ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

৩৬ শিল্পীর তালিকা নির্মাতার হাতে ॥ বাজেট ৩৫ কোটি টাকা

মুজিববর্ষেই মুক্তি পাবে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক

প্রকাশিত: ১০:৪৫, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯

 মুজিববর্ষেই মুক্তি পাবে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক

মনোয়ার হোসেন ॥ বঙ্গবন্ধুর জীবনীনির্ভর বায়োপিক নির্মাণ করছেন শ্যাম বেনেগাল। এ খবর সবার জানা। প্রশ্ন হচ্ছে, কবে থেকে শুরু হবে শূটিং এবং কোন বছরে শেষ হবে নির্মাণ কাজ? নতুন খবরটি হচ্ছে, আগামী বছরের শুরুর দিকেই শুরু হচ্ছে শূটিং এবং মুজিববর্ষেই নির্মিত হবে এই বায়োপিক। শুধু নির্মাণ সম্পন্ন নয়, মুজিববর্ষে মুক্তি পাবে ছবিটি। সে প্রচেষ্টার ফসল হিসেবে ইতোমধ্যে প্রস্তুত হয়েছে জাতির জনককে সেলুলয়েডে মেলে ধরার চিত্রনাট্য। নির্ধারিত হয়েছে ছবির শূটিং লোকেশন। চূড়ান্ত হয়েছে শূটিংয়ের জন্য নির্ধারিত আউটডোর থেকে ইনডোর। শিল্পনির্দেশনার পাশাপাশি ছবির অভিনয় শিল্পীদের পোশাক-পরিচ্ছদ কেমন হবে-এগিয়ে চলেছে সেসব কাজ। বাকি আছে শুধু শিল্পী নির্র্বাচনের কাজটি। সেই শিল্পীদের তালিকাও ইতোমধ্যে পৌঁছে গেছে বলিউডের এই বিখ্যাত নির্মাতার কাছে। বায়োপিকে বঙ্গবন্ধুসহ বাকি চরিত্রের জন্য বাংলাদেশের ৩৬ জন অভিনয় শিল্পীর তালিকা পেয়েছেন শ্যাম বেনেগাল। সেই সুবাদে এখন বাংলার জল-হাওয়ার নির্যাসে শেখ মুজিবকে নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্রের জন্য প্রস্তুত এই বায়োপিক মাস্টার। আসছে জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারিতে শুরু করবেন বায়োপিকের নির্মাণ কাজ। চলছে চূড়ান্ত প্রস্তুতি। এই নির্মাতার পরিকল্পনানুযায়ী হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালীকে নিয়ে চমৎকার একটি বায়োপিক নির্মাণের আভাস মিলছে। মহান ব্যক্তিত্বদের নিয়ে এই পরিচালকের আগের ছবিগুলোর মতোই এটিও হবে উচ্চমানের। দর্শক কিংবা বোদ্ধাদের আকৃষ্ট করার মতোই রসদ নিয়েই হাত দিচ্ছেন কাজে। সেই আকাক্সক্ষায় বদলেছে বাংলা ভাষায় বায়োপিক নির্মাণের সিদ্ধান্ত। স্বাধীনতার মহান স্থপতিকে আন্তর্জাতিকভাবে উপস্থাপনে বাংলার পরিবর্তে ছবিটি নির্মিত হবে ইংরেজী ভাষায়। থাকবে বাংলাসহ কয়েকটি ভাষার সাব টাইটেল। সেই শিল্পযাত্রায় সহযোগী পরিচালক হিসেবে গুরু শ্যাম বেনেগালের সঙ্গী হয়েছেন তারই শিষ্য বলিউডের আরেক নামী পরিচালক দয়াল নিহালানি। সুচারুরূপে চিত্রনাট্য রচনার কাজটি শেষ করেছেন বলিউডের বহু সফল ছবির দুই চিত্রনাট্যকার অতুল তিওয়ারি ও শামা জায়েদি। ছবির শিল্পনির্দেশনায় মুন্সিয়ানা দেখানোর দায়িত্ব পেয়েছেন আরেক খ্যাতিমান। দায়িত্বটি পালন করবেন অস্কারজয়ী ব্লকবাস্টার হলিউড মুভি গ্ল্যাডিয়েটরসহ বেশ কিছু ভারতীয় ছবির জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পনির্দেশক নীতিশ রায়। হায়দরাদের রামোজি ফিল্ম সিটিসহ ভারতের কয়েকটি ফিল্ম সিটিও গড়ে উঠেছে এই আর্ট ডিরেক্টর কাম স্থপতির নক্সায়। কস্টিউম ডিরেক্টর বা শিল্পীদের পোশাক-পরিচ্ছদ নির্বাচনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বটি পেয়েছেন শ্যাম বেনেগালের মেয়ে পিয়া বেনেগাল। এভাবেই বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকে নির্মাণের পুরো পরিকল্পনাটি সাজিয়েছেন শ্যাম বেনেগাল। বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিতব্য ছবির বাজেট নির্ধারিত হয়েছে ৩৫ কোটি টাকা। এই টাকার ৬০ শতাংশ বহন করবে বাংলাদেশ এবং ৪০ শতাংশ দেবে ভারত। টেবিল-ওয়ার্ক শেষে আগামী জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারিতে শুরু হচ্ছে বায়োপিকের ফিল্ড-ওয়ার্ক। নির্মাণের সূচনালগ্নে বাংলাদেশে এসে প্রথমেই শিল্পী নির্বাচন করবেন বেনেগাল। অডিশনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রসহ বাকি চরিত্রের শিল্পীদের অভিনয় চূড়ান্ত করবেন। শতভাগ বাংলাদেশী অভিনয় শিল্পীকে নিয়েই সিনেমা নির্মাণে আগ্রহী বেনেগাল। তবে কোন চরিত্রের জন্য উপযুক্ত শিল্পী না মিললে সেক্ষেত্রে যুক্ত হবেন ভারতীয় শিল্পী। শিল্পী নির্বাচনের পর নতুন বছরের জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারির মধ্যে শুরু হবে নির্মাণ কাজ। বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বর্ষ শেষ হওয়ার আগেই সমাপ্ত হবে নির্মাণ কাজ। আগামী বছরের ১৭ মার্চ শততম জন্মবর্ষে পদার্পণ করবেন বঙ্গবন্ধু। শুরু হবে মুজিববর্ষ। এই মুজিববর্ষেই অর্থাৎ ২০২১ সালের ১৭ মার্চের আগেই শেষ হবে বায়োপিকের নির্মাণ কাজ। বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক বিষয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে তথ্য মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র। ওই সূত্র জানায়, বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বর্ষের আগেই আগামী বছরের জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই শুরু হবে বায়োপিকের নির্মাণ কাজ। দুই ঘণ্টা ১০ থেকে ২০ মিনিট ব্যাপ্তির বায়োপিকটির কাজ শেষ হবে ২০২১ সালের ১৭ মার্চের আগে। অর্থাৎ বঙ্গবন্ধুর ১০১তম জন্মবর্ষের আগেই শেষ হবে নির্মাণ কাজ। সে কারণে মুজিববর্ষেই মুক্তি পাবে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক। অভিনয় শিল্পী ছাড়া চলচ্চিত্রটির সবকিছু চূড়ান্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভীর মাধ্যমে বাংলাদেশের ৩৬ অভিনয় শিল্পীর তালিকাটিও পেয়ে গেছেন বেনেগাল। দেশের চলচ্চিত্র ও নাট্যাঙ্গনের শিল্পীসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা প্রাথমিকভাবে মনোনীত করেছেন এই শিল্পীদের। অডিশনের মাধ্যমে তালিকাভুক্তদের মধ্য থেকে ছবির চূড়ান্ত অভিনেতা-অভিনেত্রী নির্বাচন করবেন বেনেগাল। দাদাসাহেব ফালকে এ্যাওয়ার্ডস, পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ সম্মাননাসহ সাতটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ৮৩ বছর বয়সী বিখ্যাত এই বলিউড পরিচালক চাইছেন, চলচ্চিত্রটির শতভাগ অভিনয় শিল্পী হবে বাংলাদেশের। তবে কোন চরিত্রের জন্য উপযুক্ত শিল্পী না পাওয়া গেলে সেক্ষেত্রে ভারতের শিল্পী খোঁজা হবে। মুজিবের জীবন কাহিনীময় চলচ্চিত্রটির শূটিং হবে বাংলাদেশ ও ভারতে। অধিকাংশ আউটডোর শূটিং হবে বাংলাদেশে। অন্যদিকে বেশিরভাগ ইনডোর শূটিং হবে কলকাতায়। এসব পরিকল্পনা মাথায় নিয়েই সম্প্রতি বেনেগালের পক্ষে বাংলাদেশে এসেছিলেন পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল। বায়োপিকের নির্মাণ অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে ৭ থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকায় ছিলেন তারা। সে দলে ছিলেন বায়োপিকটির সহযোগী পরিচালক দয়াল নিহালানি, শিল্পনিদের্শক নীতিশ রায় ও কস্টিউম ডিরেক্টর পিয়া বেনেগাল। তাদের মধ্যে দয়াল নিহালানি নিজেও বলিউডের নামী নির্মাতা। বেনেগালের সঙ্গী হয়েই নির্মাতা হিসেবে হাতেখড়ি হয় নিহালানির। বেশ কিছু বলিউড ফিল্মে দু’জন কাজও করেছেন একসঙ্গে। তাই গুরুর ডাকে আবার সংযুক্ত হয়েছেন নতুন ফিল্মি প্রকল্পে। অন্যদিকে বলিউডের বেশকিছু ছবিতে শিল্পনির্দেশনা দিয়ে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্তির পাশাপাশি অস্কারজয়ী হলিউড ফিল্ম গ্ল্যাডিয়েটরের শিল্পনিদের্শক ছিলেন নীতিশ রায়। পিয়া বেনেগালও কস্টিউডম ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেছেন বেশ কিছু হিন্দি ছবিতে। এই বিষয়ে সুনাম রয়েছে তার। ঢাকায় অবস্থানকালে এই দলটি সাক্ষাত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে। এ সময় তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সংগ্রাম, চলন-বলন, পোশাক-পরিচ্ছদসহ জীবনের নানা বিষয়ের খুঁটিনাটি তথ্য সংগ্রহ করেছেন। ছবির নির্মাণ কাজের অংশ হিসেবে দলটি তিন দফায় ধানম-ি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেছেন। এছাড়াও পুরাতন জেলখানার যে কক্ষে বঙ্গবন্ধু বন্দী ছিলেন সেটিসহ ক্যান্টনমেন্টে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার বিচারের স্থান, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, পুলিশ জাদুঘর, আর্মি জাদুঘর, জাতীয় তোষাখানা, ঢাকা ক্লাব, এফডিসি ও গাজীপুরের পুবাইল পরিদর্শন করেছেন। বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকের সময়কাল হবে গত শতকের চল্লিশের দশক থেকে পঁচাত্তরের পনেরোই আগস্ট পর্যন্ত। সে কারণে পাঁচ সদস্যের দলটি ওই সময়ের উপযোগী পোশাক নির্বাচনে ঢুঁ মেরেছেন ঢাকার বিভিন্ন মার্কেটে। কেমন হবে জাতির জনকের পোশাকসহ তার ঘাতকদের পোশাক, কেমন হবে মুক্তিযোদ্ধাদের পোশাক, পাকবাহিনীর পোশাক থেকে শুরু কেমন হবে যুদ্ধকালীন সময়ে এদেশের সাধারণ মানুষের পোশাক-বিভিন্ন দোকান ঘুরে সে ধরনের পোশাকের সন্ধান করেছেন তারা। পোশাকের বিষয়টি নিখুঁত করতে এদেশের কিছু নামী কস্টিউম ডিজাইনারের সঙ্গেও বৈঠক হয়েছে তাদের। এছাড়া শিল্পনির্দেশনার আশ্রয়ে ওই সময়কে কেমনভাবে ফ্রেমে উপস্থাপন করা হবে-সেটি নিয়েও কাজ করেছেন। এর আগে গত মে মাসে মুম্বাই থেকে ঢাকায় এসেছিলেন বায়োপিকের দুই চিত্রনাট্যকার অতুল তিওয়ারি ও শামা জায়েদি। বলিউডের সফল এই চিত্রনাট্যকারদ্বয় বঙ্গবন্ধুর জন্ম, বেড়ে ওঠা এবং তার জীবন ও সংগ্রামের সঙ্গে সম্পৃক্ত স্থানগুলো পরিদর্শন করছেন। ঘুরে দেখেছেন গোপালগঞ্জ, টুঙ্গিপাড়া, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি, পুরান ঢাকার রোজ গার্ডেন, ঢাকা সেনানিবাস, পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগার, শহীদ মিনার, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ বিভিন্ন স্পট। সেসব স্থান ঘুরে সংগ্রহ করে নিয়ে গেছেন বিভিন্ন তথ্য। কাহিনীর বিন্যাসে সেসব তথ্যের চূড়ান্ত যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে তৈরি করেছেন চিত্রনাট্য। বঙ্গবন্ধুর জীবনীভিত্তিক বায়োপিকে মেলে ধরা হবে তার তারুণ্য থেকে সংগ্রামী জীবনের অধ্যায়। সেলুলয়েডে উঠে আসবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় থেকে পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের নির্মম ট্র্যাজেডি। মূলত এই দুই ঘটনাপ্রবাহকে কেন্দ্র করে এগিয়ে যাবে সিনেমার কাহিনী। সময়ের বিবেচনায় গত শতকের চল্লিশের দশক থেকে পঁচাত্তরের পনেরোই আগস্ট। তারুণ্য থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং পরবর্তী সময়ের মুজিবের দেখা মিলবে ছবিতে। নির্মাণের প্রাথমিক প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গত এপ্রিল মাসে ঢাকায় এসেছিলেন দাদাসাহেব ফালকে এ্যাওয়ার্ডস বিভিন্ন সম্মাননায় ভূষিত নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল। তখন তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতসহ এদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিশিষ্টজনদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই সফরকালে জনকণ্ঠের এই প্রতিনিধির সঙ্গে কথা হয় বেনেগালের। সেই আলাপচারিতায় তিনি জানান, বাংলাদেশের জল-হাওয়াতেই শেখ মুজিবের জন্ম ও বেড়ে ওঠা। তাই বাংলার মাটির নির্যাসেই নির্মিত বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক। শেখ মুজিবুর রহমানকে উপজীব্য করে নির্মিত চলচ্চিত্রটির অধিকাংশ কাজই হবে বাংলাদেশকে নির্ভর করে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের প্রতিভাবান অভিনেতা-অভিনেত্রীরাই অভিনয় করবেন এই চলচ্চিত্রে। বেশিরভাগ শূটিংও হবে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে। কারিগরি সহায়তাসহ কলাকুশলীরাও থাকবেন এ দেশেরই। যৌথ প্রযোজনার ছবি হলেও বেশিরভাগ কাজ হবে বাংলাদেশে। চিত্রনাট্য তৈরির ক্ষেত্রে এদেশের ইতিহাসবিদ ও গবেষকদের সহায়তা নেয়া হবে। বঙ্গবন্ধুর সময়কাল থেকে বাংলাদেশের জন্মকাল-এ সময়গুলোকে যারা অবলোকন করেছেন, তাদের সহযোগিতা নেব আমরা । শ্যাম বেনেগালের বাংলাদেশ সফরের সময় বায়োপিক সংক্রান্ত একটি বৈঠকে যুক্ত হয়েছিলেন প্রখ্যাত অভিনয় শিল্পী ও নাট্য নির্মাতা মামুনুর রশীদ। কেমন হবে বঙ্গবন্ধু বায়োপিক- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একটি চলচ্চিত্রের নির্মাণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভবিষ্যত সম্পর্কে বলা যায় না। তবে বায়োপিক নির্মাণে বিশেষ খ্যাতি রয়েছে শ্যাম বেনেগালের। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোসসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বদের নিয়ে সফল বায়োপিক নির্মাণ করেছেন। এর বাইরে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকে তার টিমে সম্পৃক্ত হয়েছে দক্ষ ও পেশাদার লোকজন। সেই বাস্তবতায় আশা করা যায়, তার মেধা-মননের ফসলে নির্মিত হবে আরেকটি সমৃদ্ধ মানের বায়োপিক।
×