
ছবি: এমডি সাব্বির
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত 'জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান'-এর রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ 'জুলাই ঘোষণাপত্র' আগামী ৫ই আগস্টের আগেই সর্বসম্মতভাবে চূড়ান্ত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, "জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তব হবেই। জুলাই শহীদ ও আহতদের আত্মত্যাগের প্রতি আমরা দায়বদ্ধ।"
উপদেষ্টা মাহফুজ জানান, 'জুলাই ঘোষণাপত্র' গত ৩১শে ডিসেম্বর ঘোষিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্যমত্যের অভাবে সে প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হয়। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে বিভিন্ন দলের খসড়া প্রস্তুত হলেও, ঘোষণাপত্রের বিভিন্ন প্রস্তাবনা নিয়ে সংলাপ মীমাংসায় পৌঁছায়নি। বিশেষ করে, বিভিন্ন ধারা নিয়ে রাজনৈতিক আদর্শিক অবস্থানের কারণে পরের দুই মাস (রমজান মাসসহ) আলোচনা থমকে যায়।
তিনি আরও বলেন, মে মাসে ক্যাবিনেটে তিনি আবার ঘোষণাপত্র নিয়ে আলোচনা উত্থাপন করেন। সে সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এতে অনাগ্রহ দেখালেও, জুন মাসে পুনরায় বিষয়টি উত্থাপন করা হয়। এরপরই সিদ্ধান্ত হয় যে, সরকারের পক্ষ থেকে জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে একটি সর্বসম্মত ঘোষণাপত্র প্রণয়ন করবেন।
জুলাইয়ের শুরু থেকে এ প্রক্রিয়ায় কয়েকবার আলোচনা হলেও, কিছু রাজনৈতিক আদর্শিক (এবং ঐতিহাসিক) বক্তব্য নিয়ে এখনো ঐকমত্য নিশ্চিত হয়নি। তবে, উপদেষ্টা মাহফুজ আশা প্রকাশ করেছেন যে, সবাই ছাড় দিয়ে (ছাত্রদের অনেক বক্তব্যই ইতোমধ্যে নেগোশিয়েটেড হয়েছে) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে যথাযথ রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির সুযোগ করে দেবেন।
উপদেষ্টা মাহফুজ উল্লেখ করেন, দল-মতাদর্শ নির্বিশেষে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের সকল গুরুত্বপূর্ণ পর্বের স্বীকৃতির ব্যাপারে উদারতা দেখানো হলেও, 'জুলাই ছাত্র-জনতার ন্যায্য স্বীকৃতি' বাদ দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন যে, 'জুলাই ঘোষণাপত্রে' 'জুলাই ছাত্র-জনতার ন্যায্য স্বীকৃতি' যথাযথভাবে নিশ্চিত করা হবে।
সাব্বির