ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মেট্রোরেল ॥ দূরদর্শী চিন্তার ফসল

জুনাইদ আহমেদ পলক

প্রকাশিত: ২১:১১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২

মেট্রোরেল ॥ দূরদর্শী চিন্তার ফসল

মেট্রোরেল ॥ দূরদর্শী চিন্তার ফসল

রাষ্ট্রচিন্তায় যদি থাকে দেশ ও মানুষের কল্যাণ তার প্রতিফলন দেখা যায় সরকারের নীতি ও পরিকল্পনায়। এসব নীতি-পরিকল্পনার আলোকেই গৃহীত হয় উন্নয়ন কার্যক্রমগুলো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন দর্শনের মূলে রয়েছে মানুষ। অর্থাৎ মানুষের কল্যাণ। তাঁর উন্নয়ন কার্যক্রমগুলোর দিকে আলোকপাত করলে দেখা যাবে, এ পর্যন্ত মেগা প্রকল্প থেকে শুরু করে যত উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে তার সবই দেশ ও মানুষের কল্যাণ ঘিরে। অবকাঠামো উন্নয়নের কথাই ধরা যাক।

২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার অংশ হিসেবে এ খাতে মেগা প্রকল্পসহ অসংখ্য উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়, যা বাস্তবায়নের পর একের পর এক উদ্বোধন করা হচ্ছে। এবার যোগ হয়েছে মেট্রোরেল। বাংলাদেশ বিদ্যুৎচালিত মেট্রোরেল ব্যবস্থার যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে ২৮ ডিসেম্বর। এদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর রাজধানীর গণপরিবহনে নতুন দিগন্তের যাত্রা শুরু হবে। সাধারণ মানুষ এই সুবিধা পাবেন ২৯ ডিসেম্বর থেকে। বলাবাহুল্য, রাজধানীবাসীর কাক্সিক্ষত এই মেট্রোরেল ঢাকা মহানগর ও তৎসংলগ্ন এলাকার যানজট নিরসন ও পরিবেশ উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা পালন করবে। 
বাংলাদেশের অব্যাহত উন্নয়ন অভিযাত্রায় স্বপ্নের পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের পর মেট্রোরেলই হতে যাচ্ছে আরও একটি বিস্ময় জাগানো মাইলফলক অর্জন। চলতি বছরের ২৫ জুন চালু হওয়া পদ্মা শুধু একটি সেতু নয়, এটি এক সময়ের ৮৮ ভাগ বৈদেশিক সাহায্যনির্ভর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতার ইতিহাস এবং দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সাহস ও সততার উদাহরণ সৃষ্টির সেতু। 
২০১২ সালের ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট তথা মেট্রোরেল প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদন লাভ করে। প্রথম পর্যায়ে নির্মাণের জন্য এমআরটি-৬ নামক ২০.১০ কিলোমিটার দীর্ঘ পথকে নির্ধারণ করা হয়। রাজধানীর যানজট নিরসনসহ সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব যাতায়াত ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগে শুরু হয় মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ। তিনি দেশের প্রথম উড়াল মেট্রোরেল ২০১৬ সালের ২৬ জুন এমআরটি-৬ প্রকল্পের নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। 
জাপানের অর্থ ও কারিগরি সহায়তায় ঢাকাবাসীর স্বপ্নের প্রকল্প মেট্রোরেলের দৈর্ঘ্য ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার। রাজধানীর উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ছুটে বেড়াবে ট্রেন। প্রথম ধাপে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১.৭৩ কিলোমিটার রেলপথ চালু হয়েছে। বাংলাদেশে মেট্রোরেলের যাত্রা দেশবাসীর মধ্যে ব্যাপক আশাবাদ এবং উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। স্বাধীনতার ৫১ বছর পর দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মেট্রো ট্র্যাকে চলেছে বিদ্যুৎচালিত ট্রেন। একসময় যে মেট্রোরেলের স্বপ্ন ছিল নগরবাসীর, সেই স্বপ্ন এখন বাস্তবতা। উদ্বোধনের পরদিনই বাণিজ্যিকভাবে চলবে মেট্রোরেল। 
ঢাকায় যত সমস্যা রয়েছে তার মধ্যে যানজট সবচেয়ে ভোগান্তিকর। ঢাকার অসহনীয় যানজটে কেবল মানুষের দুর্ভোগই বাড়ছে না, দেশও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রতিনিয়ত এই যানজট হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগের পাশাপাশি কর্মঘণ্টারও ক্ষতি করে। এতে স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমে যেমন ব্যাঘাত ঘটে, তেমনি প্রভাব পড়ে অন্যান্য ক্ষেত্রে। যানজটে সৃষ্ট দুরবস্থা নিরসনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা ছিল অত্যন্ত জরুরি।
মেট্রোরেল লাইন-৬ চালুর মধ্য দিয়ে ঢাকা মহানগরীর যানজট নিরসনে ও পরিবেশ উন্নয়নে দ্রুতগামী, নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, সময়-সাশ্রয়ী, বিদ্যুৎচালিত ও পরিবেশবান্ধব অত্যাধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থার প্রবর্তন হয়েছে। মেট্রোরেল ঘনবসতিপূর্ণ ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থায় আধনিকায়ন ও যানজট নিরসনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। ঢাকার বিপুল সংখ্যক যাত্রী ও যানবাহনের চাপ সামলাতে মেট্রোরেলের মতো গণপরিবহনই হবে একটি কার্যকর বিকল্প ব্যবস্থা।
বর্তমানে উত্তরা থেকে মতিঝিলে যেতে প্রায় তিন ঘণ্টা সময় লাগে। কিন্তু মেট্রোরেলে লাগবে মাত্র ৩৮ মিনিট। মেট্রোরেলে প্রতিদিন ৫ লাখ যাত্রী যাতায়াত করার সক্ষমতা রয়েছে। মেট্রোরেল চালুর মাধ্যমে ঢাকার যানজট যেমন কমবে, তেমনি জিডিপিও ১ শতাংশ বাড়বে। শুধু লাইন ৬ চালু হলেই ঢাকায় কার্বন নিঃসরণ ২ লাখ টনের মতো কমবে। এ ধরনের পরিবহন মানুষের জীবনধারা পরিবর্তন ও উৎপাদনশীল সময় বৃদ্ধি করে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

রাজধানী হিসেবে ঢাকা মহানগরে আয়তনের তুলনায় জনসংখ্যার ঘনত্ব অত্যাধিক। প্রতিনিয়ত জীবিকার অন্বেষণে, ভাগ্য বদলাতে শত শত লোক ঢাকায় পাড়ি জমায়। ফলে সঠিক নগর ব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনা ছিল সময়ের দাবি। বিগত কয়েক দশকে সমস্যাগুলো যেমন সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়েছে, তেমনি সমস্যা সমাধানে কার্যকর ব্যবস্থাপনাও ছিল চোখে পড়ার মতো। মেট্রোরেল সে ধারাবাহিকতার এক বিশেষ সংযোজন। মেট্রোরেলের যাত্রা সেই স্বপ্ন পূরণের পথকে এগিয়ে দিয়েছে কয়েক ধাপ।
যানজটের মতো কৃত্রিম এই দুরবস্থা নিরসনের জন্য প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যে দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্পগুলো হাতে নিয়েছেন তা অবশ্যই প্রশংসনীয়। এসব প্রকল্পে যেমন বদলে যাবে ঢাকা, তেমনি মানুষের দুর্ভোগও কমবে। ঢাকা শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট নিরসনে ২০৩০ সালের মধ্যে ৬টি মেট্রোরেলের মাধ্যমে একটি আধুনিক ও সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও মেট্রোরেলের পাশাপাশি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও পাতাল রেলের কাজও হাতে নেওয়া হয়েছে।
সাধারণ মানুষ যখন এসব কার্যক্রমের সুফল ভোগ করতে শুরু করবে, ঠিক তখনই বদলে যাবে রাজধানী ঢাকার চেহারা। এসব অবিশ্বাস্য রকমের বদলে যাওয়াকে সাধারণ মানুষ এখন আর গল্প মনে করে না। বরং মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে যে, শেখ হাসিনার জাদুর ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে বাংলদেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নৃশংসভাবে হত্যার পর ১৯৭৫-১৯৯৫ যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছিল। মানুষের আস্থা এতটাই নিম্নমুখী করা হয়েছে যে, ভালো কাজের প্রতি বিশ্বাস জন্মানোটা ছিল বড় কঠিন।
বিজয়ের মাসেই নগরবাসীর স্বপ্নের মেট্রোরেল যাত্রা শুরু করছে। এর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে মহানগরী হয়ে উঠবে দৃষ্টিনন্দন। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল ও কর্ণফুলী ট্যানেলÑ এই তিনটি প্রকল্প দেশের উন্নয়ন কার্যক্রমের অনন্য মাইলফলক। অচিরেই খুলে দেওয়া হবে কর্ণফুলী টানেলও। জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়ন এসব প্রকল্পের ভূমিকা থাকবে সর্বাধিক। 
বিজয়ের মাসে একের পর একের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্বোধন মনে করিয়ে দেয় ৫১ বছর আগের কথা। ইতিহাসের দিকে চোখ ফেরালে দেখা যায়, ১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন, তখন বাংলাদেশ ছিল বিশ্বের দরিদ্রতম দশটি দেশের একটি। ৮৮ শতাংশ মানুষ ছিল দরিদ্র। বৈদেশিক সাহায্যের নির্ভরতা ছিল ৮৮ ভাগ। বাংলাদেশ টিকে থাকবে কিনা তা নিয়ে অনেকেই সংশয় প্রকাশ করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা উপদেষ্টা হেনরি কিসিঞ্জার বলেছিলেন, বাংলাদেশ হলো ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’র দেশ। বঙ্গবন্ধু ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে শূন্য হাতে সুপরিকল্পিত অর্থনৈতিক কার্যক্রম শুরু করেন। প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (১৯৭৩-৭৮) প্রণয়নের দ্বিতীয় বছরে ১৯৭৪-৭৫ সালে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে বাংলাদেশের জিডিপি ৯.৫৯ শতাংশে উন্নীত হয়, যা আজও পর্যন্ত রেকর্ড জিডিপি। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশ নিমজ্জিত হয় অন্ধকারে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সামরিক ও আধা গণতন্ত্রী শাসকরা স্বাধীনতাবিরোধীদের ক্ষমতার অংশীদার করে দীর্ঘ ২১ বছর ধরে দেশ শাসন করে। তাদের আমলে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কখনোই ৪/৫ শতাংশের ওপরে ওঠেনি। দেশে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্নফুলী টানেল নির্মাণ হবে এটা ছিল কল্পনারও অতীত। কারণ, স্বাধীনতাবিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির সহযোগিতায় জিয়া, এরশাদ এবং বেগম খালেদা জিয়ার ২৯ বছর দেশ শাসিত হয়েছে উন্নয়নবিরোধী ধারায়। তাদের না ছিল কোনো ভিশন, না ছিল কোনো পরিকল্পনা। 
আমরা যদি ১৯৯৬-২০০১ এবং ২০০৯ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাষ্ট্র পরিচালনা সময়কালকে বিবেচনায় নেই তাহলে কি দেখতে পাই। বঙ্গবন্ধুর পরে অর্থনীতি ও উন্নয়নসহ সকল ক্ষেত্রকে তিনি ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন। দেশকে পৌঁছে দিয়েছেন অনন্য উচ্চতায়। এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘের সুপারিশ পেয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে ৪১তম অর্থনীতির দেশ। বিশ্বের কাছে উন্নয়নের এক বিস্ময়। 
আধুনিক নগর পরিকল্পনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথা আওয়ামী লীগ সরকারের দূরদর্শী চিন্তার ফসল মেট্রোরেল। প্রধানমন্ত্রীর সততা, সাহসিকতা, সময়োপযোগী পরিকল্পনা এবং স্বচ্ছ বাস্তবায়নের মাধ্যমেই দেশের সাধারণ মানুষের মাঝে আস্থা ফিরেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা বিনির্মাণের স্বপ্ন অস্তমিত হয়নি। এ সকল উন্নয়ন প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নই তার প্রমাণ। 
অবকাঠামোগত উন্নয়ন অর্থনৈতিক, গতিশীলতা ও বৃহত্তর উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমন্বিত, টেকসই ও গতিশীল যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার কারণেই উন্নত অর্থনীতির দিকে এগোচ্ছে দেশ। তিনি বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করেছেন। উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশে এখন মানুষের জীবনযাত্রা অনেক সহজ, সুন্দর আর নিরাপদ। বিগত ১৪ বছরের পথ পরিক্রমায় মধ্যম আয়ের দেশ থেকে আমরা এখন উন্নত দেশের অভিযাত্রী।
২০৪১ সাল নাগাদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলার আধুনিক রূপ সাশ্রয়ী, টেকসই, বুদ্ধিদীপ্ত, জ্ঞানভিত্তিক, উদ্ভাবনী, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের নতুন একটি রূপকল্প দিয়েছেন জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে, মেট্রোরেলসহ সমন্বিত আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের মাধ্যমে অচিরেই বিশ্বের অন্যতম সেরা রাষ্ট্রে পরিণত হবে বাংলাদেশ। 

লেখক : সংসদ সদস্য, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী

[email protected]

×