ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২

আইসিইউ ইউনিটের যন্ত্রপাতি বাক্সবন্দি

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে জনবল সংকট

নিজস্ব সংবাদদাতা, চুয়াডাঙ্গা

প্রকাশিত: ২২:১৮, ১২ জুলাই ২০২৫

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে জনবল সংকট

.

সব কিছু থাকা সত্ত্বেও চালু হয়নি চুয়াডাঙ্গা ২৫০ শয্যার সদর হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ)। দুই বছর ধরে চালুর অপেক্ষায় আছে ইউনিটটি। প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও যন্ত্রপাতি থাকা সত্ত্বেও শুধু জনবল সংকটে হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ এই বিভাগের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জেলাবাসী।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের জুন মাসে কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস প্রকল্পের আওতায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ১০ বেডের আইসিইউ ইউনিট স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় সরমঞ্জাম সরবরাহ করে। সেই থেকে ২৫০ শয্যার এ হাসপাতালের ৭ম তলায় বাক্সবন্দি অবস্থায় রয়েছে যন্ত্রপাতিগুলো। এই সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মুমূর্ষু রোগীরা। অনেক রোগীর স্বজনরা মুমূর্ষু অবস্থায় রোগীদের রাজশাহী, খুলনা, ঢাকাতে নিচ্ছেন চিকিৎসার জন্য। যার কারণে চিকিৎসা খরচ ব্যয়বহুল হচ্ছে।
এদিকে দেশে আবারও নতুন করে চোখ রাঙানি দিচ্ছে করোনা। আক্রান্ত হচ্ছে সব বয়সের মানুষ। চুয়াডাঙ্গাতে মানুষের মাঝে করোনার উপসর্গ দেখা দিলেও কিট না থাকায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। উপসর্গ থাকার পরও করোনা পরীক্ষা না করাতে পারায় মানুষ এক অজানা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। করোনার উপসর্গ নিয়েই চলাচল করছে হাটবাজারে।
স্থানীয়রা জানান, একজন কিডনি রোগীর ডায়ালিসিসের জন্য আইসিইউ প্রয়োজন। তখন রাজশাহী, খুলনা, ঢাকাতে নিতে হয়। এসব রোগী বহন করতে অনেক সময় পথেই মৃত্যু ঘটে। ইউনিটটি চালু হলে আমাদের অর্থ এবং সময় দুটিই সাশ্রয় হতো। আমরা চাই ইউনিটটি চালু করার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এসব যন্ত্রপাতি পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. রকিব সাদী বলেন, হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিটটি চালু না হওয়ায় জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা মুমূর্ষু রোগীদের সেবা দিতে পারছি না। এছাড়া আমাদের দেশে ইতোমধ্যে করোনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব রোগীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছি। অক্সিজেন সরবরাহ, করোনা আইসোলেটেড ওয়ার্ড, প্রয়োজনীয় ওষুধ, চিকিৎসক ও নার্স প্রস্তুত রয়েছে। 
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. বিদ্যুৎ কুমার বিশ্বাস জানান, এ হাসপাতালের ১০ বেডের একটি আইসিইউ ইউনিট রয়েছে। প্রয়োজনীয় লোকবল না থাকায় সচল করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে চালুর ব্যবস্থা হলে রোগীরা সেবা পাবেন।

প্যানেল

×