.
ভারত বাংলাদেশের গণ-অভ্যুত্থান ঠেকাতে পারেনি উল্লেখ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ‘ধর্মীয় পরিচয়ে বিভাজন করা মোটেও কাম্য নয়-আমাদের দরকার মানুষের পরিচয়। আমাদের সংখ্যালঘু বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন হচ্ছে এই কথা বলে কিছু ঘটনার প্রেক্ষিতে ভারত আমাদের ভয় দেখাচ্ছে। কিন্তু আমরা তাদের ভয় পাই না। কারণ আমরা যে পরিবর্তন আনতে চেয়েছি, সেই পরিবর্তন আমাদের সন্তানেরা করেছে।’ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে গণ-আকাক্সক্ষা মঞ্চের উদ্যোগে ‘গণ-আকাক্সক্ষা, গণ-অভ্যুত্থান প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি এবং বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা’-শীর্ষক মতবিনিময় ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় নির্বাচিত হয়ে যারা সরকার গঠন করবে তারা যেন ক্ষমতা নয় বরং দায়িত্ব পালন করে এ ধরনের বার্তা রাজনৈতিক দলগুলোকে দিতে হবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা নয়, দায়িত্ব নিয়েছে। তাই নির্বাচিত হয়ে যারা সরকার গঠন করবে তারা যেন ক্ষমতা নয় বরং দায়িত্ব পালন করে এ ধরনের বার্তা রাজনৈতিক দলগুলোকে দিতে হবে। আমাদের সন্তানরা গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্টদের বিতাড়িত করেছে, যা কোনো রাজনৈতিক দল করতে পারেনি।’
তিনি বলেন, কৃষি খাতকে আরও সম্প্রসারণ করা হবে। পণ্য আমদানি করেই নয়, পণ্যের উৎপাদনও বাড়াতে হবে। শুধু কৃষি পণ্য নয় কৃষকদেরও পরিসংখ্যানে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা শুধু সেনাবাহিনীর কাজ নয়, আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
জুলাই-আগস্টে শহীদদের মায়েদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, আপনাদের প্রতি অন্যায়-অবিচার হোক সরকার তা কোনোভাবেই চাইবে না। আপনাদের সন্তানের রক্তের বিনিময়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। এখনো অনেক আহতরা শহীদে পরিণত হচ্ছে, শহীদদের তালিকা বাড়ছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
গণ-আকাক্সক্ষা মঞ্চের আহ্বায়ক আব্দুল মজিদ অন্তরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাড. হাসনাত কাইয়ুম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. গোলাম সারওয়ার। এ ছাড়া ছাত্র-শ্রমিক-জনতা-কৃষক প্রতিনিধি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।