ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

মেয়র আড়াই মাস লন্ডনে চিকিৎসাধীন উচ্ছেদ অভিযান গতি হারানোয় ফের বেদখল হচ্ছে ফুটপাথ, রাস্তা- জনভোগান্তি চরমে

ঢাকা উত্তরের উন্নয়ন প্রকল্পে গতি নেই, চলছে ঢিমেতালে

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ১১ অক্টোবর ২০১৭

ঢাকা উত্তরের উন্নয়ন প্রকল্পে গতি নেই, চলছে ঢিমেতালে

মশিউর রহমান খান ॥ মেয়র আনিসুল হকের অনুপস্থিতিতে ঢিমেতালে দায়সারা গোছে চলছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নসহ নতুন পুরনো সকল কর্মক‍ান্ড। অনেকটা রুটিন ওয়ার্কে পরিণত হয়েছে নাগরিক সেবার অন্যতম বৃহত এ প্রতিষ্ঠানটির দৈনন্দিন কার্যক্রম। এমনকি নাগরিকদের সুরক্ষায় ও অধিক সেবা প্রদানের জন্য মেয়রের গৃহীত আলোচিত বিভিন্ন উদ্যোগও বাস্তবায়নে অনেকটা ভাটা পড়েছে। কোন কোন উদ্যোগ ইতোমধ্যেই আগের অবস্থায় ফিরে যেতে দেখা যাচ্ছে। দায়িত্ব গ্রহণের একমাস পেরিয়ে গেলেও নতুন কোন প্রকল্প গ্রহণ করেনি ভারপ্রাপ্ত প্যানেল মেয়র ওসমান গণি ও তার প্যানেল সদস্যগণ। এমনভাবে চলতে থাকলে ধীরে ধীরে পূর্বাবস্থায় ফিরে যাবে ডিএনসিসি। গত ২৯ জুলাই মেয়রের লন্ডন যাত্রার পর গত প্রায় আড়াই মাসে নতুন কোন কাজেই হাত দেয়নি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানটি। পুরনো সকল কাজ বাস্তবায়ন মনিটরিং করেই সময় পার করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারীরা। সংশ্লিষ্টদের মতে, আনিসুল হক সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ফিরে না আসা পর্যন্ত নাগরিক সেবা সম্পর্কিত বৃহদাকারের ও নতুন কোন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করে ঝুঁকি নিতে রাজি নন ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও কাউন্সলররা, বিশেষ করে ডিএনসিসির কর্মকর্তারা। উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই ডিএনসিসি মেয়র আনিসুল হক লন্ডনে পরিবারসহ তার নাতি দেখতে যান। ১৩ আগস্ট হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সেন্ট্্রাল লন্ডনের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালেই মস্তিষ্কের রক্তনালীর প্রদাহজনিত রোগের চিকিৎসা নিচ্ছেন। এখনও তিনি সুস্থ হতে পারেননি। তবে আগের চেয়ে এখন কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে জানা গেছে। ডিএনসিসি সূত্র জানায়, দুই মাসের অধিক সময় পার হয়ে গেলেও দায়িত্বপ্রাপ্তরা সিটি কর্পোরেশনের স্বাভাবিক কাজে গতি ফেরাতে পারছেন না। মেয়র অসুস্থ হওয়ার পর সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ডিএনসিসির কর্মকা- চলমান রাখতে তিন সদস্যের একটি প্যানেল মেয়র নির্বাচন করে। জ্যৈষ্ঠতার ক্রমানুসারে তারা হচ্ছেন ডিএনসিসির ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ওসমান গনি, ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জামাল মোস্তফা এবং ৩১, ৩২ ও ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর আলেয়া সারোয়ার ডেইজী। গত ৫ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক প্যানেল মেয়রের প্রজ্ঞাপন জারি করলেও ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে কাউন্সিলর ওসমান গনি ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে দায়িত্ব পালন করছেন। স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন অনুযায়ী, কোন কারণে মেয়র দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হলে কাউন্সিলরদের মধ্যে জ্যেষ্ঠতা অনুসারে মেয়রের প্যানেলের কোন সদস্য তার সব দায়িত্ব পালন করবেন। ইতোমধ্যে এ প্যানেল দায়িত্ব গ্রহণের এক মাস পার করেছে। জানা গেছে, গত একমাসে ডিএনসিসিতে বড় ধরনের কোন প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। এই প্যানেল মেয়র আনিসুল হকের নেয়া চলমান কাজগুলো সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা ও কাউন্সিলরদের সঙ্গে নিয়মিত মিটিং করে যাচ্ছেন ও নিয়মিত ফাইলে স্বাক্ষর করে যাচ্ছেন। এর বাইরে কোন কাজ করছেন না। এভাবে চলতে থাকলে ডিএনসিসির পূর্বের নেয়া বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নসহ সার্বিক কর্মকান্ডের ওপর প্রভাব পড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। সরেজমিনে দেখা গেছে, ডিএনসিসি মেয়র আনিসুল হক মোহাম্মদপুর, ফার্মগেট, মিরপুর ১০ নং গোলচত্বর, গুলশান বনানীসহ অতি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা যেখানে প্রচুর জনসমাগম হয় এমন স্থান চিহ্নিত করেন। এসব স্থানে দখল করা ফুটপাথ ও রাস্তার দখল উচ্ছেদ চালিয়ে জনগণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেন। মেয়রের অনুপস্থিতিতে এসব স্থান ক্রমান্বয়ে দখল হতে দেখা যাচ্ছে। মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ধীরে ধীরে রাস্তার ওপর বাস দাঁড় করিয়ে পূর্বের ন্যায় দখল করে রাখছেন পরিবহন শ্রমিকরা। এতে জনগণের চলাচলে প্রতিনিয়তই সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। শরীফ নামে মোহাম্মদপুর আল্লাহ করিম মসজিদ মার্কেটের এক ব্যবসায়ী জনকণ্ঠকে জানান, মেয়র আনিসুল হক সাহেব অসুস্থ থাকায় অনেক কাজেই আগের মতো গতি পাচ্ছি না। আগে বাসস্ট্যান্ডের এই রাস্তাটি প্রায় সবসময়ই খালি থাকলেও গত কিছুদিন যাবত আবার রাস্তার ওপর যত্রতত্র বাস দাঁড় করিয়ে যাত্রী তুলছে। যা পেছনের অন্য সকল যানবাহনের চলাচলের পথে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে সকাল বেলায় অফিসে যাওয়ার সময় এ সমস্যাটি প্রকট হয়ে দেখা দেয়। ডিএনসিসির মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল ও আশপাশের এলাকায় রাস্তার ওপর দূরপাল্লার বাস দাঁড় করিয়ে রাখত পরিবহন শ্রমিকগণ। এর ফলে প্রতিনিয়তই রাস্তায় প্রচ- ট্রাফিক জ্যামের সৃষ্টি হতো। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে আনিসুল হক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে সঙ্গে নিয়ে মহাখালী বাসস্ট্যান্ড ও এর আশপাশের এলাকাকে সম্পূর্ণ কার পার্কিং এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে। যা বাংলাদেশের প্রথম কার পার্কিং এরিয়া হিসেবে পরিচিত হয়। এ সময় রাস্তায় কোন পরিবহন রাখা হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থারও হুমকি দেয়া হয়। দীর্ঘদিন এলাকাটি কার পার্কিং প্রি থাকলেও ডিএনসিসি মেয়রের অনুপস্থিতিতে সম্প্রতি মূল রাস্তার পাশাপাশি আশপাশের সকল গলি ছাড়িয়ে তেজগাঁও শিল্প এলাকার ভেতরের বিভিন্ন ছোট ছোট রাস্তায়ও দূর পাল্লার বাস রাখতে দেখা যায়। যা গভীর রাত থেকে শুরু করে সকাল ১১টা পর্যন্ত এই এলাকায় শত শত বাস মিনিবাস রাখতে ও যাত্রী উঠাতে দেখা যায়। এর মাধ্যমে উক্ত এলাকার পরিবেশ প্রতিনিয়তই বিনষ্ট করছে। এসব পরিবহনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ তো দূরের কথা কোন রকম মৌখিক নোটিস পর্যন্ত প্রদান করেন না ট্রাফিক বিভাগ বা ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ। ফলে পুরনো অবস্থায় চলে গেছে কার পার্কিংমুক্ত এই এলাকা। একইভাবে ঘটা করে ঘোষণা করে কল্যাণপুর থেকে গাবতলী পর্যন্ত মূল সড়কও কার পার্কিংমুক্ত রাখতে পারছে না ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ। জয়ী হওয়ার পর আনিসুল হক নির্বাচনকালীন ১১ পৃষ্ঠার ইশতেহার অনুযায়ী ছয়টি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে ‘পরিচ্ছন্ন-সবুজ-আলোকিত-মানবিক ঢাকা’ গড়তে কাজ শুরু করেন। এরই অংশ হিসেবে রাস্তার মিডিয়ান, ফুটওভারব্রিজের ওপরে, বিভিন্ন ফুটপাথে ও উত্তরা মডেল টাউনসহ বিভিন্ন স্থানে পরিবেশ রক্ষায় হাজার হাজার গাছ লাগাতে শুরু করেন। পরিচ্ছন্ন, সবুজ ও পরিবেশবান্ধব ঢাকা গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসব গাছ লাগানো হলেও রাস্তার আশপাশে গাছগুলোর অনেকটাই বেহাল। অনেক গাছই পরিচর্যার অভাবে মারা যাচ্ছে। গুলশান এলাকার রাস্তার অনেক গাছ প্রাণহীন হয়ে পড়ছে। অনেক গাছের পাতা লাল হয়ে ঝরতে শুরু করেছে। ফুট ওভারব্রিজের গাছগুলোকেও যতœ নিতে দেখা যায় না। অনেকটা আর অবহেলায় বেড়ে উঠছে এসব গাছ। নিরপাদ ও স্বাস্থ্যকর ঢাকা গড়তে রাস্তার পাশের সকল খোলা ডাস্টবিন অতি দ্রুত সরানোর ঘোষণা দেন আনিসুল হক। এজন্য ডিএনসিসি এলাকায় অর্ধ শতাধিকের বেশি সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) তৈরি করলেও এখনও মেয়রের ঘোষণা অনুযায়ী রাস্তার ফুটপাথ থেকে খোলা ময়লার ডাস্টবিনগুলো আজও সরাতে দেখা যায়নি। এছাড়া এসটিএসগুলো নাগরিকদের চোখের নজরের বাইরে রেখে ও দুর্গন্ধমুক্ত পদ্ধতিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সার্বিক কার্যক্রম সম্পন্ন করার কথা থাকলেও বর্তমানে এসটিএসগুলোর কাছ দিয়ে গেলেই দুর্গন্ধে নাকে রুমাল চেপে এলাকা পার হতে হয়। যা মূল উদ্দেশ্য ব্যহত করছে। রাস্তায় ময়লা ফেলার ছোট ছোট ডাস্টবিন থাকলেও তার ব্যবহার করছেন না। এমনকি এ নিয়ে উৎসাহমূলক কোন প্রকার প্রচারণাও চালাচ্ছে না ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ। জীবন বাজি রেখে পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যুদ্ধ করে তেজগাঁও সাতরাস্তা এলাকার অবৈধ ট্রাকস্ট্যান্ড সরিয়ে দেয় আনিসুল হক। যা রাজধানী ছাড়িয়ে দেশবাসীর কাছে মেয়রের অন্যতম বৃহত অন্যতম কাজ হিসেবে বিবেচিত হয় ও সর্বমহলে প্রশংসা যোগায়। ডিএনসিসি ঐ স্থানে নাগরিকদের জন্য ফুটপাথ তৈরিসহ সকল প্রকার যানবাহন চলাচলের জন্য প্রশস্ত রাস্তা ও মিডিয়ান তৈরি করে দেন ডিএনসিসি মেয়র। কিন্তু মেয়রের অসুস্থতার কিছুদিন পর সেই রাস্তার দু’ধারে পূর্বের ন্যায় ট্রাক সারি করে রাখতে দেখা যায়। প্রথম প্রথম মধ্যরাতের পর থেকে সকাল বেলা পর্যন্ত এসব পরিবহন রাখা হলেও বর্তমানে দিনের বেলায়ও এসব স্থানে ট্রাক কাভার্ড ভ্যান রাখতে দেখা যায়। জানা গেছে, আস্তে আস্তে এর মাধমে পুনরায় এই স্থানটিকে দখলে নেয়ার পাঁয়তারা করছে একটি মহল। মেয়র আনিসুল হক ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ন্যায় রাস্তায় এলইডি বাতি লাগানোর প্রকল্প হাতে নেয়। প্রথমদিকে মেয়র আনিসুল হক নাগরিকদের কাছে সমস্ত ডিএনসিসি সীমানায় সকল অলিগলিতে একসঙ্গে উন্নতমানের এলইডি বাতি লাগানো হবে বলে কিছুদিন সময় নিলেও সর্বশেষ অসুস্থ হওয়ার আগে মেয়র অতি দ্রুত রাস্তায় এলইডি বাতি লাগানোর কাজ শুরুর ঘোষণা দেন। কিন্তু গত দুই মাসেও রাস্তায় নাগরিক নিরাপত্তা রক্ষায় অধিক আলোর বাতি তো দূরের কথা প্রকল্পটি নিজেই কোন আলোর মুখ দেখতে পায়নি। সূত্র জানায়, প্রকল্পে সরকারের অর্থ বরাদ্দ থাকলেও বর্তমান মেয়র প্যানেল বিষয়টি নিয়ে তেমন কিছুই ভাবছেন না। ফলে নাগরিক দুর্ভোগ ক্রমেই বেড়ে চলছে। রাস্তায় আলো স্বল্পতায় প্রতিনিয়তই ঘটছে চুরি ছিনতাই ডাকাতিসহ নানা অপকর্ম। এ নিয়ে ডিএনসিসির যেন কোন প্রকার নাগরিক দায়বদ্ধতাই নেই। গুলশান বনানী, মহাখালী, উত্তরা, মিরপুরের বিভিন্ন স্থানসহ ডিএনসিসি এলাকার বিভিন্ন স্থানে কর্তৃপক্ষ মোবাইল কোট পরিচালনা করে বিভিন্ন সময় ফুটপাথ, রাস্তার পাশের ফাঁকা স্থান, প্রধান রাস্তার একাংশ দখলসহ অবৈধভাবে দখলে রাখা সকল স্থাপনা অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু স্থান উদ্ধার করে নাগরিকদের চলাচলে সহায়তা করতে উপযুক্ত করে দেয়। মেয়রের কঠোর মনোভাবের কারণে দখলদাররা নিজেদের গুটিয়ে নিলেও সম্প্রতি ডিএনসিসির বিভিন্ন স্থানে আবার এসব স্থান দখল করে টং ঘর বা অস্থায়ী দোকান তুলে ভাড়া দিতে দেখা যাচ্ছে। ফুটপাথ দখল আবার পথচারীদের চলাচল বন্ধ করে দিচ্ছে। একইভাবে দখল হওয়া পার্ক ও খেলার মাঠ উদ্ধারেও সফলতা আসছে না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র ও ডিএনসিসির ২১ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত কাউন্সিলর ওসমান গণি জনকণ্ঠকে বলেন, মেয়র আনিসুল হকের শারীরিক অসুস্থতার কারণে তার অনুপস্থিতিতে গত ৫ সেপ্টেম্বর সরকার প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী তিন সদস্যের একটি প্যানেল মেয়র ঘোষণা করেছে। ঐ প্যানেলের প্রথম সদস্য হিসেবে গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে আমি ডিএনসিসির ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করছি। প্রাথমিকভাবে সার্বিক কর্মকা- সফলভাবে পরিচালনা করতে কিছুটা সময় লাগছে। সার্বিক কাজে সকল কাউন্সিলরসহ ডিএনসিসির সকল দায়িত্বাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মচারীরা আমার দৈনন্দিন কাজে সার্বিকভাবে অত্যন্ত সহায়তা করছেন। সবার সহায়তায় নিয়মিত সকল কর্মকা-ই পরিচালনা করছি। তবে গত প্রায় এক মাসে বড় কোন প্রকল্প গ্রহণ বা নতুন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। সৃষ্ট সকল সমস্যা চিহ্নিত করে সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আশাকরি সকল নাগরিক সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় সকল সমস্যা সঠিক সময়েই সমাধান করা সম্ভব হবে। এজন্য তিনি ডিএনসিসির সকল নাগরিকের সহযোগিতা কামনা করেন।
×