-
২০১৯ সালের ৩ ডিসেম্বর শেষবার যখন আমি ঢাকা গেলাম, আমার দুলাভাই তখন ল্যাব এইড হাসপাতালের আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করছেন। তারও ৫-৭ বছর আগে থেকে তিনি গুরুতর অসুস্থতায় ভুগেছেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হন মাত্র ৪০ বছর বয়সে। মৃত্যুর বেশ ক’বছর আগে স্ট্রোক করে বাক ও চলচ্ছশক্তি হারান। ৫ অথবা ৬ ডিসেম্বর খুব ভোরে আমরা হাসপাতাল থেকে ফোন পাই যে তার অবস্থা দ্রুত অবনতি হচ্ছে, আমরা যাতে হাসপাতালে যাই। আমার আব্বা ও আমার উপস্থিতিতে ডাক্তাররা জিজ্ঞেস করেন, তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখতে চাই কিনা।
উনার শরীরের অবস্থা খুব খারাপ ছিল, মৃত্যুর বেশ ক’বছর আগে থেকেই তার যে যন্ত্রণা ও কষ্ট, তা বিবেচনা করে পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে আর বৃথা কষ্টের মধ্যে না রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আমি বেশ ক’বছর পরে ঢাকা পৌঁছানোর দিন তিনেক পর আমার দুলাভাই একমাত্র পুত্র সন্তান ও পরিবারের অন্য সন্তানদের রেখে বিদায় নেন। যদিও আপনজনের মৃত্যুর চাইতে কষ্টদায়ক কিছু নেই, কিন্তু দীর্ঘ রোগভোগের পর কিছু মৃত্যু রোগীর জন্য স্বস্তিদায়ক, আমার দুলাভাইর ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে আমি টরেন্টো ফিরে আসি। এরপর করোনা পুরো বিশ্বকে নাড়া দেয়।
জনস্বাস্থ্যের মানুষ হিসেবে পরবর্তী আড়াই বছর আমার পড়াশোনা, গবেষণা, কাজের পাশাপাশি পত্রিকা, টেলিভিশন ও নানাক্ষেত্রে করোনা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ব্যস্ত থাকতে হয়। এদিকে আন্তর্জাতিক ভ্রমণেও নানাবিধ নিষেধাজ্ঞা থাকায় আর দেশে যাওয়া সম্ভব হয়নি। এর মধ্যে দুবার আমার আব্বা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আমার আম্মা, বোন ও বোনের ছেলে নিলয়, আমার ছোট চাচা বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিয়াউদ্দিন আহমেদ ও ছোট মামা তপন তার দেখভাল করেন। সঙ্গে সঙ্গে আমি বারবার মনে করি আমাদের এপার্টমেন্টের রক্ষক ও আমাদের পরিবারের সদস্য হয়ে ওঠা দুলালের কথা।
আমার অনুপস্থিতিতে পরিবারের সদস্যদের বাইরে এই দুলাল, আমার বোনের বাসার রক্ষক আরিফ, আমাদের গাড়ি চালক পিন্টু পরিবারের সদস্যদের মতো ভূমিকা রেখেছে। জীবনের নানা পর্যায়ে আমরা অনেক সময় বেতনভুক্ত অনেকের অবদানের কথা ভুলে যাই। বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এই মানুষগুলো কর্মচারীর বাইরে ধীরে ধীরে পরিবারের সদস্য হয়ে ওঠেন কিন্তু আমরা অনেক সময় তাদের যথাযোগ্য মর্যাদা দেই না। আমার আব্বা সাবেক পরিচালক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্পনা অধিদফতর, বর্তমান পরিচালক এসএমসি বাংলাদেশ ও আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জনস্বাস্থ্যের শিক্ষক ডাঃ জহির উদ্দিন আহমেদ এসব ক্ষেত্রে অত্যন্ত আদর্শবাদী।
তিনি সবাইকে সম্মান করেন, তাদের যথাযোগ্য মর্যাদা দেন। আমার দুলাভাইয়ের প্রায় দশ বছরের অসুস্থ থাকাকালীন সময়ে আমার আব্বা মোটামুটি একহাতে তার সেবাযত্ন করেছেন, কখনও বিরক্ত হন নাই। এমনকি বোনের কষ্ট দেখে একসময় আব্বা দুলাভাইকে আমাদের বাসায় নিয়ে আসার প্রস্তাব দেন। নিজে তার সার্বক্ষণিক সেবাযত্ন করার প্রস্তাব দেন। আব্বা প্রতি সপ্তাহে যেয়ে দুলাভাইয়ের প্রস্রাব করার যন্ত্রপাতি পরিষ্কার করে পাল্টে দিতেন, আমাদের এপার্টমেন্টের রক্ষক ও গাড়ি চালককে সঙ্গে নিয়ে দুলাভাইকে গোসল করিয়ে দিয়ে আসতেন।
যাই হোক, করোনা শেষে আবার দেশে যাবার জন্য টিকেট কাটি জুলাইয়ের ২ তারিখে। টিকেট কেটেছিলাম প্রায় মাস চারেক আগেই। আশা ছিল কোরবানির ঈদ আব্বা-আম্মার সঙ্গে করব। পরিবারের সবার সঙ্গে দেখা হবে, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে বসা হবে, কিছু সামাজিক ও গবেষণার কাজও ইত্যবসরে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে। হঠাৎ করেই এক সপ্তাহ আগে আমার শাশুড়ি ভয়াবহ অসুস্থ হয়ে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে ভর্তি হন। ডাক্তাররা ধারণা করেন তার ক্যান্সার সর্বশেষ স্তরে পৌঁছে গেছে।
ক্যান্সারের উৎস নির্ণয় ও চিকিৎসা করার আগেই তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং বর্তমানে লাইফ সাপোর্টে আছেন। এর মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট দিয়ে সবার দোয়া চাইতে গিয়ে বন্ধু এন্টনির কাছ থেকে জানলাম হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের আইসিইউর দায়িত্বে আছে আমার নটর ডেমের বন্ধু ডাক্তার আশফাকুর রহমান শিফাক। শিফাক আমার ফেসবুকে আছে অনেক দিন ধরেই। কিন্তু নটর ডেম থেকে ১৯৯৮ সালে পাশ করার পর আর কখনও যোগাযোগ হয়েছে কিনা আপাতত মনে করতে পারছি না। শিফাক গত কয়েকদিন আমার পরিবারের সদস্যদের পাশে সার্বক্ষণিক থেকেছে, তার নেতৃত্বে অন্যান্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা সার্বক্ষণিক আমার শাশুড়ির খোঁজ-খবর নিয়েছেন। আরেকজন প্রিয় ও সম্মানিত ব্যক্তিত্বের কথা না বললেই নয়।
ডাক্তার মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, যিনি কিনা হলি ফ্যামিলি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পূর্ণ অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান। তিনি কোন এক অদ্ভুত কারণে আমাকে খুবই স্নেহ করেন, সম্মানও করেন। আমিও উনাকে অত্যন্ত পছন্দ করি, শ্রদ্ধা করি। নজরুল ভাই ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী নেতা ও সর্বজনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা। তাকে সবাই খুবই পছন্দ করে। এত বড় ও ব্যস্ত একজন মানুষ আমার সঙ্গে, আমার বাবার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করেছেন, পরীক্ষার মাঝে আমার শাশুড়ির খোঁজ-খবর নিয়েছেন, এইসব ভালবাসা আসলেই মিছে নয়। এই লেখায় তাদের কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
দূর দেশে থাকলে আসলে লিখতে লিখতে কত কথাই না মনে চলে আসে। আপনি দেশে যত প্রভাবশালী ও জনপ্রিয় মানুষ হোন না কেন, যখন ১২ হাজার মাইল দূরে বসে থাকবেন, তখন আপনার সকল প্রভাব প্রতিপত্তি, দেশের জন্য এতদিনের অবদান তুচ্ছ মনে হবে, অসহায় মনে হবে। কিছু মানুষ তবু তাদের জান প্রাণ দিয়ে আপনার পাশে এসে দাঁড়াবে, তখন মনে হবে এই দেশের জন্য আত্মত্যাগ সার্থক ছিল। খুব অদ্ভুতভাবে যখন গতবার দেশে গেলাম তখন আমার দুলাভাই মৃত্যুশয্যায়, আজ যখন লিখছি, তখন আমার শাশুড়ি মৃত্যুশয্যায়।
নিজের শাশুড়ি বলে বলছি না, বেগম রওশন আরা বেগম, একজন অত্যন্ত ভাল মানুষ, সহজ-সরল মানুষ। যে বাংলাদেশের চিত্র আমরা যুগ যুগ ধরে দেখে এসেছি, যে বাংলাদেশের পরিচিত সমাজে মায়ের মুখ আত্মত্যাগের, ভালবাসার, সেই মায়ের চিরাচরিত রূপ আমার শাশুড়ি। তার জন্য দোয়া করবেন। কেউ কেউ আমাকে বলেছেন, আমার মন্দভাগ্য, পরপর দুবার দেশে যাবার পরপর আমাকে এমন কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হচ্ছে। আবার কেউ কেউ বলছেন আমার ভাগ্যভাল।
গতবার অনেকে বলেছেন দীর্ঘ রোগ ভোগের পর যখন আমি যাবার পরপরই আমার দুলাভাই মৃত্যুবরণ করেন, তা আসলে ছিল তার আমার জন্য প্রতীক্ষা। এবারও হয়ত আমার শাশুড়ি অপেক্ষায় আছেন তার প্রিয় বড় কন্যার সঙ্গে, একমাত্র নাতনির সঙ্গে অন্তিম সাক্ষাতের।
জানি না অদৃষ্টের ব্যাখ্যা আপনারা কে কীভাবে করেন কিন্তু মানুষের জীবন তো বড় অসহায়, অনিশ্চিত। এ অস্বীকার করার সাধ্য কারও নেই। প্রিয় পাঠক, নিশ্চয় ভুলে যাননি মাত্র দু’সপ্তাহ আগে আমার বড় চাচা মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সচিব মহিউদ্দিন আহমেদ আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। বন্ধু ফাইয়াজ বলছিল বিপদ যখন আসে, তখন আসেই। বন্ধু সাকিবের বাসায় দাওয়াত ছিল গত শনিবার। সবাই গিয়েছিলাম।
তখনও মুনমুনের মা ভাল নেই। পরবর্তীতে সামাজিক মাধ্যমে জানতে পেরে বন্ধুপতœী ফারিয়া লিখল, ‘কোন ধারণাই ছিল না যে মুনমুনের মায়ের এত অসুস্থতা।’ এখনই কথায় লিখেছে বন্ধু ফাইয়াজও। এর একটা বড় কারণ, আমি আমার ব্যক্তিগত জীবন জনকণ্ঠের পাঠক ছাড়া অন্য কারও সঙ্গেই তেমন ভাগাভাগি করতে আগ্রহী নই। অনেকে বলেন আপনার জীবনের সাফল্য, আনন্দ কিংবা ছুটির গল্প অন্য মানুষের সঙ্গে করবেন না। কারণ, মানুষ তা সহ্য করতে পারে না, আপনার মন্দ চায়।
আমি আসলে সাফল্য, আনন্দ, ভ্রমণ কিংবা ব্যর্থতা, অসুস্থতা বা ক্লান্তি কোন কিছুই ইদানীং বেশিরভাগ মানুষের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে চাই না। কী দরকার নিজের সাফল্য দিয়ে কাউকে কষ্ট দেয়া। কী দরকার কারও সুখের সময়ে নিজের বেদনার ভাগীদার করা। তার চাইতে নিজের সুখ-দুঃখের অংশীদার একান্তে নিজে হওয়াই ভাল।
এই গ্রীষ্মে টরেন্টোতে মূল আলোচ্য বিষয় কানাডার এক নাম্বার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পিয়ারসনের বেহাল দশা। করোনাকালীন সময়ে ব্যাপক আকারে কর্মী ছাঁটাইয়ের পর এই গ্রীষ্মে ২০১৯-এর চাইতে দ্বিগুণ মানুষ ছুটি কাটাতে কানাডার বাইরে যাচ্ছে, আবার অনেকে আসছে কানাডায়।
বিমানবন্দর ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে স্বাভাবিক সময়ের চাইতে দ্বিগুণ, অথচ কর্মী কমেছে বেশ কয়েকগুণ। সার্বিকভাবে পিয়ারসনের অব্যবস্থাপনা এখন আন্তর্জাতিক মিডিয়াকে সরগরম করে তুলেছে। বিখ্যাত সব আন্তর্জাতিক তারকার টুইটারে বিরক্তি প্রকাশ সারাবিশ্বকে জানান দিচ্ছে উন্নত কানাডার অনুন্নত বিমানবন্দর সেবার গল্প। আমি আগামীকাল এই সময়ে এয়ার কানাডার বিমানে করে দুবাই হয়ে ঢাকায় যাব, জানি না কপালে কী আছে। যেখানে শত শত ফ্লাইট ক্যান্সেল হয়ে যাচ্ছে সময়মতো নিরাপত্তা বলয় পেরিয়ে যাত্রীদের বোর্ডিং করতে না পারার কারণে।
এখানে দেখার বিষয়, সরকার মূলত বিমানগুলোকে দায়ী করছে তাদের সক্ষমতার অধিক ফ্লাইট পরিচালনা করায়, যার প্রভাব পড়ছে বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপনার ওপরেও। অন্যদিকে বিমানগুলো দায়ী করছে সরকারের বিমানবন্দরে যথেষ্ট পরিমাণে কর্মী না রাখায় এবং করোনাসংক্রান্ত অহেতুক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালু রাখায়। আদতে বিমান কোম্পানিগুলোকে টিকিয়ে রাখার জন্য সরকারের এই মুহূর্তে প্রশ্রয় দেয়া ছাড়া উপায় নেই। করোনার সময় মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন এই বিমানগুলোকে যে তাদের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করবে তাতে সন্দেহ নেই। তাই তারা বেশি বেশি ফ্লাইট পরিচালনা করছে যথাসম্ভব কম কর্মচারী নিয়ে।
কিন্তু অন্যদিকে সরকারের তো এগিয়ে আসা উচিত যাতে বিমানবন্দরে নিরাপত্তার নামে অহেতুক ভোগান্তির শিকার না হন যাত্রীরা। পৃথিবীর বহুদেশের করোনাপরবর্তী যাত্রা বেড়ে গেছে অনেক গুণে কিন্তু কানাডার মতো যাত্রী ব্যবস্থাপনায় এমন দৃষ্টিকটু ব্যর্থতা আর কেউ দেখায়নি। গতকাল এয়ার কানাডার প্রেসিডেন্ট এক বার্তায় জানিয়েছেন, এই অব্যবস্থাপনা কাটিয়ে উঠতে তারা জুলাই ও আগস্ট মাসে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ফ্লাইট অগ্রিম ক্যান্সেল করবেন, যাতে যাত্রীরা বিকল্প বিমানে যাতায়াত করতে পারে; বিমানবন্দরে পৌঁছে যাত্রা বাতিলের ভোগান্তি তাদের আর পোহাতে না হয়। দেখা যাক এই বিষয়ে বিমানগুলো ও সরকার কতটুকু কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারে।
লেখার শুরু করেছিলাম মৃত্যু নিয়ে, শেষও করি মৃত্যু নিয়ে। মৃত্যুর চাইতে অমোঘ আর কী আছে। মৃত্যু শাশ্বত ও সুন্দর। মৃত্যুর কষ্টদায়ক ও বেদনাদায়ক। কিন্তু মৃত্যু শারীরিক অবয়বকে নাই করে দিলেও মানুষকে অন্তর থেকে মুছে দিতে পারে কই? তাই হয়ত বা জর্জ ইলিয়ট বলেছিলেন, ‘আমাদের মৃতেরা আদতে মৃত নয়, যদি না আমরা তাদের ভুলে গিয়ে থাকি।’ ফ্রয়েড অবশ্য বলেছিলেন, ‘সকল জন্মের লক্ষ্য হচ্ছে মৃত্যু।’ তাই হয়ত বা গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী লিখেছিলেন, ‘মরিলে কান্দিস না আমার দায়।’ যে যাই বলুক না অন্য প্রাণীর সঙ্গে মানুষের পার্থক্য হচ্ছে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তার মৃত্যু নাই।
মানব জনম তখনই শুধু মরে যায় যখন তা এক জনম কাটিয়েও অন্যের সেবায় কাজে না আসে। যে মানুষ অন্যের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করে, তাকে বিসর্জন বলে না, সেই জনম সার্থক জনম। তাই হয়ত লালন বলেছিলেন, যে মরণের আগে মরে, শমনে ছোঁবে না তারে। তাই বেঁচে থাকা জরুরী। তার চাইতেও বেশি জরুরী এমন জনম ধারণ করা যা মরণের পরেও উচ্চারিত থাকে, অন্তরে থাকে।
না মরিলে আগামী কিস্তির অক্ষরগুলো হাতিরঝিলের পাড় ঘিরে নিকেতনের হাওয়ায় ভেসে থাকবে পাঠক, শুধু আপনার জন্য।
৩ জুলাই ২০২২
টরেন্টো, কানাডা