
ছবি: সংগৃহীত
সম্প্রতি বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটি যেন নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। সর্বশেষ, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যাংককগামী বিজি ৩৮৮ ফ্লাইটটি উড্ডয়নের এক ঘণ্টার মাথায় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ঢাকায় ফিরে আসতে বাধ্য হয়। ফ্লাইটটিতে থাকা ১৪৬ যাত্রীকে পরে অন্য একটি উড়োজাহাজে গন্তব্যে পাঠানো হয়।
জানা যায়, বুধবার দুপুর ১২টা ৬ মিনিটে ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ব্যাংককের উদ্দেশ্যে উড্ডয়ন করে। কিছুক্ষণ পর, মিয়ানমারের আকাশসীমায় পৌঁছালে পাইলট ইঞ্জিনে অস্বাভাবিক কম্পন শনাক্ত করেন। নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তিনি ঢাকায় ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন এবং দুপুর ১টা ২ মিনিটে উড়োজাহাজটি শাহজালালে অবতরণ করে।
বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উড়োজাহাজটিতে আগে থেকেই ইঞ্জিনজনিত সমস্যা ছিল এবং দীর্ঘদিন ধরে সেটি হ্যাঙ্গারে মেরামতের জন্য রাখা ছিল। সম্প্রতি সোমবার এটিকে পরীক্ষামূলকভাবে ঢাকা-সিলেট-ঢাকা রুটে চালানো হয়, যা সফল হওয়ায় আজ ব্যাংকক রুটে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর মাত্র কয়েকদিন আগেই, ২৮ জুলাই ঢাকা থেকে সৌদিগামী একটি ফ্লাইট একই ধরনের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে উড্ডয়নের এক ঘণ্টা পর ঢাকায় ফিরে আসে। সেবারও পাইলটের বিচক্ষণ সিদ্ধান্তে ফ্লাইটটি বিকেল ৪টা ৩৩ মিনিটে নিরাপদে অবতরণ করে।
এভাবে ঘন ঘন যান্ত্রিক ত্রুটি এবং মাঝআকাশ থেকে ফ্লাইট ফেরত আসার ঘটনায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা ও যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন ও উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মেরামতবিহীন বা অর্ধ-প্রস্তুত উড়োজাহাজ আকাশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে বড় ধরনের দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। যাত্রীদের জীবন নিয়ে এহেন গাফিলতি অনভিপ্রেত এবং নীতিগতভাবেও প্রশ্নবিদ্ধ।
শেখ ফরিদ