ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঘর সংসার

কবিতা

অনিরুদ্ধ আলম

প্রকাশিত: ২১:৪৫, ১৭ নভেম্বর ২০২২

কবিতা

-

অবেলায় দরজা খোলা ছিল। ভেতরে উঁকি দিতেই অজগর সাপের ব্যাপকতা নিয়ে কেউ যেন টেনেটেনে জিজ্ঞেস করল, ‘কে!’

নির্বাক শুয়োপোকাদের কথা বাদই দিলাম।

জামের গাছে ঝুলে-থাকা কালোকালো মারবেলের থোকা থেকে একটি গম্ভীর নিঃশ্বাস টুপ করে নেমে এসে আমার হয়ে উত্তর দিল, ‘আমি! এই আমি!’

এই আমি খোলা-জানালার তৃষ্ণা নিয়ে হেলেনীয় ফুলবাগানের কাঙাল ছিলাম।

প্রতিদিন গোলাপ-বাজারে যেতাম নানারঙের গোলাপদের ঘরসংসার বিষয়ক গল্প শুনতে। একদিন এক-গোলাপ ঘোড়ার পিঠে বসে-থাকা ঘোড়সওয়ারের হাতে চাবুক দেখে আমাকে জিজ্ঞেস করল, ‘ওটা কি?’

আমি বললাম, ‘জোছনাহীন পৃথিবী থেকে সংগৃহীত ওটা একটি নিরেট দাপট!’

অকপট গোলাপের দীপ্ত লাল মুখ নিমেষে বিষণœ হয়ে গেল। কায়মনে প্রার্থনা করল, ‘পৃথিবীর সব কালকুট হিংস্রতা ভোরের শিশির হয়ে উবে যাক।’

 

নদীর লিরিক ২৪

নীলাঞ্জন বিদ্যুৎ

হঠাৎ আকাশ তরমুজের ফালির মতন লাল
নৌকো ভেসে যায় যেন কালো পাখি নিটোল মুদ্রায়
নদীর চপল ঢেউ গলুই ভেজালে বারবার
গলুইয়ে খোদাই চোখ থেকে জল ঝরে জল ঝরে।
অদৃশ্য বাঁধনে বাঁধা কী দারুণ জলের প্রশান্তি
জীবন, জীবন হয়ে ওঠে অই জলে ভেজা ভ্রুণ থেকে
অমন জলের কাছে আমার আজন্ম অঙ্গীকার
আমি কী ভুলেছি সব নদীহীন কৃত্রিম উৎসবে!

আসিনি আমরা কারা নদীগর্ভ থেকে একদিন?
এ-বদ্বীপ, তুমি-আমি অনবদ্য নদীর জাতক
আমাদের ধমনীতে উচ্ছ্বাসের তেরশত নদী
হাতের তালুতে জাগে অবিরল নদীর সুঘ্রাণ;
তুমি কী অমন নদী জীবনের সুবর্ণ পথরেখা?
এবার ধাবিত হই চলো চিরকালের সমুদ্রে।

×