ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০২ আগস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

"যদি সরকার গঠনের সুযোগ পাই, প্রথম ১৮ মাসে ১০ মিলিয়ন জবের প্রমিজ করেছি আমরা"

প্রকাশিত: ২২:০৯, ২৪ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ২২:১০, ২৪ জুলাই ২০২৫

ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “আইটি-সম্পর্কিত যেসব ব্যবসা রয়েছে, আমরা ইতোমধ্যে সেগুলোর ওপর কাজ করেছি। আমরা যদি আগামী দিনে সরকার গঠনের সুযোগ পাই, তাহলে প্রথম ১৮ মাসেই এক কোটি চাকরির সুযোগ তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।”

তিনি বলেন, “অনেকে বলেন এটা রাজনৈতিক বক্তব্য। কিন্তু আমরা সেই রাজনৈতিক বক্তব্যই দিচ্ছি, যা বাস্তবে রূপ দেওয়া সম্ভব। বিশেষ করে আইটি খাত একটি বড় সম্ভাবনার জায়গা, যেখানে আমাদের দেশের বহু শিক্ষিত তরুণ-তরুণী কাজ করতে পারে। কিন্তু আমরা এতদিন এই খাতের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারিনি, যেখানে পাশের দেশ ভারত তা সফলভাবে করতে পেরেছে।”

তিনি আরও বলেন, “এই খাতটি প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশাল সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। যে কেউ কথা বলতে পারে, সে কল সেন্টারে কাজ করতে পারবে—এমনকি কল সেন্টারে যাওয়ারও দরকার নেই। বর্তমানে ইন্টারনেটের কারণে কাজ করা যায় যেকোনো স্থান থেকে। গ্রামের একজন তরুণও ঘরে বসে এসব কাজ করতে পারবে। যারা কথা বলতে পারে না, তারাও চ্যাটিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন আউটসোর্সিং কোম্পানিতে কাজ করতে পারে। এই ধরনের চ্যাটভিত্তিক কাজ বিশ্বজুড়েই হচ্ছে।”

আমীর খসরু বলেন, “অনেক প্রতিবন্ধীই ব্রেইল বা অন্যান্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই চ্যাটিং-ভিত্তিক আউটসোর্সিং সেবায় যুক্ত হতে পারে। এটা শুধুমাত্র তাদের অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি নয়, বরং একটি জাতির জন্য ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।”

তিনি বলেন, “আমরা বিগত সময়ে এই সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগাতে পারিনি। কিন্তু আমাদের আগামী অর্থনৈতিক নীতিতে আমরা এই খাতগুলোকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাই। যেমন, গ্রামে বসে পাটের তৈরি পণ্য, কুমার বা কামারের হস্তশিল্প—এগুলো যদি আমরা প্রযুক্তিগত সাপোর্ট, ডিজাইন ও ব্র্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে সহায়তা দেই, তাহলে সেগুলোও গ্রাম থেকেই বিক্রি হতে পারে।”

তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, “থাইল্যান্ডের ‘ওয়ান ভিলেজ ওয়ান প্রোডাক্ট’ মডেলে যেমন সরকার ডিজাইনিং, ব্র্যান্ডিং এবং মার্কেটিং সাপোর্ট দিয়েছে—আমরাও তেমনভাবে করতে পারি। এতে গ্রামের মানুষ শহরে না গিয়েই আয় করতে পারবে। প্রতিবন্ধীদেরও এই সব সেক্টরে অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব।”

তিনি বলেন, “এটা একদিকে একটি বিশাল অর্থনৈতিক সম্ভাবনা, অন্যদিকে প্রতিবন্ধী মানুষের জীবনের মান উন্নয়ন এবং অধিকার নিশ্চয়তার একটি বড় পথ। তাদের প্রবেশগম্যতা (accessibility) সীমিত হলেও অনেক কাজই তারা করতে পারবে। প্রবেশগম্যতার বিষয়টি আমাদের সময় নিয়ে ঠিক করতে হবে, কিন্তু এখন থেকেই এই কাজগুলো শুরু করা সম্ভব।”

সবশেষে আমীর খসরু বলেন, “প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে প্রতিবন্ধীদের বিষয়টি যেন ‘স্পেশাল কেস’ হিসেবে নয়, বরং নিয়মিত কাঠামোর মধ্যে একটি সাধারণ কাজ হিসেবে নেওয়া হয়। বাজেটও আলাদা করে নয়, বরং রুটিন বাজেটিং-এর মধ্যেই যেন এই পরিকল্পনাগুলো থাকে। কারণ, প্রতিবন্ধী শিশুরাও এখন স্কুলে যাচ্ছে, সবকিছু করছে—তাদের জন্য আলাদা কিছু না করে নিয়মিতভাবে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করলেই হবে।”

তথ্যসূত্রঃ https://www.facebook.com/share/1DwzsLSBVw/

 
 

মারিয়া

×