
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ সরকার বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিকদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ‘বয়স্ক ভাতা’ প্রদান করে আসছে। এই ভাতা পেতে হলে নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হয়। চলুন জেনে নিই ২০২৫ সালের বয়স্ক ভাতা আবেদনের জন্য কী কী লাগে।
আবেদনের যোগ্যতা ও বয়সসীমা
- পুরুষদের ক্ষেত্রে: জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অনুযায়ী বয়স ৬৫ বছর বা তার বেশি হতে হবে।
- নারীদের ক্ষেত্রে: বয়স ৬২ বছর বা তার বেশি হতে হবে।
- বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে এবং নিজ এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
- বার্ষিক আয় ১০,০০০ টাকার নিচে হতে হবে।
- একটি সচল বিকাশ একাউন্ট থাকতে হবে।
- কোনো সরকারি ভাতা বা পেনশন গ্রহণ করছেন না এমন ব্যক্তি যোগ্য হবেন।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি।
- দুই কপি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
- সচল বিকাশ নম্বর (ভাতার অর্থ প্রদানের জন্য)।
- জন্ম সনদ ও ন্যাশনালিটি (নাগরিকত্ব) সনদ।
- স্থানীয় ইউপি সদস্য/চেয়ারম্যানের সুপারিশ।
কে কে এই ভাতা পাবেন না?
- যাদের বয়স নির্ধারিত সীমার নিচে।
- যারা অন্য সরকারি ভাতা বা পেনশন পাচ্ছেন।
- বাংলাদেশী নাগরিক না হলে।
- মানসিক বা শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সক্ষম ব্যক্তি।
- যদি আবেদনকারী কোনো ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিত হন।
- মিথ্যা তথ্য বা ভুয়া কাগজপত্র প্রদান করলে।
আবেদনের প্রক্রিয়া
আবেদন করতে হলে নিকটস্থ ইউনিয়ন পরিষদ, সিটি কর্পোরেশন ওয়ার্ড কাউন্সিলর বা পৌরসভার কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে হবে। নির্ধারিত ফরম পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ জমা দিতে হবে। একাধিক স্তরে যাচাই-বাছাই শেষে উপযুক্ত আবেদনকারীদের নাম চূড়ান্ত করা হয়।
কেউ যদি টাকার বিনিময়ে বয়স্ক ভাতা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়, তাহলে তা প্রতারণা হতে পারে। এমন কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকুন এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
রাকিব