ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১

মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরা বাঞ্ছনীয়

ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া

প্রকাশিত: ২০:৫২, ১৮ জুলাই ২০২৪

মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরা বাঞ্ছনীয়

মূল্যস্ফীতি বলতে সাধারণ অর্থে দাম স্তরের বৃদ্ধি বোঝায়

গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। জনগণ যখন যা চায়, তাই বাংলাদেশে সম্ভব হয়েছে এবং হয়। জনগণ চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সরকারের ভূমিকা ছাড়াই উচ্চ মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরতে পারে নিজ নিজ জায়গা থেকে ভূমিকা পালন করার মাধ্যমে। অন্যদিকে, জনগণ না চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সরকারের অবস্থান যতই কঠোর হোক না কেন, তাতে মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরা কখনোই সম্ভব হবে না।

বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ যদি দেশীয় স্বার্থে এবং দেশীয় কল্যাণের কথা চিন্তা করে সিন্ডিকেট বাণিজ্য থেকে বের হয়ে এসে দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধিতে মনোযোগী হয়, তাহলেই কেবল উচ্চ মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হবে। সুতরাং, বাংলাদেশে বিদ্যমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের পাশাপাশি আমাদের সকলের সম্মিলিত অংশগ্রহণ অনস্বীকার্য

মূল্যস্ফীতি বলতে সাধারণ অর্থে দাম স্তরের বৃদ্ধি বোঝায়। অর্থাৎ, বছরের পর বছর অর্থনীতিতে দাম স্তরের ক্রমাগত বৃদ্ধিকেই বলা হয় মূল্যস্ফীতি। মৃদুমানের মূল্যস্ফীতি একটি দেশের জন্য কিছুটা ভালো হলেও উচ্চ মূল্যস্ফীতি দেশের জন্য অভিশাপ। কারণ, মূল্যস্ফীতির হার যত বেশি হবে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা তত হ্রাস পায়। এতে মানুষের জীবনমান অনেক কমে যায়। গত কয়েক বছর ধরে বিশ্ব অর্থনীতি নানা সমস্যায় জর্জরিত। বিশেষ করে অস্বাভাবিক উচ্চমাত্রার মূল্যস্ফীতি বিশ্ব অর্থনীতির গতিপ্রবাহ স্তিমিত করে দিয়েছে।

এমন একটি দেশও পাওয়া যাবে না যারা তীব্র মূল্যস্ফীতির সমস্যা মোকাবিলা করছে না। শুধু বাংলাদেশ নয়, বরং উন্নত-অনুন্নত নির্বিশেষে সব দেশের অর্থনীতির জন্যই উচ্চ মূল্যস্ফীতি মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ন্যায় বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকও বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ এবং কৌশল প্রয়োগ করে আসছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাশাপাশি উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারও রয়েছে কঠোর অবস্থানে। কিন্তু তাতেও আশানুরূপ কোনো ফল মিলছে না।

এমতাবস্থায় মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরতে সরকার এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাশাপাশি সকলের সম্মিলিত প্রয়াসের কোনো বিকল্প নেই। সরকার এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাশাপাশি সকলের সম্মিলিত অংশগ্রহণেই কেবল উচ্চ মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরা সম্ভব।
যে কোনো একটি দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতির বিরাজের পেছনে অনেক কারণ থাকে। তার মধ্যে তিনটি কারণকে প্রধান প্রভাবক হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য পণ্য ও সেবার উৎপাদন কোনো কারণে অস্বাভাবিকভাবে কমে যাওয়া। যেমন– কোনো এলাকায় ভয়াবহ বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলে পরবর্তী বছর সেই এলাকায় উচ্চ মূল্যস্ফীতি দেখা দিতে পারে। অবশ্য দেশটি যদি বাইরে থেকে পণ্য আমদানি করে কাক্সিক্ষত চাহিদা পূরণের ব্যবস্থা করে তাহলে ভিন্ন কথা।

এ ধরনের মূল্যস্ফীতিকে উৎপাদন হ্রাসজনিত মূল্যস্ফীতি বলা যেতে পারে। আবার নির্দিষ্ট বছর একটি দেশে বা অঞ্চলে পণ্য উৎপাদন স্বাভাবিক থাকলেও কোনো কারণে যদি উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণে সংকট দেখা দেয় তা হলে পণ্যমূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেতে পারে। এ ধরনের মূল্যস্ফীতিকে পরিবহন বা সাপ্লাই সাইড ইফেক্টজনিত মূল্যস্ফীতি বলা যেতে পারে। আবার কোনো একটি সময় নির্দিষ্ট কোনো পণ্যের জোগান না বেড়ে চাহিদা অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেলে সেই পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি পেতে পারে।

এটিকে চাহিদা বৃদ্ধিজনিত মূল্যস্ফীতি বলা যেতে পারে। এমন আরও কারণে মূল্যস্ফীতি ঘটতে পারে। তবে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে উল্লিখিত কারণের বাইরে ব্যবসায়ীদের অসাধুতাও উচ্চ মূল্যস্ফীতির অন্যতম কারণ। যে কারণেই মূল্যস্ফীতি হোক না কেন তা দেশের অর্থনীতিকে মারাত্মকভাবে বিঘিœত ও জনজীবনে দুর্ভোগ সৃষ্টি করে।
বর্তমানে যে মূল্যস্ফীতি বাংলাদেশসহ বিশ^ব্যাপী প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে, এর পেছনে মূল ভূমিকা পালন করছে সাপ্লাই সাইড বা সরবরাহজনিত সংকট। যে মূল্যস্ফীতি বিশ্ব অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে, তার পেছনে উৎপাদন সংকটজনিত সমস্যার পাশাপাশি ভূমিকা পালন করেছে পরিবহন সংকট।

করোনা মহামারীতে বিশে^র প্রতিটি দেশে উৎপাদন সংকটের পরপরই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ^ব্যাপী খাদ্যপণ্যের স্বাভাবিক চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এ দুটি দেশ মোট বিশ^ খাদ্যপণ্যের ৩০ শতাংশের বেশি জোগান দিয়ে থাকে। এর মধ্যে রাশিয়ার খাদ্যপণ্য সরবরাহ কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও ইউক্রেন তার উৎপাদিত খাদ্যপণ্য রপ্তানি করতে পারছিল না। এমনকি যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনে মোট উৎপাদিত খাদ্য দ্রব্যের ৩০ শতাংশ খাদ্যপণ্য তারা মাঠ থেকে তুলতেই পারেনি।

করোনা মহামারীতে বাংলাদেশসহ বিশে^র বিভিন্ন দেশে উৎপাদন সংকট এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশে^ যে সরবারহ সংকট দেখা দিয়েছিল, তার দীর্ঘ প্রভাবের ফলই বাংলাদেশসহ বিশে^র প্রতিটি দেশে বিরাজমান আজকের এই উচ্চ মূল্যস্ফীতি। যার লাগাম টেনে ধরা এখন সময়ের দাবি।
বাংলাদেশে বিদ্যমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘোষিত মূল্যনীতিতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। গত বছরের জুলাই-ডিসেম্বর মাসের জন্য যে মূল্যনীতি ঘোষণা করা হয়, সেখানে তিনটি মূল লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। সেখানে বলা হয়, বৈদেশিক মূল্যর বিনিময় হার স্থিতিশীল করা, উচ্চ মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনা, লেনদেনের ভারসাম্য সমন্বয় করা এবং নন-পারফর্মিং লোনের হার কমিয়ে আনা।

উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ইন্টারেস্ট রেট করিডোর (আইআরসি) একটি বিষয় নিয়ে আসা হলো। এটা বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি পদ্ধতি, যার মাধ্যমে লিকুউডিটি কমিয়ে আনা এবং ঋণের সুদহারকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এর দুটি মূল রেট হলো স্টাডিং লেন্ডিং রেট (এসএলএফ) বা সিলিং রেট এবং স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট রেট (এসডিএফ) বা ফ্লোর রেট। ইন্টারেস্ট রেট করিডরের মাধ্যমে ইন্টারব্যাংক রেটকে ফ্লোর এবং সিলিং রেটের মাঝে মুভ করানো যায়। পলিসি রেটের পরিবর্তনের কারণ কস্ট অব বরোইং বাড়ানোর মাধ্যমে মূল্যস্ফীতির ওপর নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব।

বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই দেখা যায়, যখন মূল্যস্ফীতি অস্বাভাবিক মাত্রায় বেড়ে যায়, তখন তারা সংকোচনমূলক মূল্যনীতি গ্রহণ করে। সংকোচনমূলক মূল্যনীতির মূল উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য হচ্ছে বাজারে মূল্যর জোগান কমিয়ে মূল্যস্ফীতিতে নিয়ন্ত্রণ করা। বাংলাদেশও সেই কাজটিই করেছে। গত বছর থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক দেশে বিদ্যমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সংকোচনমূলক মূল্যনীতি ঘোষণা করে আসছে।
বাংলাদেশে বিদ্যমান এই উচ্চ মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশাপাশি কঠোর অবস্থানে রয়েছে সরকার। সেই লক্ষ্যে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের কাজ করছে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল। ইতোমধ্যে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির অন্যতম কারণ সিন্ডিকেট বাণিজ্য এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে অশুভ সব শক্তিকে চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

ঢাকা মহানগরসহ দেশের সব বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে চাল-আলু, পেঁয়াজ ও ডিমসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল এবং সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযানে অবৈধভাবে মজুতদার ও বাজারে কৃত্রিম খাদ্য সংকট তৈরির সঙ্গে যে সকল ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট জড়িত, তাদের নজরদারির আওতায় এনে সতর্ক করাসহ সিন্ডিকেট ভেদে জরিমানাও আদায় করা হচ্ছে।

এছাড়াও বাজার পরিস্থিতি কিভাবে স্থিতিশীল করা যায়, তা নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করতেও দেখা যায় ভোক্তা-অধিকার কর্মকর্তাদের। আশা করা যায়, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের কঠোর অবস্থান, খুব শীঘ্রই মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এখন কথা হচ্ছে, উচ্চ মূল্যস্ফীতি লাগাম টেনে ধরতে শুধু বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সরকারের ভূমিকাই কী যথেষ্ট? উত্তর হচ্ছে না। কোনোভাবেই তা যথেষ্ট নয়। যথেষ্ট নয় বলেই উচ্চ মূল্যস্ফীতির ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন উদ্যোগ এবং সরকারের কঠোর অবস্থান সত্ত্বেও আশানুরূপ ফল পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা জানি যে, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জনগণই হচ্ছে সকল ক্ষমতার মালিক।

জনগণ যা যখন চেয়েছে তখনই তা সম্ভব হয়েছে। যেমন– ১৯৭১ এ বাঙালি জনগণ চেয়েছিল বলেই বাংলাদেশ পেয়েছিল স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব। জনগণ চেয়েছিল বলেই স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াত সরকারকে হটিয়ে দিয়ে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতায় আসতে পারা এবং তার ধারাবাহিকতা রক্ষিত হচ্ছে। এখন যদি সেই জনগণ মানে আমরা সবাই বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সরকারের পাশাপাশি বিদ্যমান উচ্চ মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরতে চাই, তাহলে তা অবশ্যই সম্ভব।

কারণ, যে ব্যবসায়ীদের অসাধুতার ফলে মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হচ্ছে না, তারা কিন্তু আমাদের মধ্যেই কেউ না কেউ। তারা যতক্ষণ না সিন্ডিকেট বাণিজ্য থেকে বের হয়ে আসে, ততক্ষণ পর্যন্ত মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হবে না। যারা অসাধু ব্যবসায়ী আছেন দেশের সার্বিক কল্যাণের কথা চিন্তা করে তাদের উচিত সিন্ডিকেট বাণিজ্য থেকে বের হয়ে আসা। তাহলেই কেবল মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হবে।
এছাড়াও উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে পণ্যদ্রব্যের জোগান বাড়াতে পারলেও উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সরকারের পাশাপাশি জনগণের ভূমিকাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। জনগণ উচ্চ মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার লক্ষ্যে উৎপাদনে মনোযোগী হলে দেশের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়বে এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসবে।

প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী জনগণ তাদের পতিত জমি ও বাড়ির আনাচে-কানাচে যেখানে সম্ভব হবে, সেখানে ফসল ফলাতে পারলে দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। যার ফলে উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। এমতাবস্থায়, বাংলাদেশে বিদ্যমান উচ্চ মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরতে আমাদের সকলের উচিত অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধিতে মনোযোগী হওয়া।
পরিশেষে বলতে চাই, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। জনগণ যখন যা চায়, তাই বাংলাদেশে সম্ভব হয়েছে এবং হয়। জনগণ চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সরকারের ভূমিকা ছাড়াই উচ্চ মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরতে পারে নিজ নিজ জায়গা থেকে ভূমিকা পালন করার মাধ্যমে। অন্যদিকে, জনগণ না চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সরকারের অবস্থান যতই কঠোর হোক না কেন, তাতে মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরা কখনোই সম্ভব হবে না।

বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ যদি দেশীয় স্বার্থে এবং দেশীয় কল্যাণের কথা চিন্তা করে সিন্ডিকেট বাণিজ্য থেকে বের হয়ে এসে দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধিতে মনোযোগী হয়, তাহলেই কেবল উচ্চ মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হবে। সুতরাং, বাংলাদেশে বিদ্যমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের পাশাপাশি আমাদের সকলের সম্মিলিত অংশগ্রহণ অনস্বীকার্য।

লেখক : অধ্যাপক ও উপাচার্য
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

×