ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৬ মে ২০২৫, ২২ বৈশাখ ১৪৩২

বাকৃবিতে বোরো বীজ ধান কাটা উদ্ভোধনে উপচার্য

বিশ্ববিদ্যালয়ের সব জমির মালিকানা বিশ্ববিদ্যালয়েরই

নিজস্ব সংবাদদাতা, গফরগাঁও, ময়মনসিংহ

প্রকাশিত: ২২:২৯, ৫ মে ২০২৫

বিশ্ববিদ্যালয়ের সব জমির মালিকানা বিশ্ববিদ্যালয়েরই

ছবিঃ প্রতিবেদক

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) খামার ব্যবস্থাপনা শাখার বোরো বীজ ধান কাটা শুরু হয়েছে। (রবিবার, ৪ মে) সকালে বীজ ধান কাটার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। আজ সোমবার সকাল থেকে পুরোদমে ধান বীজ কাটা শুরু শ্রমিকরা।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো শহীদুল হক, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো আব্দুল আলীম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির, প্রধান খামার তত্ত্বাবধায়ক মো জিয়াউর রহমান প্রমুখ। দুটি হার্ভেস্টার মেশিন দিয়ে খামার ব্যবস্থাপনা শাখার আবাদ করা প্রায় ১৭২ একর জমির বীজ ধান কাটা হবে।

বাকৃবির প্রধান খামার তত্ত্বাবধায়ক মো. জিয়াউর রহমান বলেন, ‘চলতি বছর প্রায় ১৭২ একর জমিতে বীজ ধান কর্তন করা হবে। এর মধ্যে ব্রি-২৯, ব্রি-৭৮, ব্রি-৮৮, ব্রি-৮৯, ব্রি-৯২, বিনা-১০, বিনা-২৫ ও বিনা-২৮ জাতের ধান আবাদ করা হয়েছে।

এ বছর ৫০০ টন মানসম্পন্ন ধান বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উৎপাদিত এসব বীজ ধান বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) এবং বিএডিসির মাধ্যমে সারাদেশে সরবরাহ করা হবে।

এ পর্যন্ত ১ কোটি ১৬ লাখ কেজি ধান বীজ বিএডিসি ও বিনার সহায়তায় কৃষক পর্যায়ে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। এতে প্রায় ১৫/২০ লাখ কৃষক উন্নতমানের ধান বীজ পেয়ে উপকৃত হয়েছেন বলে জানান তিনি।

ধান কর্তন উদ্বোধন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফজলুল হক ভূঁইয়া জানান, আরও নতুন নতুন উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত উদ্ভাবনে কাজ করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। ধান, শাকসবজি, ফলমূল, মাছ, মুরগিসহ কৃষির প্রতিটি খাতেই উৎপাদন বৃদ্ধি ও গবেষণার মাধ্যমে  হিসেবে গড়ে তোলা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সব জমির মালিকানা বিশ্ববিদ্যালয়েরই এবং সেগুলো প্রয়োজন ও পরিকল্পনার ভিত্তিতে বিভিন্ন অনুষদ, বিভাগ বা খামারকে বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ জমিগুলো কোনো ব্যক্তির জন্য নয়; শুধু শিক্ষা, গবেষণা ও উৎপাদনমুখী কার্যক্রমে ব্যবহৃত হবে।

তিনি আরো বলেন, ‘যেসব জমি বা পুকুর বর্তমানে পতিত পড়ে আছে বা গবেষণায় ব্যবহৃত হচ্ছে না, সেগুলো খুব দ্রুত চিহ্নিত করে তালিকাভুক্ত করা হবে। এরপর সেগুলো পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল উৎপাদন ও গবেষণামূলক কার্যক্রমে যুক্ত করা হবে। ব্যক্তিগত স্বার্থে বা বহিরাগতদের অনুকূলে কোনো জমি ব্যবহারের সুযোগ নেই। গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও উৎপাদনএই তিনটি ক্ষেত্রেই বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি সর্বোচ্চভাবে ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।

আরশি

×