা কর্মজীবনে প্রয়োগযোগ্য নয়। পাশাপাশি দক্ষ ও প্রশিক্ষিত শিক্ষকের অভাব, শিক্ষকদের পেশাগত উন্নয়নের সুযোগ সীমিত এবং আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে অনেকের অজ্ঞতা শিক্ষার মানকে নিচে নামিয়ে দিচ্ছে। গ্রামীণ ও প্রান্তিক অঞ্চলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অবকাঠামো অত্যন্ত দুর্বল- বিজ্ঞানাগার, গ্রন্থাগার, খেলাধুলা বা ডিজিটাল শিক্ষার সুযোগ নেই বললেই চলে। সর্বোপরি, শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা নিয়ে এখনো কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেই; কাউন্সেলিং, স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট বা মানসিক সুস্থতা নিশ্চিতকরণে কোনো সরকারি পদক্ষেপ তেমনভাবে গৃহীত হয়নি। ফলে এই সংকট এখনই সমাধান না করলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এক উদ্বেগজনক বাস্তবতার মুখোমুখি হবে।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই যুগে বিশ্ব এক বিশাল রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (অও), রোবোটিক্স, বিগ ডেটা, ব্লকচেইন, এবং ইন্টারনেট অব থিংস (ওড়ঞ) এর মতো প্রযুক্তি আমাদের কাজের ধরন, ব্যবসা-বাণিজ্য, এমনকি দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি স্তরে প্রভাব ফেলছে। এই নতুন বাস্তবতা কর্মক্ষেত্রে যেমন বিপুল সম্ভাবনা তৈরি করছে, তেমনি তৈরি করছে নতুন চ্যালেঞ্জ। আগের মতো কেবল পাঠ্যবই মুখস্থ করে ভালো ফলাফল করলেই চলবে না; বরং শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৃজনশীল চিন্তাভাবনা, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা, প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও মানসিক অভিযোজন ক্ষমতা গড়ে তুলতে হবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা এখনো মূলত তাত্ত্বিক, মুখস্থবিদ্যা ও পরীক্ষাকেন্দ্রিক, যা শিক্ষার্থীদের এই বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত করতে ব্যর্থ হচ্ছে।
ফলে, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় একটি মৌলিক পরিবর্তন জরুরি। পাঠ্যক্রমে আধুনিক প্রযুক্তি, কোডিং, ডিজিটাল সাক্ষরতা এবং সফট স্কিল যুক্ত করতে হবে। শিক্ষক প্রশিক্ষণ, শিক্ষা অবকাঠামো ও ডিজিটাল সরঞ্জামের প্রসার ঘটাতে হবে। নতুবা, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম দেশীয় চাকরি বাজারে তো বটেই, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও প্রতিযোগিতার বাইরে চলে যাবে। সুতরাং, শিক্ষার মাধ্যমে বিশ্বমানের দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলাই এখন সবচেয়ে জরুরি ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ।
বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় কাঠামোগত পরিবর্তন অত্যন্ত জরুরি হয়ে উঠেছে, কারণ বর্তমান ব্যবস্থাটি নতুন যুগের চাহিদা পূরণে অক্ষম। প্রথমত, দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষার দিকে মনোযোগ দিতে হবে। শিক্ষার্থীদের শুধু তথ্য মুখস্থ করানোর পরিবর্তে বিশ্লেষণধর্মী চিন্তা, সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা, সৃজনশীলতা এবং যোগাযোগ দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করতে হবে। এসব দক্ষতা ভবিষ্যতে চাকরি বা উদ্যোক্তা জীবনে টিকে থাকার জন্য অপরিহার্য। পাশাপাশি প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ক্লাসরুম, নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ এবং আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার সহজলভ্য করতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা কম্পিউটার, সফটওয়্যার ও অনলাইন রিসোর্স ব্যবহার করে আধুনিক শিক্ষার সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে পারে।
দ্বিতীয়ত, শিক্ষার সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করা দরকার। শুধু পরীক্ষার ফলাফল বা পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা, সংস্কৃতি, নেতৃত্ব বিকাশ এবং সমাজসেবামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করতে হবে। এতে তারা পূর্ণাঙ্গ ও আত্মবিশ্বাসী মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে। তাছাড়া, উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের প্রশ্ন করার অভ্যাস, স্বাধীন চিন্তার সুযোগ এবং বাস্তব সমস্যা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরিবেশ দিতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমন একটি প্ল্যাটফর্মে রূপান্তর করতে হবে যেখানে নতুন কিছু আবিষ্কার ও উদ্ভাবনের মানসিকতা গড়ে ওঠে। শুধু এই ধরনের কাঠামোগত পরিবর্তনের মাধ্যমেই আমরা একটি আধুনিক, দক্ষ এবং মানবিক শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারব।
বর্তমান পরীক্ষাকেন্দ্রিক মূল্যায়ন পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের প্রকৃত সক্ষমতা যাচাইয়ের পরিবর্তে মুখস্থবিদ্যাকে উৎসাহিত করে। তাই এই পদ্ধতির আধুনিকীকরণ অত্যন্ত জরুরি। ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সার্বিক দক্ষতা যেমন সৃজনশীলতা, যৌক্তিক চিন্তাভাবনা, টিমওয়ার্ক এবং সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা মূল্যায়নের অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এর অংশ হিসেবে প্রজেক্ট ভিত্তিক শিক্ষা, দলগত কাজ (গ্রুপ ওয়ার্ক), মৌখিক উপস্থাপন (প্রেজেন্টেশন) এবং ব্যবহারিক কাজ অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। এসবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বাস্তব জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত হতে শিখবে। এই আধুনিক মূল্যায়ন পদ্ধতি শুধু পরীক্ষায় ভালো ফল করার দক্ষতা নয়, বরং শিক্ষার্থীদের বাস্তব প্রয়োগযোগ্য জ্ঞান ও সক্ষমতাকে তুলে ধরতে সাহায্য করবে, যা ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
একটি কার্যকর ও মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য দক্ষ ও অনুপ্রাণিত শিক্ষকের বিকল্প নেই। তাই শিক্ষকদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ, আধুনিক শিক্ষা কৌশল সম্পর্কে অবহিতকরণ এবং তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বিষয়ে দক্ষতা বদ্ধিতে বিনিয়োগ করা অত্যন্ত জরুরি। তাদের পেশাগত উন্নয়নের জন্য দেশব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা, সেমিনার এবং এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের ব্যবস্থা থাকতে হবে। পাশাপাশি, শিক্ষকদের সামাজিক মর্যাদা বাড়াতে ও পেশাগত সম্মান নিশ্চিত করতে আর্থিক প্রণোদনা ও পদোন্নতির সুযোগ বৃদ্ধি করা দরকার। এছাড়াও, মেধাবী তরুণদের এই মহান পেশায় আকৃষ্ট করার জন্য শিক্ষকতার পরিবেশ ও সুযোগ-সুবিধাকে আরও আকর্ষণীয় ও প্রতিযোগিতামূলক করে তুলতে হবে।
উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নে গবেষণার ভূমিকা অপরিসীম। তাই বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ, গবেষণার অবকাঠামো উন্নয়ন, এবং একটি উদ্দীপনামূলক পরিবেশ সৃষ্টি করা জরুরি। একইসঙ্গে, শিক্ষার্থীদের স্কুল জীবন থেকেই গবেষণার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে হবে। বিজ্ঞান মেলা, প্রোজেক্ট প্রদর্শনী, উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা এবং সমস্যা সমাধানভিত্তিক কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল চিন্তা ও বিশ্লেষণী ক্ষমতা গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি, শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করে গবেষণার ফলাফলকে বাস্তব জীবনে প্রয়োগের সুযোগ তৈরি করতে হবে। এতে জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি গড়ে তোলা এবং দেশের সার্বিক উন্নয়নে গবেষণার কার্যকর অবদান নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য মানসিক স্বাস্থ্যকে শিক্ষাব্যবস্থার কেন্দ্রে নিয়ে আসা অত্যন্ত জরুরি। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষিত কাউন্সেলর নিয়োগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ, উদ্বেগ, হতাশা এবং আত্মসম্মানবোধের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে সহায়তা করতে হবে। শিক্ষার্থীদের মানবিক ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে তাদের সমাজের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত করা জরুরি। এক্ষেত্রে কমিউনিটি সার্ভিস, স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ এবং সামাজিক সমস্যা সমাধানে সক্রিয় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিতে হবে। পরিবেশ সংরক্ষণ, দারিদ্র্য বিমোচন, স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি, নারী ও শিশুর অধিকার রক্ষা এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য শিক্ষা প্রসারের মতো কার্যক্রমে অংশগ্রহণ শিক্ষার্থীদের চিন্তাভাবনায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এসব উদ্যোগ তাদের মধ্যে সহানুভূতি, নেতৃত্ব, সামাজিক দায়বোধ ও সহযোগিতার মনোভাব গড়ে তুলবে। শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রমের বাইরেও এই ধরনের কার্যক্রমে যুক্ত করা হলে তারা শুধু পরীক্ষায় ভালো ফল করবে না, বরং সমাজ পরিবর্তনের শক্তি হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করবে।
শিক্ষার উন্নয়নে সরকারি ও বেসরকারি খাতের কার্যকর সহযোগিতা অপরিহার্য। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের প্রযুক্তি, দক্ষতা এবং অর্থায়নের মাধ্যমে শিক্ষার গুণগতমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তবে, সরকারের নিয়ন্ত্রণ এবং সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা থাকা আবশ্যক যাতে সহযোগিতা সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয় এবং শিক্ষাব্যবস্থার সামগ্রিক লক্ষ্য পূরণ হয়। পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে শিক্ষা বিনিময় কার্যক্রম, শিক্ষক প্রশিক্ষণ এবং গবেষণায় সমন্বিত সহযোগিতা বাড়ানো উচিত। এভাবে শিক্ষাক্ষেত্রে প্রযুক্তি এবং জ্ঞান আদান-প্রদান আরও প্রসারিত হবে এবং সার্বিক শিক্ষাগত উৎকর্ষতা অর্জন সম্ভব হবে।
শিক্ষাব্যবস্থার কাঠামোগত পরিবর্তন একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া, যা সমাজের সব স্তরের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া অসম্ভব। সরকার, শিক্ষক, অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদের সমন্বিত প্রচেষ্টা এই পরিবর্তনের মূল চালিকা শক্তি। একটি আধুনিক, মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুললে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সক্ষম হবে, দেশের উন্নয়নে অবদান রাখবে এবং প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকবে। শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড, যা শক্তিশালী হলে জাতি বিশ্ব দরবারে সম্মানিত স্থান অর্জন করবে। তাই শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তন শুধু প্রয়োজন নয়, জাতীয় অগ্রগতির অপরিহার্য শর্ত। এখনই নতুন দিগন্ত উন্মোচনের সময়।
লেখক : অধ্যাপক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
প্যারিস, ফ্রান্স থেকে
প্যানেল/মো.