ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দ্বিজেন্দ্রলাল রায় ও দিনাজপুর প্রসঙ্গ

মাসুদুল হক

প্রকাশিত: ২১:২৭, ১ জুন ২০২৩

দ্বিজেন্দ্রলাল রায় ও দিনাজপুর প্রসঙ্গ

দ্বিজেন্দ্রলাল রায়

বাংলা গানের পাঁচ প্রদীপ-দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, অতুলপ্রসাদ সেন, রজনীকান্ত সেন এবং কাজী নজরুল ইসলাম; যাদের বাণী ও সুরের আলো আজও বহমান। সংগীতবিষয়ক একাডেমিক কিংবা নন-একাডেমিক কর্মকা- ও ভাবনায় এই পাঁচ প্রদীপ বা পঞ্চকবি বাংলা গানের অমূল্য সম্পদ।
চর্যাপদ, জয়দেবের গীতগোবিন্দ, বৈষ্ণব পদাবলী, রামপ্রসাদী, টপ্পা, দাশু রায়ের পাঁচালী- এগুলো দিয়েই গড়ে উঠেছিল বাংলা কাব্য-সংগীতের অমূল্য দেহসম্ভার। অবশ্য প্রাথমিক-পর্যায়ে হিন্দুস্তানি সংগীতের সুরে পরিপুষ্ট  হয়েছিল বাংলা সংগীতের দেহ। তারপরেও বাংলা গান তার নিজস্বতা বজায় রেখে চলেছে প্রথম থেকেই। লক্ষণীয়, রামপ্রসাদী গানের পরে কিছুটা বন্ধ্যাত্ব এসেছিল বাংলা গানে। অবক্ষয়ের মুখোমুখি হয়েছিল এর সৃজনপর্ব। বাংলা গানে মহৎ ভাবাদর্শের পরিবর্তে জাগতিক তারল্য ও স্থূল ইন্দ্রিয়-পরায়ণতা প্রাধান্য বিস্তার করে। গানের বাণীতে অশালীনতার সংক্রমণ ঘটেছিল। বলা চলে, লৌকিকতার প্রতি অতি আনুগত্য অষ্টাদশ-ঊনবিংশ শতাব্দীর সন্ধিক্ষণের গীতিকারদের আবহমান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল।

তাদের ধাবিত করেছিল জন-মনোরঞ্জনের তরল পথের দিকে। সেই কারণে ঐ সময়ের কবিগান, হাফ-আখড়াই তরজা, খেউর- এই সমস্ত গানে সৃজনের মত্ততা আছে কিন্তু সৃষ্টির শুদ্ধতা নেই। ঐ কালপর্বের গান- ভাবের বিচারে নিরাবেগ ও অশালীন; বাণীর বিচারে দুর্বল, জরাগ্রস্ত এবং ক্রান্তিময়। ঠিক সেই সময়ের পরপরই এলেন দ্বিজেন্দ্রলাল রায় (১৯ জুলাই ১৮৬৩- ১৭ মে ১৯১৩); বাংলা গানে তিনিই প্রথম পাশ্চাত্য সংগীত-রীতির প্রয়োগ ঘটালেন। ইউরোপীয় সংগীতের সুর-সংহতির মাধ্যমে তিনি সৃষ্টি করলেন খেয়াল অঙ্গের বাংলা গানের নতুন রীতি। ঠিক সেই সময় হিন্দি ঠুংরির সঙ্গে বাংলা গানের ভাব-মাধুর্যকে মিশিয়ে সংগীত সৃষ্টি করলেন অতুলপ্রসাদ সেন। রজনীকান্ত সেন এসে দ্বিজেন্দ্রলাল আর অতুলপ্রসাদের মাঝামাঝি পথ অনুসরণ করলেন বলে পণ্ডিতগণ অভিমত প্রদান করেছেন।

কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা গানে আনলেন আরবি সুর, পারসি গজলের রীতি। রাগ-সংগীত আর লোকসংগীতের ওপর ভিত্তি করে সৃষ্টি করলেন বিভিন্ন ধরনের কাব্যগীতি; বিদেশী সুরের কাঠামোয় বাঁধলেন বিচিত্র ধরনের গান আর সৃষ্টি করলেন বিদ্রোহ ও সাম্যবাদের গান। এর ফলে বাংলা গানের ভা-ারে পরিব্যপ্তি ঘটলো বিশাল মণিমাণিক্যের প্রবাহ। আর এই পরিব্যপ্তির পূর্ণরূপ দিয়ে মণিমাণিক্যের ভা-ারকে স্থায়ীভাবে বাংলা গানের আসরে সাজিয়ে দিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ধ্রুপদ থেকে শুরু করে লোকসংগীত ও কীর্তনের ধারাকে এনে মেশালেন তার সুর-সৃষ্টিতে। ভারতীয় রাগ-রাগিণীর এক অপূর্ব মিশ্রণ হলো তার গান। বিদেশি সুরের ধাঁচকে স্বদেশী ছাঁচে ফেলে তিনি সঙ্গীতকে সাজালেন নতুন এক কৌশলে। বাংলা গানের এমন উত্তুঙ্গ অবস্থান নির্ধারণে- এই পঞ্চকবির অবদান আজ অনস্বীকার্য। এ নিবন্ধে প্রসঙ্গক্রমে আলোচনা সীমাবদ্ধ থাকছে শুধু দ্বিজেন্দ্রলাল রায়কে নিয়ে।
২.
পঞ্চকবির মধ্যে দ্বিজেন্দ্রলালের আগমন প্রথম। একমাত্র নজরুলকে বাদ দিলে বাকি তিনজন দ্বিজেন্দ্রলালের প্রায় সমসাময়িক। কিন্তু জীবদ্দশায় তিনিই ছিলেন সবার মধ্যে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। রবীন্দ্রনাথ রায় জনপ্রিয়তার দিক থেকে দ্বিজেন্দ্রলালকে ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন তার মৃত্যুর পর, আগে নয়। সৌমেন্দ্র গঙ্গোপাধ্যায় তার ‘স্বদেশী আন্দোলন এবং বাংলা সাহিত্য’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন :
‘রবীন্দ্র সমসাময়িক কবিদের মধ্যে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের প্রভাবকে অস্বীকার করার উপায় নেই। নাট্যকার হিসেবে প্রাধান্য লাভ করলেও, বিশ শতকের সূচনায় তার কবিতা ও হাসির গানগুলো অসাধারণ জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। দ্বিজেন্দ্রলাল কখনোই নিছক হাস্যরস সৃষ্টি করেননি। তার হাস্যরস সৃষ্টি উদ্দেশ্যমূলক এবং তীক্ষè চিন্তাশীলতার মধ্যেই এ রসের ভা-ার। স্বদেশের অবস্থা ও স্বজাতির আচার-আচরণকে কেন্দ্র করেই তার চিন্তাশীলতা গড়ে উঠেছে। তাই তার কবিতা পড়ার সময় হাসতে গিয়ে ভাবতে হয়; আর স্বজাতিকে হাসিয়ে তোলাই কবির উদ্দেশ্য। হাসির অন্তর্নিহিত বক্তব্যকে ফুটিয়ে তোলার জন্য কবি গদ্যের বলিষ্ঠতাকে কবিতায় আমদানি করেছেন।’
রবীন্দ্রনাথ নিজেও দ্বিজেন্দ্রলালের প্রতিভা এবং সৃষ্টিতে মুগ্ধ ছিলেন। সেই মুগ্ধতাকে তিনি প্রকাশ করেছেন তার ‘আধুনিক সাহিত্য’ গ্রন্থে। দ্বিজেন্দ্রলালের ‘আর্য্যগাথা’, ‘আষাঢ়ে’ ও ‘মন্দ্র’ কাব্যের অন্তর্নিহিত রসধারা বিশ্লেষণ করে বাঙালি পাঠককে দ্বিজেন্দ্রলালের প্রতি আকৃষ্ট করে তুলেছিলেন। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে অবশ্য সেই মধুর সম্পর্ক আর থাকেনি, অহেতুক তিক্ততায় পর্যবসিত হয়েছিল। 
৩.
সংগীতের বরপুত্র কবি দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের মাতা প্রসন্নময়ী দেবী ছিলেন অদ্বৈত আচার্যের বংশধর। তারপিতা কার্তিকেয় চন্দ্র রায় ছিলেন কৃষ্ণনগরের দেওয়ান ও একজন বিশিষ্ট খেয়াল গায়ক। তাই গান তার রক্তে এসেছে উত্তরাধিকার সূত্রেই। গান রচনা এবং তাতে সুর দেওয়া শুরু হয়েছিল তার নিতান্ত বাল্যকাল থেকেই। 
প-িতেরা দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের সংগীত-জীবনকে চারটি স্তরে ভাগ করেছেন। তার সংগীত প্রতিভার প্রথম স্তর হচ্ছে-আর্য্যগাথার প্রথম পর্বের গান; যা তার ১২ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে রচিত। তার সংগীত জীবনের দ্বিতীয় স্তর শুরু হয় যখন তিনি বিলাতে যান। সেখানে টাকা-পয়সা খরচ করে বিলাতি সংগীত শেখেন, চর্চা করেন। দেশে ফিরে এসে পাশ্চাত্য সংগীতের সঙ্গে মিলিয়ে বাংলা গান রচনা শুরু করেন। আর্য্যগাথার দ্বিতীয় খ-ে তিনি অনেক ইংরেজি, স্কচ এবং আইরিশ গানের অনুবাদ করেন। এই সময়টাই তার সংগীত-জীবনের দ্বিতীয় স্তর।
সরকারি কাজে মুঙ্গেরে থাকার সময় থেকে তার স্ত্রীর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত (আনুমানিক ১৮৮৮-১৯০৩) সময়টাকে তার সংগীত রচনার তৃতীয় স্তর হিসেবে বিবেচনা করা যায়। এই সময় প্রতিভাবান গায়ক ও ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সুরেন্দ্রনাথ মজুমদারের প্রভাবে- তিনি পুনরায় ভারতীয় সংগীতের রীতিতে নিজের গানকে নতুনভাবে উপস্থাপন করেন। এই সময় তার সুবিখ্যাত ‘হাসির গান’ রচিত হয়। এই সময়ের গানগুলোতে প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের সুরসরস্বতীর সমন্বয় লক্ষ্য করা যায়।
স্ত্রী সুরবালা দেবীর মৃত্যুর পর (১৯০৩-১৯১৩), তিনি যতদিন বেঁচে ছিলেন অর্থাৎ জীবনের শেষ ১০টি বছরকে তার সংগীত-জীবনের চতুর্থ স্তর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এই সময়ের কবিতা ও গানে- স্বদেশপ্রেম, তার সঙ্গে ব্যঙ্গ এবং বিদ্রƒপাত্মক ধারা লক্ষ্য করা যায়।
৪. 
১৮৮৭ সাল থেকে ১৮৮৮ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দ্বিজেন্দ্রলাল রায় দিনাজপুরে সহকারী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঐ সময় দিনাজপুরের রাজা ছিলেন গিরিজানাথ রায় (১৮৬২-১৯১৯)। তিনি ১৮৮২ সালে রাজকার্য পরিচালনার দায়িত্ব লাভ করেন। যেহেতু তিনি ইংল্যান্ডের কুইন্স কলেজ থেকে (১৮৭১-১৮৭৭) পড়াশোনা করে এসেছিলেন, তাই তার মাঝে পাশ্চাত্য সংগীতের প্রতি গভীর আগ্রহ সৃষ্টি হয়। রাজ-দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি রাজবাটীতে সংগীতের আসর বসাতেন। ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল এবং বিশেষ করে মুঙ্গের থেকে শিল্পীরা তখন রাজবাটীতে এসে সংগীত পরিবেশন করতেন। সঙ্গত কারণেই দ্বিজেন্দ্রলাল রায় দিনাজপুর এলে মহারাজা গিরিজানাথের সঙ্গে তার সখ্য গড়ে ওঠে।
উল্লেখ্য, ১৮৮৭ সালে দ্বিজেন্দ্রলাল রায় বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। ঐ বছর দিনাজপুরে স্ত্রী সুরবালা দেবীকে নিয়ে চাকরিসূত্রে কর্মস্থলে আসেন। মহারাজা গিরিজানাথের সঙ্গে সখ্য গড়ে উঠলে তিনি সস্ত্রীক রাজবাটীতে আপ্যায়িত হয়েছিলেন। মূলত সুখী দাম্পত্য-জীবনের মাধুর্য এবং প্রেমের সূক্ষ্মবোধের উদ্বোধন দিনাজপুরে এসেই দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের জীবনে দেখা দেয়। দাম্পত্য-প্রেমের উষ্ণতায় ভরা দিনগুলো তাকে উদ্বুদ্ধ করেছিল এরূপ গান রচনায়; যা পরবর্তীকালে কাব্যসংগীতের ক্ষেত্রে অমূল্য সম্পদ হয়ে ওঠে। তাদের দাম্পত্য-জীবন স্থায়ী হয়েছিল মাত্র ১৬ বছর। এই সময় তিনি বহু গান লিখেছেন ব্যক্তিগত অনুভূতির তুচ্ছ উপলক্ষ থেকে। তাই স্ত্রী-বিয়োগের পর হাসির গান কিংবা প্রেমের গান তিনি আর লেখেননি। দিনাজপুরে অবস্থানকালে তার লেখা একটি গান হচ্ছে :

এসো এসো বধূ বাঁধি বাহুডোরে, এসো বুকে ক’রে রাখি।
বুকে ধরে মোর আধ ঘুম ঘোরে সুখে ভোর হ’য়ে থাকি।
মুছে থাক চোখে এ নিখিল সব,
প্রাণে প্রাণে আজ করি অনুভব
মিলিত হৃদির মৃদু গীতিবর- আধ নিমীলিত আঁখি।

বহুক বাহিরে পবন বেগে,
করুক গর্জ্জন অশনি মেঘে,
রবি শশী তারা হ’য়ে যাক হারা, আঁধারে ফেলুক ঢাকি।
আমি তোমার বধূ, তুমি আমার বধূ, এই শুধু নিয়ে থাকি,
বিশ্ব হ’তে সব লুপ্ত হ’য়ে যাক আর যা রহিল বাকি।

প্রেমের উচ্ছ্বাস, আবেগ, কত প্রাণবন্ত হলে এমন অনুভূতি প্রকাশ করা যায়- দিনাজপুরে বসে লেখা এই গানটি তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। ঐ সময় লেখা আরও দুটি গান লক্ষ্য করা যাক :

প্রথম যখন বিয়ে হল
ভাবলাম বাহা বাহা রে!
কি রকম যে হয়ে গেলাম
বলবো তাহা কাহারে!
এমনি হ’ল আমার স্বভাব
যেন বা খাঞ্জাখাঁ নবাব;
নেইক আমার কোনই অভাব-
পোলাও, কোর্মা, কোপ্তা, কাবাব

রোচে না ক আহারে
- ভাবলাম বাহা বাহা রে।
[‘প্রণয়ের ইতিহাস’, হাসির গান]

কিংবা, তরুণীর চোখ দিয়ে দেখা প্রেমিক ও প্রেম:

প্রেমটা ভারী মজার ব্যাপার।
প্রেমিক মজার জিনিস।
ও-সে জানোয়ারটা হাতায় পেলে
আমি ত একটা কিনি
বোধ হয় তুই-ও একটা কিনিস।
[‘নূতন প্রেম’, হাসির গান]
দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের দিনাজপুরে অবস্থান এবং সংগীত রচনার সঙ্গে মহারাজা গিরিজানাথ রায় উল্লেখ্য এই কারণে যে, সংগীতচর্চাকে গিরিজানাথ সাধনা হিসেবে গ্রহণ করেন। তার সাধনার বিষয়বস্তু ছিল সুর প্রধান প্রাচ্যসংগীত ও তাল প্রধান পাশ্চাত্যসংগীত এবং প্রাচীন মতের সঙ্গে আধুনিক মতের সমন্বয় সাধনপূর্বক কী করে একটি নব্য সুরের সৃষ্টি করা যায়! এই সমন্বয়ের পথ ধরেই দ্বিজেন্দ্রলালের সঙ্গে মহারাজা গিরিজানাথের ভাব জমে ওঠে। দ্বিজেন্দ্রলাল রায় দিনাজপুরের কালীতলায় একটি বাংলো বাড়িতে সস্ত্রীক বসবাস করে গেছেন। কালীতলা থেকে প্রায় ঘোড়াগাড়িতে চড়ে তিনি রাজবাড়ীতে চলে যেতেন মহারাজার কাছে। রাজবাটীর আয়নামহলের দ্বিতল প্রাসাদের পূর্ব-শাখার মধ্যবর্তী সর্ববৃহৎ কক্ষটি ছিল জলসাঘর। রাজকীয় জলসাঘর বলতে যা বুঝায় এবং গিরিজানাথের পূর্বপুরুষেরা জলসাঘরকে সেভাবে যৌন-বিনোদনের কাজে ব্যবহার করে গেছেন- সাধু-চরিত্র মহারাজা গিরিজানাথের মধ্যে সেই অভিজাত দোষটি ছিল না। জলসাঘরকে তিনি বিশুদ্ধ সংগীতচর্চার কাজে ব্যবহার করেছেন। এই জলসাঘরেই নিয়মিত সংগীতচর্চার আসর বসতো। এই ঘরে বসেই মহারাজা গিরিজানাথ রায় ও দ্বিজেন্দ্রলাল রায় তাদের প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সংগীতবিষয়ক আলোচনা ও সংগীতচর্চা করে গেছেন। সেই সময় তাদের সঙ্গে পঞ্চানন ভট্টাচার্য্য, গোবিন্দ চন্দ্র রায়, ভূপাল সেন, বৈদ্যনাথ চক্রবর্তীসহ প্রমুখ বরেণ্য গায়ক ও বাদকগণ উপস্থিত থাকতেন।

×