
ছবি: সংগৃহীত
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে পূর্ব বিরোধের জেরে শফিকুল ইসলাম নামে এক পল্লী চিকিৎসককে পরিকল্পিতভাবে কুপিয়ে জখম করেছে একদল সংঘবদ্ধ হামলাকারী।বুধবার (৭ মে) উপজেলার বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়নের হাঁপানিয়া গ্রামের জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হামলায় শফিকুল ছাড়াও আরো দুজন আহত হন।
এ ঘটনায় আহত শফিকুলের মা জাহেরা খাতুন বাদী হয়ে তাহিরপুর থানায় একটি মামলা করেছেন,মামলা নং ১৩। এতে প্রধান আসামি এনামুল মিয়াসহ হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত ১৯ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। প্রধান আসামি এনামুল উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের পুরান খালাস গ্রামের খলিল মিয়ার ছেলে। এনামুলের বিরুদ্ধে স্থানীয় মানুষকে হুমকি, গ্রামে দাঙ্গা লাগানো ও বখাটেপনার নানা অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী।
এদিকে প্রধান অভিযুক্ত এনামুলসহ এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে আহবান জানিয়েছেন স্থানীয়রা। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এলাকাবাসীর আয়োজনে এক মানববন্ধনে এ আহ্বান জানান তাঁরা।
স্থানীয় বাসিন্দা ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে পল্লী চিকিৎসক শফিকুল ইসলামের সঙ্গে এনামুলের পারিবারিক বিরোধ ছিল। এসময়ের মধ্যে একবার শফিকুল ইসলামের বাড়িতে ঢুকে একটি মোটরসাইকেলে ও খড়ের গুদামে আগুন দিয়েছিল এনামুল ও তার লোকেরা।
এদিকে ঘটনার দিন শফিকুল স্থানীয় লাকমা বাজার থেকে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল করে বাড়ি ফেরার পথে হাঁপানিয়া গ্রামের জামে মসজিদ এলাকায় পৌঁছালে সেখানে গতিরোধ করে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে এনামুলের নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ দল। হামলাকারীরা শফিকুল ইসলামকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। হামলাকারীদের বাঁধা দিলে শফিকুলের সঙ্গে থাকা আরও দুই ব্যক্তি আহত হন। একপর্যায়ে গ্রামবাসী এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে শফিকুলকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।
তাহিরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল কাদের মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামিদের ধরতে পুলিশ তৎপরতা চালাচ্ছে।
আলীম