ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৫ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ইসরায়েলের ওপর হুথি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: যুদ্ধবিরতির মধ্যেই উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্য

প্রকাশিত: ০০:৩০, ১০ মে ২০২৫; আপডেট: ০০:৩০, ১০ মে ২০২৫

ইসরায়েলের ওপর হুথি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: যুদ্ধবিরতির মধ্যেই উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্য

ছবিঃ সংগৃহীত

ইসরায়েলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরের দিকে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা একটি হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে মারে। একইসঙ্গে তারা একটি ড্রোন হামলার কথাও জানায়, যার লক্ষ্য ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ ইসরায়েলি স্থাপনা।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা ক্ষেপণাস্ত্রটি সফলভাবে প্রতিহত করেছে। এতে কোনো প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে হামলার সময় তেলআবিবসহ আশপাশের এলাকায় সাইরেন বাজানো হয় এবং মোবাইলে জরুরি সতর্কতা পাঠানো হয়, যা মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়।

এই হামলার মাত্র কয়েকদিন আগে ওমান ঘোষণা দিয়েছিল, তারা যুক্তরাষ্ট্র ও হুথি গোষ্ঠীর মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতির চুক্তি করিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রও জানায়, তারা ইয়েমেনে হুথিদের ওপর বোমাবর্ষণ বন্ধ রাখবে, কারণ হুথিরা রেড সাগরে মার্কিন জাহাজে হামলা বন্ধ করতে রাজি হয়েছে।

তবে হুথিরা স্পষ্ট জানিয়েছে, এই চুক্তিতে ইসরায়েলের নাম নেই, এবং তারা ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরায়েলকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করবে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ হুথিদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রকে ইরানী অস্ত্র বলে আখ্যা দিয়েছেন এবং ঘোষণা দিয়েছেন, ‘ইসরায়েল শক্ত প্রতিক্রিয়া দেবে– ইয়েমেনে এবং প্রয়োজন হলে আরও জায়গায়।’ তিনি এটিও বলেন, ‘হুথিরা ইরানের হয়ে কাজ করছে এবং মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা ছড়াচ্ছে।’

ইসরায়েলি মিডিয়া জানাচ্ছে, ১৮ মার্চ ২০২৫ থেকে এখন পর্যন্ত হুথিরা ইসরায়েলের দিকে ২৮টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ডজনখানেক ড্রোন হামলা চালিয়েছে। সবগুলো হামলারই উদ্দেশ্য ছিল গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিশোধ নেওয়া।

হুথিরা নিজেকে ‘ফিলিস্তিনের পক্ষে প্রতিরোধকারী’ হিসেবে তুলে ধরছে। তারা রেড সাগর দিয়ে চলা ইসরায়েল-সম্পর্কিত জাহাজে নিয়মিত হামলা চালাচ্ছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র চায় হুথিদের সঙ্গে সংঘাত কমাতে, কিন্তু ইসরায়েল এই পরিস্থিতিকে ‘ইরান নিয়ন্ত্রিত আঞ্চলিক যুদ্ধের অংশ’ হিসেবে দেখছে।

এই ঘটনাগুলো দেখাচ্ছে যে, গাজা যুদ্ধ আর শুধু ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই—এটি এখন মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে। হুথিদের এই হামলা ভবিষ্যতে আরও বড় আঞ্চলিক সংঘাতের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

সূত্রঃ আল-জাজিরা

 

আরশি

×