ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৭ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২

জুলাই শহীদ দিবসে শেরপুর, ফ্যাসিবাদ রুখে দেওয়ার অঙ্গীকার

মারুফুর রহমান, শেরপুর

প্রকাশিত: ১৯:০৪, ১৬ জুলাই ২০২৫

জুলাই শহীদ দিবসে শেরপুর, ফ্যাসিবাদ রুখে দেওয়ার অঙ্গীকার

শেরপুরে বিপ্লবী ‘জুলাই আন্দোলন’-এর শহিদদের স্মরণে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৬ জুলাই (বুধবার) সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এই সভায় বক্তারা বলেন, "জুলাই শহীদদের রক্ত যেন বিফলে না যায়, শহীদদের আত্মত্যাগের চেতনাকে সমাজ বদলের হাতিয়ার হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।" সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান। সঞ্চালনায় ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোছা. হাফিজা জেসমিন।

সভায় বক্তারা শহীদদের পরিবারের পুনর্বাসন, আহতদের পূর্ণ চিকিৎসার নিশ্চয়তা এবং আন্দোলনের পটভূমি নিয়ে যথাযথ গবেষণার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. মিজানুর রহমান ভুঁইঞা বলেন, “আন্দোলন, প্রতিবাদ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে স্বীকৃত অধিকার। কিন্তু সেই অধিকার চর্চায় যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের বিচারহীনতা গণতন্ত্রকে দুর্বল করে।''

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ.বি.এম. মামুনুর রশীদ পলাশ বলেন, “জুলাই শহীদদের স্মরণ মানে অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া। শহীদদের স্বপ্ন ছিল দুঃশাসনের অবসান, সেই লক্ষ্য এখনো পূর্ণ হয়নি।'' বিএনপি নেতা আওয়াল চৌধুরী বলেন, “এই আন্দোলন আমাদের গণতন্ত্রচর্চার ইতিহাসে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। নতুন প্রজন্মকে এই ইতিহাস জানাতে হবে। শহীদরা শুধুই কোনো দলের ছিলেন না—তারা আমাদের সবার।''

জামায়াতের জেলা আমীর মাওলানা মো. হাফিজুর রহমান বলেন, “শহীদদের রক্ত যেন রাজনীতির পুঁজি না হয়, বরং এটি হোক অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর প্রেরণা।” শহীদ মাহবুবের বোন নিভিয়া খাতুন বলেন, “ভাইয়ের মৃত্যু আজও আমাদের পরিবারে দগদগে ঘা হয়ে আছে। আমরা এখনো বিচার পাইনি।” অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, জামায়াত নেতা আবদুল বাতেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক মো. মামুনুর রহমান, আহত আন্দোলনকারী আরিফুল ইসলাম ও মো. জাহাঙ্গীর আলম।

বক্তারা জুলাই আন্দোলনের চেতনায় দমন-পীড়ন ও স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান এবং বলেন, "জনগণ যেন আর কখনো কোনো ফ্যাসিবাদী শাসকের শিকার না হয়, সেজন্য সবার দায়িত্বশীল আচরণ প্রয়োজন।"

আঁখি

×