
ছবিঃ সংগৃহীত
রাজধানীর দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ শিক্ষার্থী মাহিয়া তাসনিম (১৫) মারা গেছে। স্কুলটির ৮ম শ্রেণিতে পড়ত সে।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।
তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান। তিনি জানান, মাহিয়ার শ্বাসনালীসহ শরীরের ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। ক্রিটিকাল অবস্থায় ছিল সে। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ঘটনাটিতে ইনস্টিটিউট এ ১৩ জনের মৃত্যু হলো।
এদিকে, হাসপাতালে নিহতের পরিবারের সঙ্গে থাকা স্বজন ও প্রতিবেশীরা জানান, উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরের রাজউক প্রজেক্টের ডি ব্লকে থাকে পরিবারটি। ৩ মেয়েকে রেখে গত ৫ বছর আগে মারা গেছেন মাহিয়ার বাবা মোহাম্মদ বিশ্বাস। মা গৃহিণী আফরোজা খাতুন আর ফুপু মিলে বাচ্চাদের লালনপালন করতেন।
তাদের প্রতিবেশী অধ্যাপক ড. ফেরদৌসী বেগম বলেন, বাচ্চাটি এত ভদ্র ছিল যা বলে বুঝানোর মত নয়। দেখা হলেই ডেকে ডেকে কথা বলত, সালাম দিত। এত চঞ্চল ছিল। কোচিং ব্যবসার জন্য আজকে প্রাণ দিল। ঘটনার ওইদিন তার ছুটি হয়ে গিয়েছিল। বাধ্যতামূলক কোচিংয়ের জন্য তাকে বাসায় ফিরতে দেয়া হয়েছিল না। কোচিংয়ে ব্যবসায় বাধ্য করে না রাখলে ওইদিন হয়ত তার সাথে এমন ঘটনা নাও ঘটতে পারত। আবার বিমানের প্রশিক্ষণও কেন এমন জনবসতিমূলক এলাকায় করতে হবে! অন্য কোন দেশে তো এমন করা হয় না।
নোভা