ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

বনানী-বিমানবন্দর সড়কে যানজট পরিস্থিতি স্বাভাবিক

প্রকাশিত: ১৮:২৪, ২ অক্টোবর ২০২২

বনানী-বিমানবন্দর সড়কে যানজট পরিস্থিতি স্বাভাবিক

বনানী-বিমানবন্দর সড়ক

দীর্ঘ সময় যানজটের পর বেলা আড়াইটার দিকে বিমানবন্দর সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। বেলা তিনটার দিকে ঢাকা মহানগর উত্তরা ট্রাফিক পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) নাবিদ কামাল ওই সড়কে যান চলাচল শুরুর তথ্য জানান।

নাবিদ কামাল বলেন, দুপুরের মধ্যেই বিমানবন্দর বাসস্ট্যান্ড গোলচত্বরে জমে যাওয়া বৃষ্টির পানি সেচে অপসারণ করা হয়। এরপর যানজটে আটকে থাকা গাড়িগুলো চলতে শুরু করে। তবে এর আগে বিমানবন্দর বাসস্ট্যান্ডের দুই পাশে (ঢাকায় প্রবেশ ও ঢাকার বাইরে যাওয়ার রাস্তায়) দীর্ঘ যানজট লেগেছিল। বেলা আড়াইটার দিকে তা স্বাভাবিক হতে শুরু করে।

ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা জানান, ভোরের বৃষ্টির পর সকালে কর্মস্থলে যাওয়ার সময় সকাল সাড়ে আটটার দিকে বিমানবন্দর বাসস্ট্যান্ডে পানি জমে থাকার কারণে উভয় পাশে দীর্ঘ যানজট লাগে। পরে আড়াইটার দিকে এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে।

রবিবার ভোরের বৃষ্টিতে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বাসস্ট্যান্ডের গোলচত্বর এলাকায় প্রায় হাঁটুপানি জমে যায়। এতে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর বনানী থেকে বিমানবন্দর এলাকায় কেউ তিন ঘণ্টা কেউ বা চার ঘণ্টা যানজটে আটকা পড়েন। আবার ঢাকায় ঢোকার মুখে আবদুল্লাহপুর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত যানজট হয়।

গাজীপুর সংবাদদাতা জনকন্ঠকে জানান, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুরের বোর্ডবাজার থেকে বিমানবন্দর এবং রাজধানীর বনানী থেকে টঙ্গীর চেরাগ আলী পর্যন্ত তীব্র যানজট রয়েছে।

যানজটে আটকে থাকা অনেক যাত্রী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুকে) দুর্ভোগের বিষয়টি বলেন। কেউ কেউ দুই থেকে তিন ঘণ্টা একই জায়গায় বাসের ভেতর বসে থাকার কথা, কেউ আবার বনানী থেকে উত্তরা পর্যন্ত পায়ে হেঁটে রওনা দেওয়ার কথা বলেন।

বেলা পৌনে একটার দিকে ঢাকা মহানগর উত্তরা ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছিল, বিমানবন্দর এলাকায় বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের কারণে এমনিতেই মহাসড়ক এখন অনেক সরু। এর মধ্যে বৃষ্টির পানি রাস্তায় জমে যায়। পানি জমে থাকায় চালকেরা খানাখন্দ ও গর্ত বুঝতে পারেনি। এই পরিস্থিতিতে ঢাকায় প্রবেশ ও ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার পথে দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

তখন ট্রাফিক উত্তরা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার নাবিদ কামাল বেলা পৌনে একটার দিকে বলেন, সেচযন্ত্র দিয়ে সেচে পানি অপসারণ করা হয়েছে। এখন যানবাহন চলতে পারছে। যানজটের সারি বিমানবন্দর থেকে নিকুঞ্জ এলাকা পর্যন্ত রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন।

আবদুল্লাহপুর ট্রাফিক পুলিশ বক্সের পরিদর্শক মো.সাজ্জাত হোসেন বলেন, ‘টঙ্গীর মিলগেট এলাকায় বিআরটি প্রকল্পের গর্ত-খানাখন্দে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় কোনো গাড়ির স্বাভাবিক গতিতে গাজীপুর অংশে ঢুকতে পারছে না। আবার বিমানবন্দর এলাকায় সড়কে বৃষ্টির পানি জমেছে। এ কারণে গাজীপুর থেকেও কোনো গাড়ি ঠিকমতো ঢাকায় ঢুকতে পারছে না। তাই সকাল থেকেই মানুষ খুব কষ্ট করছে। আমরাও চেষ্টা করছি যান চলাচল স্বাভাবিক করতে।’

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, আবদুল্লাহপুরের দিকে সড়কে থাকা যানবাহনগুলো ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। অনেকক্ষণ পরে অল্প কিছু সময়ের জন্য যানবাহনগুলো চলছে ধীরগতিতে। এরপর আবার দাঁড়িয়ে পড়ছে একইভাবে এতে বিরক্ত হয়ে যাত্রীদের কেউ কেউ হেঁটেই গন্তব্যে রওনা দিয়েছেন।

এমএস

×