
ছবি: সংগৃহীত
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে, ৭ মে মধ্যরাতে ভারত একযোগে পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এই হামলার জবাবে পাকিস্তানও পাল্টা হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তান বিমানবাহিনী দাবি করেছে, তাদের পাল্টা হামলায় ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান, একটি ড্রোন এবং একটি ব্রিগেড সদর দপ্তর ধ্বংস হয়েছে।
পাকিস্তানের দাবি, তারা ভারতীয় বিমানবাহিনীর তিনটি অত্যাধুনিক রাফাল যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। তবে ভারত এই দাবি অস্বীকার করেছে। ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যমও যুদ্ধবিমান ধ্বংসের খবর প্রকাশ করলেও পরে তা মুছে ফেলে, ফলে রাফাল যুদ্ধবিমান ধ্বংসের বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়।
এদিকে, রাফালের নির্মাতা দেশ ফ্রান্সের একজন শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন যে, ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি রাফাল জেট পাকিস্তানের হামলায় ধ্বংস হয়েছে। সিএনএনকে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এটি যুদ্ধক্ষেত্রে প্রথমবারের মতো ফরাসি নির্মিত রাফাল ধ্বংসের ঘটনা। তিনি আরও জানান, ফ্রান্সের কর্তৃপক্ষ তদন্ত করছে, আরও রাফাল ভূপাতিত হয়েছে কিনা।
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে যে বিমান ভেঙে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, তার ধ্বংসাবশেষে একটি ফরাসি প্রস্তুতকারকের লেবেল দেখা গেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এটি যে রাফাল জেটের অংশ তা এখনই নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। রাফাল জেটের নির্মাতা দাসো অ্যাভিয়েশন এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
উল্লেখ্য, রাফাল একটি ১০ টন ওজনের, টুইন-ইঞ্জিন মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান। এটি ৩০ মিমি কামান, এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল, লেজার-নির্দেশিত বোমা ও ক্রুজ মিসাইলে সজ্জিত। ভারত তার বিমানবাহিনীর জন্য মোট ৩৬টি রাফাল জেট কিনেছিল ফ্রান্সের দাসো অ্যাভিয়েশন থেকে। এই ঘটনার আগে পর্যন্ত এগুলোর কোনোটি যুদ্ধক্ষেত্রে ধ্বংস হয়নি।
পাকিস্তানের হামলায় রাফাল ধ্বংসের ঘটনা ফরাসি গোয়েন্দা কর্মকর্তা স্বীকার করলেও, দেশটির সামরিক বাহিনী এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
এসইউ