
[জুলাই অভ্যত্থানের বীর শহিদদের স্মৃতির উদ্দেশে]
সে ছিল একটা আন্দোলন আর তা ছিল কতিপয় তরুণ ছাত্রদের
ছিল উচ্চকণ্ঠ প্রতিবাদ বৈষম্যের বিরুদ্ধে,
দেশ ছিল নির্বোধ শিশুর মতো হাবাগোবা নিস্তব্ধ নেংটি ইঁদুরের মতো নেশা খাওয়া
কারণ, সুদীর্ঘ সময়ের অত্যাচারের নির্মমতায় বিপুল মানুষের পায়ে
ছিল দাসত্বের ডাণ্ডাবেরি।
সে ছিল এক আন্দোলন জুলাইয়ের- যাকে স্তব্ধ করে দিতে ফ্যাসিস্ট
নামিয়ে ছিল ইতিহাসের জঘন্য সান্ত্রি-সিপাই
আর ঘটমানতার ভিতর দিয়ে সেই আন্দোলন পিছিয়ে
কখনও এগিয়ে বদলে নিচ্ছিল ধমনীর প্রবাহিত রক্তের
নিষ্পৃহ কণিকাগুলো;
আর আমরা যারা ধূর্ত আর বিলাসপ্রিয় কবি তারা তখনও
স্তুতির কাব্যে মগ্ন কিংবা ভাববিলাসে নৃত্য করছি ভাষা ছন্দের
শুকনো খোশা দাঁতে চিবিয়ে।
সে ছিল প্রাণবন্ত এক আন্দোলন ২৪ শের জুলাইয়ে
আর বদলে যেতে থাকলো ঋতুর পরিক্রমার মতো কখনও কুয়াশায় কখনও রোদে
কখনও ভাটার স্রোত কখনও থমকে থাকা, কখনও
বেগবান দখিন হাওয়া
আর এক জঘন্য ফ্যাসিস্ট তখনও দম্ভ করছে তার বিরক্তিকর ঝাঁঝালো কণ্ঠে
দম্ভ- বিষে আকাশ মলিন হয়ে উঠছিল কেঁপে উঠছিলেন ঈশ্বর
তার কপট বন্ধুরা তখনও মশগুল রপ্তানিতে কূট গন্ধের উগ্রতা
আর তখনই বেগবান সমুদ্রস্রোতধারা সব দফা ভাসিয়ে নিয়ে
হাতে তুলে দিলো দ্বিতীয় স্বাধীনতার এক দফা
তখন উদ্যত সঙ্গিন এফোঁড় ওফোঁড় করে দিতে ঝাঁপিয়ে পড়ল
ফ্যাসিস্টের জনঘৃণিত বাহিনী-
কিন্তু
আত্মমুক্তির তীব্র আকাক্সক্ষায় একটা ভয়ঙ্কর সময় ধরে নিপীড়িত জনতা
লাফিয়ে পড়ল মুক্তির সংগ্রামে,
মানুষ দেখলো তার নিজের অবস্থান উত্তাল জনস্রোতে দুলছে প্রতিরোধ পতাকার মতো
তখন সে অপ্রতিরোধ্য হরিণের মতো চঞ্চল এবং জাগ্রত
স্বাধীনতার চূড়ান্ত লড়াইয়ের দ্বিধাহীন সৈনিক-
একজন লুটিয়ে পড়ছে তো আরও অনেক এগিয়ে নিচ্ছে অতিক্রমের পথ
তবু সামান্য কয়েক দিনে হায়ানারা কেড়ে নেয় শত শত প্রাণ
চীর দিনের জন্য পঙ্গু করে দেয় বহুর সম্ভাবনা
তবু থামবার নয় গণবিস্ফোরণ, থামেনি ছাত্রজনতা বিজয়কে না ছুঁয়ে;
আর
এভাবেই আবার আমরা পেলাম দ্বিতীয় বিজয়
[যদিও প্রকৃত স্বাধীনতা এখনও অনেক দূর ]
আর তখন ছেলেবেলার রূপকথার সেই ডাইনি যার বাহন
জাদুর ঝাড়ু দুই ঠ্যাঙফাঁকে চেপে
উড়ে গেল ওঝার বাড়িতে।
এখনও বেইমানরা মগ্ন তাদের স্বভাবজাত বিশ্বাসঘাতকতায়
এখনও অনেক আরও এবং বহু শান্তি পায় দেশকে মুক্তির চিত্রগুলো পরিপূর্ণতায় সাজিয়ে দিতে-।
প্যানেল