
জমি অধিগ্রহণের জন্য থেমে আছে ব্রিজের সংযোগ সড়কের কাজ
মাদারীপুরের কালকিনিতে ব্রিজের ৯০ ভাগ কাজ শেষ হলেও জমি অধিগ্রহণের জন্য থেমে রয়েছে সংযোগ সড়কের কাজ। ফলে প্রায় ৪ কোটি টাকার ব্রিজ কোনো প্রকার কাজে আসছে না। এদিকে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন দুই ইউনিয়নের বাসিন্দারা।
অপরদিকে বর্তমানে ওই এলাকার প্রায় ত্রিশ হাজার মানুষ রয়েছেন চরম ভোগান্তিতে। তবে দ্রুত সংযোগ সড়ক নির্মাণ করার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয় সচেতন মহল।
শনিবার সকালে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের তথ্য অনুয়ায়ী জানা গেছে, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ করার লক্ষ্যে কালকিনি উপজেলার শিকারমঙ্গল ও চরফতে বাহাদুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকা মিয়ার হাট বাজারের কাছে আড়িয়াল খাঁ নদের শাখা নদীর ওপরে ৫১ মিটার সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। পরে জনস্বার্থে অনূর্ধ্ব ১০০ মিটার সেতু প্রকল্পের আওতায় এ সেতু নির্মাণের জন্য মেসার্স সরদার এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে এই ব্রিজের কাজটি বাস্তবায়ন করেন সরকার। বর্তমানে ব্রিজের ৯০ ভাগ কাজ শেষ হলেও জমি অধিগ্রহণের জন্য থেমে রয়েছে সংযোগ সড়কের কাজ। ফলে প্রায় ৪ কোটি টাকার ব্রিজ কোনো প্রকার কাজে আসছে না। এদিকে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন দুই ইউনিয়নের বাসিন্দারা। অপরদিকে বর্তমানে ওই এলাকার প্রায় ত্রিশ হাজার মানুষ রয়েছেন চরম ভোগান্তিতে। তবে দ্রুত সংযোগ সড়ক নির্মাণ করার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয় সচেতন মহল।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ, শিক্ষক বোরহান ও শিক্ষার্থী রাব্বি ও স্থানীয় বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম বলেন, জনগণের সুবিধার জন্য সেতু নির্মাণ করা হলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় দুর্ভোগ কমেনি। আমরা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করলেও কর্তৃপক্ষের টনক নড়ছে না।
মেসার্স সরদার এন্টারপ্রাইজের ঠিকাদার খোকন বেপারি বলেন, ব্রিজের প্রায় ৯৫ ভাগ কাজ আমরা শেষ করেছি। তবে ব্রিজের দুই পারের জমি নিয়ে ঝামেলা থাকায় সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। কর্তৃপক্ষ জমির সমাধান করে দিলে আমরা সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে দেব। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহাবুবা ইসলাম বলেন, মিয়ারহাট ব্রিজের দুই পারের জমি অধিগ্রহণের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল করীম বলেন, মিয়ারহাট ব্রিজের প্রায় ৯০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। তবে দুই পারের জমি অধিগ্রহণ না হওয়ায় সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী বাদল চন্দ্র কীর্তনীয়া বলেন, ওই ব্রিজের সংযোগ সড়ক স্থাপনের জন্য যে জমি অধিগ্রহণ করতে হবে তার জন্য সকল ধরনের কাগজপত্র জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এলএ শাখায় জমা দেওয়া হয়েছে। আশা করি খুব শীঘ্রই এর সমাধান হয়ে যাবে।