
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে কমিশনের সভায় ‘জুলাই শহীদ দিবস’ উপলক্ষে চব্বিশের জুলাই-আগস্টে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়
সারাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হলো ‘জুলাই শহীদ দিবস’। দিবসটি উপলক্ষে বুধবার সব মসজিদে শহীদদের মাগফিরাতের জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানেও তাদের আত্মার শান্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। এ ছাড়া জুলাই শহীদ দিবসে রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালনের অংশ হিসেবে দেশের সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।
জুলাই শহীদ দিবস উপলক্ষে বুধবার দুপুর দেড়টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মো. মুহিবুল্লাহিল বাকী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আ. ছালাম খান, পরিচালক মো. আনিছুর রহমান সরকার, মো. মহিউদ্দিন, ড. মোহাম্মদ হারুনূর রশীদসহ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
এদিকে জুলাই শহীদ দিবস উপলক্ষে বুধবার জোহর নামাজের পর সচিবালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি বিভিন্ন জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পালন করা হয় জুলাই শহীদ দিবস।
দিবসটি উপলক্ষে কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বুধবার বিকেলে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। সভায় শহীদ পরিবারের সদস্য, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী প্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যম কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়ছারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- শহীদ সাদমানের মা কাজী শারমিন, জুলাই যোদ্ধা মেহেদী হাসান শুভ, জাহিদুল হক অনিক, আব্দুল্লাহ আল বাকী, জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লা মহানগরীর নেতা অধ্যাপক মজিবুর রহমান, ছাত্র নেতা জিয়া উদ্দিন রুবেল, গণঅধিকার পরিষদ কুমিল্লা’র সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন, এবি পার্টির কুমিল্লা মহানগরীর আহ্বায়ক গোলাম মোহাম্মদ সামদানী এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিগণ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আমিরুজ্জামান আমির, সাবেক ছাত্রদল নেতা সাজ্জাদুল কবির সাজ্জাদ, প্রেসক্লাব সাবেক সভাপতি আবুল হাসনাত বাবুলসহ অনেকেই।
বক্তারা বলেন, জুলাই শহীদরা বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের স্বপ্ন নিয়ে জীবন দিয়েছেন। তাদের রক্তের বিনিময়ে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটে এবং জন্ম নেয় একটি গণতান্ত্রিক চেতনার নতুন অধ্যায়। বক্তারা আরও বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান শুধু ইতিহাস নয়, এটি সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের সংগ্রামের অনুপ্রেরণা। শহীদদের আদর্শ অনুসরণ করে একটি মানবিক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানান বক্তরা। আলোচনা শেষে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে জেলার সকল সরকারি-বেসরকারি দপ্তরে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।
প্যানেল হু