
উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুইটি গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের বেলালাবাদ দত্তপুর বাজারে এই ঘটনা ঘটে। ঘন্টাব্যাপী এই সংঘর্ষে দুই গ্রামের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বেলালাবাদ দত্তপুর বাস স্ট্যান্ডে মহাসড়কে অটো স্ট্যান্ডকে কেন্দ্র করে দত্তপুর গ্রামের আনোয়ারুল ইসলাম ও উত্তর পালাহার গ্রামের সজল মিয়ার মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটে। এরপর থেকেই দুটি গ্রামের মানুষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। শুক্রবার বিষয়টি নিয়ে বেলালাবাদ দত্তপুর বাজারে মীমাংসার জন্য বসে স্থানীয়রা। মীমাংসা না হওয়ায় এক পর্যায়ে দুই গ্রামের শতাধিক মানুষ দেশীয় অস্ত্র ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে দুই গ্রামের আনোয়ারুল ইসলাম (৪০) কাঞ্চন (২৮), ইসরাফিল (৪৮), হিমেল (২৫), শরীফ মিয়া (২৫), আলআমিন (২৫), অপু (২০), ফারুক (৩০), রমজান মিয়া (৩৩), ফজলুর রহমান (৫০) সহ অন্তত ২০ জন আহত হন। আহতরা নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বেলালাবাদ দত্তপুর বাজারের লোকজন জানায়, বুধবার ময়মনসিংহ জেলা মটরযান কর্মচারী সমিতি নান্দাইলের কানুরামপুর শাখার ২৯ সদস্য বিশিষ্ট্য কমিটি অনুমোদন দেন ময়মনসিংহ জেলা মটরযান কর্মচারী সমিতি। এই কমিটি ঘোষণার পর থেকে দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাটি দুটি গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। নান্দাইল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, শ্রমিকদের কমিটি এবং স্ট্যান্ড নিয়েই মূলত সংঘর্ষের সূত্রপাত। পরে এটি দুই গ্রামের মানুষরা জড়িয়ে পড়ে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। ওই বাজারে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
Jahan