ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২

বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক

উন্নয়নে সহায়ক হতে পারে দায় স্বীকার

খালিদ ইবনে আমিন

প্রকাশিত: ২০:১৫, ২১ এপ্রিল ২০২৫

উন্নয়নে সহায়ক হতে পারে দায় স্বীকার

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে এ দেশের লাখো মানুষের রক্তরাঙা শাহাদাত ও মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ। স্বাধীনতার গত ৫৪ বছরে ভূরাজনৈতিক ও আঞ্চলিক বাস্তবতার প্রেক্ষিতে দেশীয় রাজনৈতিক দলগুলো রাষ্ট্রের কূটনৈতিক কৌশল প্রণয়নে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বারবার। নিজ দেশের স্বার্থ সংরক্ষণ করে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্ক স্থাপনে কখনো প্রাজ্ঞতার পরিচয় দিতে পারেনি বিগত দিনে সরকারে থাকা অধিকাংশ দল। বৈদেশিক নীতি প্রণয়নে দলগুলো নিজেদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত ও চিরস্থায়ী করতে কোনো একটি দেশের প্রতি খুব বেশি মনোযোগী হয়েছে। দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে একপেশে সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে। করেছে অসম চুক্তি। স¦াধীনতার পর আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা নিয়ে শেখ মুজিবুর রহমান সরকার গঠন করেন। দেশ স্বাধীনের মাত্র ৪ বছরের মাথায় সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে, এমনকী আওয়ামী লীগও নিষিদ্ধ করে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেন শেখ মুজিব।
পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট ট্র্যাজেডির পর ভিন্নমাত্রার সামরিক শাসনের কথিত গণতান্ত্রিক মোড়কে অতিবাহিত হয় ১৫ বছর। ১৯৯১ সালে অবাধ নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক যাত্রা শুরু হয়। ৫৪ বছরের বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পথচলা কখনো মসৃণ ছিল না। যতবার সরকার পরিবর্তন ততবার বৈদেশিক নীতির পরিবর্তন হয়েছে। ফলে দেশের অগ্রযাত্রা যতটা হওয়ার কথা ছিল তা হয়নি। এ দায় দেশের নীতিনির্ধারক, রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী কেউই এড়াতে পারেন না। পাকিস্তান সরকার ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়, যদিও বাংলাদেশে দূতাবাস খোলে ১৯৭৬ সালে। অর্ধশতাব্দীকাল বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের অতি মাখামাখির পারদ দুনিয়াবাসী দেখেছে। দেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষকগণ বলেছেন, বিগত সময়ে ভারতের সঙ্গে যতগুলো অসম চুক্তি হয়েছে এর সবই হয়েছে ভারতের স্বার্থে। গত বছর ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের কূটনীতির আকাশে নতুন চাঁদের দেখা মিলেছে। নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রনীতি সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ইতিবাচক প্রভাব দৃশ্যমান। ড. ইউনূসের চীন সফর, বিমসটেক সম্মেলন, ঢাকায় আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলন, সর্বশেষ দেড় দশক পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিবের বাংলাদেশে আগমন দুই দেশের অমীমাংসিত সমস্যাগুলো সমাধানের পথ সুগম করবে বলেই মনে করছেন পেশাদার কূটনীতিকগণ। ২০১০ সালের নভেম্বরে ইসলামাবাদে সর্বশেষ বাংলাদেশ-পাকিস্তান পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল। ঐতিহাসিকভাবে অমীমাংসিত বিষয়গুলো সুরাহায় পাকিস্তান ভবিষ্যতে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছে। দেড় দশক পর প্রথম বৈঠকই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে ব্যাপারটা এমন নয়। দীর্ঘ ১৫ বছর পর পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে বৈঠক হলো। আগামী ২৭ ও ২৮ এপ্রিল ঢাকা সফর করবেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।
দেশপ্রেমিক বাংলাদেশীরা মনে করছেন, দক্ষিণ এশিয়ার বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে বিদ্যমান ঐতিহাসিকভাবে অমীমাংসিত বিষয়গুলোর দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন। একটি মজবুত, কল্যাণমুখী ও সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সম্পর্ক তৈরির লক্ষ্যে পাকিস্তানকেও সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে বাংলাদেশের প্রতি। বাংলাদেশ-পাকিস্তান যদি একযোগে কাজ করে তবে খুব বেশি সময় লাগবে না দুদেশের মাঝের প্রাচীর সরাতে।  
বর্তমান বৈশ্বিক বাস্তবতায় এই বৈঠক দুই দেশের ইতিবাচক উপলব্ধির প্রতিফলন হিসেবে দেখা যায়। মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশীদের প্রতি তৎকালীন পাকিস্তান সামরিক সরকার কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যা ও অন্যায় আচরণের জন্য আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নে পাকিস্তান উদার দৃষ্টি গ্রহণ করবে বলেই আমাদের বিশ্বাস। সম্প্রতি রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আয়োজিত দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব এম জসীম উদ্দিন এবং পাকিস্তানের পক্ষে দেশটির পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ। গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় অলোচনাটি ছিল অত্যন্ত হৃদ্যতাপূর্ণ। দুই দেশের সম্পর্কের মজবুত ভিত্তির স্বার্থে অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সুরাহা হওয়া জরুরি। ঢাকায় অনুষ্ঠিত দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশ এ বিষয়ে জোর দিয়েছে। আর বিষয়গুলোর সুরাহায় পাকিস্তান প্রকাশ করেছে সদিচ্ছা। আলোচ্য বৈঠকে বাংলাদেশ মোটাদাগে তিনটি দাবি জানিয়েছেÑ ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া, আটকেপড়া পাকিস্তানিদের প্রত্যাবাসন, অবিভাজিত সম্পদে বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যা প্রদান। সর্বোপরি ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বরের ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য প্রেরিত বিদেশ থেকে আসা ২০০ মিলিয়ন ডলার হস্তান্তরের আহ্বান। একাত্তর পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৬ হাজার ৯৪১ জন আটকে পড়া পাকিস্তানি নিজ দেশে ফিরে যায়। তবে এখনো বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাসহ ১৪টি জেলার ৭৯টি ক্যাম্পে ৩ লাখ ২৪ হাজার ১৪৭ জন আটকেপড়া পাকিস্তানি মানবেতর জীবনযাপন করছেন। উচ্চ আদালতের রায়ে পাকিস্তানি নাগরিকদের সন্তানদের জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব দিয়ে আসছে বাংলাদেশ।
রাষ্ট্রীয় তথ্য-উপাত্ত ঘেঁটে জানা যায়, পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশের পাওনা রয়েছে ৪.৩২ বিলিয়ন ডলার। কথা হলো, আমরা যদি ইতিহাসের দিকে তাকাই তবে দেখতে পাই, পূর্ব পাকিস্তানে ৫০ ও ৬০-এর দশকে যত শিল্প-কলকারখানা হয়েছে তার সিংহভাগই হয়েছে পশ্চিম পাকিস্তানের শিল্পগোষ্ঠীর দ্বারা। এখন যদি পাকিস্তান সরকার ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে ফেলে যাওয়া সকল সম্পদ ফেরত চায় তবে তার কি হবে? পাকিস্তানের কাছে আমাদের ন্যায়্য হিস্যা দাবি করার সঙ্গে সঙ্গে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে পাকিস্তানি বাহিনী কর্তৃক ফেলে যাওয়া সম্পদ, ভারতীয় মিত্রবাহিনী কর্তৃক লুণ্ঠনের বিষয়েও আওয়াজ তুলতে হবে। কারও প্রতি অতিমাত্রিক অনুরাগে ঝুঁকে যাওয়া কিংবা কারও প্রতি বৈরী মনোভাব প্রদর্শন কূটনীতির পরিভাষা হতে পারে না। আমরা বাংলাদেশীরা সহনশীল, সমতা, সৌহার্দ্যপূর্ণ ও পারস্পরিক অধিকার এবং সম্মানের কূটনীতিতে বিশ্বাসী।
দুই দেশের বৈঠকে সার্কের আওতায় দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক সহযোগিতা, স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নকে এগিয়ে নেওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। উভয় দেশই সার্ক পুনরুজ্জীবনে একমত প্রকাশ করেছে। মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। উভয় দেশই গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি দখলদার বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত গণহত্যা ও চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। দুই দেশই ওআইসি সনদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থে কাজ করার ব্যাপারে অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। বাংলাদেশ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপদে নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনে পাকিস্তানের সমর্থন চেয়েছে।
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে পরিবহন ও যোগাযোগ উন্নয়নে আলোচনা হয়েছে। আশা করা যায়, শীঘ্রই দুই দেশের মধ্যে সরাসরি একাধিক ফ্লাইট চালু হবে। সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে সরাসরি শিপিং রুট চালু হয়েছে এবং এর মাধ্যমে দুই দেশের জনগণের যাতায়াত ও ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ হবে। পাকিস্তানের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের ওপর জোর দিয়েছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বাজারে বাংলাদেশের পণ্য প্রবেশের সুযোগ বৃদ্ধি, শুল্ক বাধা দূরীকরণ, বাণিজ্য প্রক্রিয়া সহজীকরণ এবং বাংলাদেশে পাকিস্তানের বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বানও জানানো হয়েছে।
এছাড়াও দেশটির পক্ষ থেকে পাকিস্তানের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় বাংলাদেশীদের পড়াশোনার সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মৎস্য ও সামুদ্রিক বিষয়ে কারিগরি প্রশিক্ষণের বিষয়ের কথা জানিয়েছে পাকিস্তান। দুই দেশের কানেক্টিভিটিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথাও উল্লেখ করেছে উভয়পক্ষ।
উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণায় পারস্পরিক সহযোগিতা ও নতুন সুযোগ সন্ধানের ওপর গুরুত্ব প্রদান এবং এসব ক্ষেত্রে পারস্পরিক শিক্ষাবৃত্তির সংখ্যা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেছে দুই দেশ। এছাড়া দুই দেশের শিল্পী, চিত্রশিল্পী, সংগীতশিল্পী, লেখক, সাংবাদিক ও শিক্ষাবিদদের সফরের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক বিনিময়ে উভয় দেশ সম্মত হয়েছে। সংস্কৃতি ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে সম্পর্ক জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার কথাও উঠে এসেছে আলোচনায়। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ঝুঁকি মোকাবিলা এবং বন্যা প্রতিরোধে দুই দেশের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ওপর জোর দিয়েছে ঢাকা। এছাড়া কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্যও আলোচনা হয়েছে, যাতে প্রযুক্তি ও উন্নত প্রজাতি এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে দুই দেশেই উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায়।
বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতায় দুইটি দেশের মধ্যে স্বাভাবিক কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধার হলে তা দেশ দুইটির বাণিজ্য খাতকে বেগবান করতে পারে। বাংলাদেশ ও পাকিস্তান মিলে প্রায় ৪০ কোটি মানুষের বাজার। পাকিস্তানের তুলা বাংলাদেশে এলে আমাদের পোশাকশিল্প নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে। অনুরূপভাবে বাংলাদেশের পাট ও ওষুধের জন্য ভালো বাজার হতে পারে পাকিস্তান।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের পাশাপাশি নিউইয়র্কে এবং ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে কায়রোতে ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের পাশাপাশি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অগ্রগতিতে এই সাক্ষাতের গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সার্ক, ওআইসি এবং ডি-৮-এর মতো বহুপক্ষীয় ও আঞ্চলিক ফোরামে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাবে।
বিশ্বযুদ্ধের সময় পোল্যান্ডসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে হত্যাকাণ্ড চালানোর অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছে জার্মানি। নাইজিরিয়ায় অত্যাচারের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকাও ক্ষমা চেয়েছে। কোরিয়া ও মাঞ্চুরিয়ার কাছে ক্ষমা চেয়েছে জাপান। এমনকী, ব্রিটিশরা ক্ষমা চেয়েছে ভারতের জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের জন্য। অতীতের ভুল স্বীকার করে দুনিয়ার বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনায়করা বিভিন্ন সময় যুদ্ধাপরাধের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন, যা পরবর্তী সময়ে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণে রেখেছে চমৎকার ভূমিকা। আমরা আশা করব, হিমাগারে থাকা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে। এর ফলে সম্ভাবনার নতুন দ্বার  উন্মোচন হবে। দুই দেশের নাগরিকদের মাঝে আশার সঞ্চার হয়েছে। আমরা আশা করব, আগামী দিনে অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সুরাহার মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক এগিয়ে যাবে।
লেখক : সাংবাদিক

প্যানেল

×